somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তার স্বপ্ন দেখে রাত কেটে যায়....তারপর আসে ভোর........তারপর আমার ঘুম ভাঙ্গে......................(একটা "সে" সম্পর্কিত পোস্ট.........:P:P:P)

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঠিক এক বছর আগের কথা। টিচারদের শত পিড়াপিড়িতে মেজাজ মারাত্মক খারাপ করে "এক্সট্রা ক্লাস" করছিলাম রমজানের ছুটিতেও! এই এক্সট্রা ক্লাসেই তার সাথে দেখা।

প্রথম দেখা স্কুলের মাঠে। সে তার বান্ধবীদের সাথে গল্প করতেছিল। আমার সাথে ছিল আমাদের ক্লাসের পিচ্চি শাওন (একটু খাটো বইলা এই নামে ডাকি)। একটা প্রবাদ আছে, "ছোট মরিচে ঝাল বেশি।" পিচ্চিরে যেকয়বার দেখি প্রত্যেকবারই আমার সেইটা মনে পড়ে। :) পিচ্চির সাথে ওদের গ্রুপটার আবার খুব মন কষাকষি ছিল। পিচ্চি যেমনে পারতো তেমনে ওগোরে খেপাইতো। পিচ্চি আমার লগে হাইটা যাওয়ার সময়ও সবসময়কার মতো ফাইজলামী করতেছিল। আর আমি পাশে দাড়ায়া দাড়ায়া পুরা ব্যাপারটা ইনজয় করতেছিলাম। অংশগ্রহনের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু চান্স পাইতেছিলাম না। এক পর্যায়ে সে কথায় না পাইরা পিচ্চিরে কইলো, "ওই তুই দাড়া আমি আইতাছি।" কয়াই স্কেল লইয়া তেইড়া আইলো। পিচ্চিতো দৌড় দিবো। আমি তাড়াতাড়ি পিচ্চিরে ধইরা ফেলাইছিলাম। পিচ্চি আর ভাগতে পারলো না। ও আইসা আর পিচ্চিরে মারলো না। মাঝখান থিকা আমি চান্স পায়া গেলাম......;)। পিচ্চির লগে যোগ হইলাম আমি। প্রতিদিন এক্সট্রা ক্লাস শেষ হওয়ার পরে ফাইজলামী করতাম ওগোর লগে। বাসা পর্যন্ত আসার সময়। :)

ওর সাথে সরাসরি তেমন একটা কথা হতোনা কখনোই। আমাদের পিচ্চি আছিলো একটু দার্শনিক টাইপের। দার্শনিক দার্শনিক কথা কইতো। অয় একদিন আমারে কইলো, "দোস্ত, অন্তু (নামটা কয়াই দিলাম ;)) কিন্তু তোর প্রতি দূর্বল হয়া পড়তেছে।" আমিও ব্যাপারটা বুঝতেছিলাম। কিন্তু অয় আমার লগে কোন কথা কইতোনা। আর মাঝেমধ্যে হুদাই ঝাড়তো। একদিন গিয়া ওগোর বাসাও দেইখা আইছিলাম। পিচ্চির কাছে ওর মোবাইল নাম্বার ছিল। তখন ও একটা বাংলালিংক নাম্বার ইউজ করতো। পিচ্চি একদিন আমার মোবাইল থিকা ওরে কল দিছিলো। সেইদিন ও আমার নাম্বারটা পায়া গেল। :) কিন্তু পিচ্চি কল দিয়া আমার মোবাইল থিকা নাম্বারটা কাইটা দিল.... X((। কোয়ি বাত নেহি, ওয়ারিদের ওয়েব পোর্টালের সাহায্যে সহজেই নাম্বারটা পাইলাম। কিন্তু ঐ নাম্বারে কোনদিন কিচ্ছু পাঠাইনাই। সেইভ কইরা রাখছিলাম শুধু।

একদিন রাইতের বেলায় একটা ওয়ারিদ নাম্বার থিকা এসএমএস পাইলাম। "hi, kemon aco? cinte parco?" আমার কেন জানি মনে হইলো এইটা সেই হইবো। জিপির রাক্ষইস্যা রেট (১টাকা/এসএমএস) দিয়াই রিপ্লাই দিলাম। সেও রিপ্লাই দিল। এইভাবে শুরু। আমি আমার মেজো ভাইয়ের কাছ থিকা একখান ওয়ারিদ সিম লইয়া লইলাম জিপির সিমটার বিনিময়ে। সে হাসিমুখেই দিয়া দিল। :)

FnF কইরা লইলাম। কথা তেমন একটা বলতাম না। এসএমএস করতাম। পার এসএমএস ১২পয়সা আছিল তখন! তয় ওর অন্য প্যাকেজ থাকায় ৫৬পয়সা কইরা কাটতো। আর আমারতো ওয়ারিদের ওয়েব পোর্টাল দিয়া এসএমএস পাঠানোর সিস্টেম আছেই ;)। এতোকিছুর পরেও সে আমারে হার মানায়া দিতো এসএমএস পাঠানোয়। দিনে ১০০-১৫০ বা তারও বেশি এসএমএস দিতাম। কেন দিতাম জানিনা। তখন শুধু বন্ধুত্বই ছিল। খুব ভাল বন্ধু ছিলাম আমরা। প্রায় ২মাস এইভাবে চললো।

এই দুইমাসে কম আজিব ঘটনা ঘটেনাই। এক ভাই (নাম ফেরদৌস) আমারে কইলো হেয় ওরে পছন্দ করে। আমি যাতে সেটাপ কইরা দেই ;)। আমার এক দোস্তও (নাম রুবেল) ওর পিছে লাগছিল। আমি আছিলাম মদনা টাইপের। আমি কখনো ভাবিনাই আমি তারে ভালবাসি কিনা। আমি ভাবতে লাগলাম কার লগে দিলে ভাল হয়। ফেরদৌস নাকি রুবেল? আমি কখনো ভাবিনাই যে আমি তার লগে প্রেম করুম। কারণ, আমি আছিলাম তার ফ্রেন্ড। এইর মধ্যেই আমি খেয়াল করলাম সে এসএমএস-এর মইদ্যে jan লেখা শুরু কইরা দিল! খেয়াল কইরা আমিও লিখতে থাকলাম ;)। একদিন এই এসএমএস-টা পাইলাম, "etodin dhoira jan bola chilo faizlami. kintu tumi sotti sotti amar jan hoye jaitecho" আমারতো আক্কেল গুড়ুম। এই প্রথমবার নিজেরে জিজ্ঞেস করলাম। তুমি কি ওকে ভালবাস? উত্তর আসলো হ্যা-সূচক। তারপর সবগুলারে ঝেটায়া বিদায় করলাম। আর লাইগা গেলাম নিজেই............;)




তারপর থেকে একসাথে পথ চলা। একটা বছর কেটে গেল। সম্পর্ক আরো গাঢ় হলো। আস্তে আস্তে একে অপরকে চিনে নিলাম। তার সাথে ঝগড়া হয়নাই তেমন একটা। একবার লাগছিল। তাও বেশিদিন স্থায়ী হয়নাই। আমাদের মধ্যে ঝগড়া খুব কম হয়। কারণ, গুড আন্ডারস্টান্ডিং। আমি প্রথমে ওর ফ্রেন্ড ছিলাম। তাই তাকে খুব ভাল করে বুঝতে পারি। সেও আমাকে খুব ভাল করে বোঝে। শুধু ভালবাসা নয়, আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বটাও কাজ করে।


ও আমাকে পাগলের মতো ভালবাসে। আমি তাকে যখন যাই করতে বলিনা কেন ও তাই করে। হাসিমুখে মেনে নেয়। এতো এতো বাধা দিছি। এইটা করবানা, ঐটা করবানা; এর সাথে কথা বলবানা, তার দিকে তাকাবা না.....ইত্যাদি ইত্যাদি। তার কষ্ট হইছে। তখন বুঝতে পারিনাই। সে আমাকে কিচ্ছু বলেনাই। কিন্তু এখন আমি বুঝি। তাই এখন আর তেমন কিছুতেই বাধা দেইনা। ও একটু চঞ্চল আর পাগলামী বেশি করেতো। তাই মাঝেমধ্যে একটু নজরে রাখতেই হয়।




"""ভালোবাসি তোমার, ঐ রোদ্দুর হাসি;
দেখে স্বপ্ন কাটে, আমার দিবানিশি;
কি হলো আজ, আমি ভেবে না পাই;
সব হারালে শুধু তোমাকে চাই।।।"""
৪৮টি মন্তব্য ৪৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×