জামাতিরা হুঙ্কার ছাড়ছে। বিভিন্নজনের কাছে মেইল পাঠাচ্ছে, বিশেষ করে সাংবাদিকদের কাছে। [email protected] এই মেইল অ্যাড্রেস থেকে একটি মেইল পাঠানো হয়েছে। যেখানে ইসলামী ব্যাংকে হামলার প্রতিউত্তরে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে হামলার হুমকি দিচ্ছে। জামাতিরা বলছে, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সাথে শাহবাগের কাফের ও মোনাফেকদের সাথে যুদ্ধ চলছে!!!!!!
শুধু স্লোগান নয়, রাজপথে এইসব ইসলাম ব্যবসায়ীকে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।
কোন হ্যাকার ভাই থাকলে আইডি ([email protected]) একটু হ্যাকায়্যা দেখতে পারেন।
জামাতিদের মেইলটি হুবহু তুলে ধরা হলো....
যারা ইসলামী ব্যাংকে হামলা চালায় তাদের মাথা রাখা দরকার মার্কেলটাইল ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক সহ যত ব্যাংক আছে সরকারী যত সংস্থা আছে সবা গুলো যদি আক্রমন করা হয়। বাংলাদশের সব বাহিনী দিয়ে ও রক্ষা করা সম্ভব হবে না। বিরুধীদলে অফিসে হামলা হচ্ছে। তাদেরও অফিসে হামলা হলে বুঝতে পারবেন। জঙ্গি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা নিজেই এসব সন্ত্রাসের বাবা, তার নির্দেশই এসব সন্ত্রাস হচ্ছে। এই সব খেলা বন্ধ করুন। না হয় পালাবার পথটিও পাবেন না।
এখন শাহবাগে যা হচ্ছে তা নতুন কিছুই নয়। রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩ টি কাতার হবে তাঁর মধ্যে একটি দল হবে জান্নাতি আর ৭২ কাতারই হবে জাহান্নামী । বর্তমান বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সাথে শাহবাগের কাফের ও মোনাফেকদের সাথে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ ইসলাম রক্ষার যুদ্ধ এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্তা-বিশ্বাস উঠানো হয়েছে। নবীর সুন্নাত দাড়ি ধরে পুলিশ ও ছাত্রলীগ ইসলামধর্মীয় লোকদের পেটাচ্ছে। নিবিচারে মানুষ হত্যা করছে। কোন নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে পুলিশ দিয়ে নিরীহ মানুষকে সরাসরি গুলি করছে। এই কাফের সরকারের সাথে বিশ্ব মুসলিমকেও জেগে উঠতে হবে। এবং এদেশের মুসলমানদের ঈমান রক্ষার দাবী হলো এদের বিরুদ্ধে যার যা আছে তা নিয়ে নামতে হবে। যদি সেই মুসলমান হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে চায়। মৃত্যু মানুষের জীবনে হবেই সুতরাং এত চিন্তা করে লাভ নেই। মরতেই যদি হয় হে আল্লাহ আমাকে শহীদি মৃত্যু দিও।
স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ে বাঙালী মুসলমানরা যেমন পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে বেরিয়ে এসে এই দেশ কে স্বাধীন করছেন। ঠিক একই ভাবে এই দেশের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ যারা ঈমান নিয়ে বাচঁতে চায় বা ঈমান নিয়ে মৃত্যু বরণ করতে চায় তারা যেন এই এখনই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায় না হয়। আল্লাহর কাছে যুলমের প্রতিবাদ না করলে গুনাগার হিসেবে গণ্য হবেন। কোরআন ও হাদিস খুলে দেখুন । কেউ বিভ্রান্তি হওয়ার দরকার নেই। আজ শাহবাগসহ সারাদেশে যা চলছে। ইসলামী বিরুধী কার্যক্রম রুখতে সবাই এই আন্দোলনে সামিল করুন নিজেও হওন। কে না করুক কাজ আমি করব কাজ। এটার জন্য আল্লাহ জান্নাত রেখে দিয়েছে। আল্লাহর সুন্তুষ্ঠি আন্দোলনে শরীক হই।