তিন্নি মেয়েটা খুব গম্ভীর প্রকৃতির একটা মেয়ে। সমবয়সীদের তুলনায় তার কথাবার্তা ভঙ্গিমা সম্পূর্ণ আলাদা। সবাই মনে করে খুব ছোট বয়েসেই তার বাবা মার বিবাহ বিচ্ছেদের কারণেই মেয়েটা এমন হয়েছে। তিন্নি পুরো ব্যাপারটাই জানে। সেও জানে যে সবার ধারণা তার বাবা মার কারণে তার মানসিক অবস্থাকে দায়ী করছে। কিন্তু তিন্নি জানে তার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা রকম। তার কাছে কেন জানি ব্যাপারগুলোকে শিশুসুলভ মনে হয়। কেন যেন অর্থহীন কাজ তার সমবয়সীরা করে থাকে বলে তার ধারণা হয়। তিন্নি সবসময় তার বড় ভাইয়া আপুদের সাথে মিশতে খুবই পছন্দ করে। যদিও এ ব্যাপারটা বড়রা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। এ জন্য তিন্নি কে অনেক সময় অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তবু সে জানে তার নিজ সম্পর্কে। সে বুঝতে পারে তাকে, তার চেয়ে ভাল করে আর কেউই বুঝতে পারবে না।
======কেস স্টাডি======
এ ঘটনাকে কোন প্রকার মানসিক সমস্যা বলে আখ্যা দেয়া হয় না। কেননা যে সমস্ত মানুষ তাদের নিজেদের বয়সের তুলনায় উচ্চ চিন্তা ভাবনা পোষণ করতে পারে তাদের বুদ্ধাংক(আই কিউ) অন্যান্য মানুষের স্বাভাবিক বুদ্ধাংকের তুলনায় বেশী হয়। এ ধরণের মানুষেরা প্রাথমিকভাবে উল্লিখিত ঘটনাগুলোর শিকার হলেও ভবিষ্যতে তারা মানুষের কল্যাণের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারে।
তবে এ ধরণের ক্ষেত্রে যা দেখা যায় তা হলো মানুষেরা তাদের নিজেদের অন্যদের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারায় অনেক সময় তাদের এ অসামান্য মেধার বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হয় যা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
-------------------------------------------------------------------------
তিন্নির ক্ষেত্রে যা ঘটেছে তা একটু ভিন্ন প্রকৃতির। তার মধ্যে অসামান্য মেধা আছে ঠিকই তবে তা যে প্রকৃতিপ্রদত্ত তা নাও হতে পারে। খুব ছোটবেলায় তার একটা বিরাট মানসিক আঘাত তাকে কিছুটা হলেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছিল। এটা সে বড় হবার পর ভুলে যেতে পারলেও তার মধ্যকার পরিবর্তনটা সে নিজ থেকে প্রত্যক্ষ করতে পেরেছে।
কেস স্টাডি ১