somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুয়াকাটা ভ্রমন,,,,,,,অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ৯৯ ভাগ সফল এক সফর....(কুয়াকাটা পর্ব)আনাড়ী হাতে তোলা কিছু ছবি সহ

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
কুয়াকাটা ভ্রমন,,,,,,,অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ৯৯ ভাগ সফল এক সফর....(যাত্রা পর্ব)

আমাদের ভ্রমন সত্যই একটা হেভী ঘুমের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল.........ক্লান্তিটাই প্রধান কারন ছিল......এর আগে আমরা আমাদের খাওয়া দাওয়া সারি বাইরে একটা রেস্টুরেন্টে.............আগেই সবাই সাবধান করে দিয়েছিলেন যে হোটেলের নিজস্ব রেস্টুরেন্টে না খাওয়ার জন্য...................আমরাও তাই হোটেলের ম্যানেজারের অনেক ভুজুং-ভাজুং এ পা না দিয়ে পা দিলাম বাইরে...........ভাল কোন হোটেলের সঠিক খোজ আমদের কাছে না থাকায়...........আমরা সিদ্বান্ত নেই একেকবার একেক হোটেলে খাব.............তাই পুরা কুয়াকাটা সফরে আমরা খেয়েছি মোট ৪ টা রেস্টুরেন্টে..............আমাদের জরিপ অনুসারে সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে হোটেল তরঙ্গ কে....................আর খাবারের দাম খুবই সস্তা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আমরা ৬ জন যত ইচ্ছা ভা্ত,,,,,,সাথে যার যার পছন্দ মত ডিশ(রুপচাঁদা,,কোরাল,,,ইলিশ,,,মুরগী),,,সাথে ফ্রী ডাল এবং ৩ লিটার মিনারেল ওয়াটার সহ বিল সর্বোচ্চ উঠত ৪০০ টাকা.................চিন্তা করুনতো.....................

যাই হোক ঘুমের পর আমরা রওয়ানা দেই বীচে..............হোটেল থেকে বীচ এক্কেবারে কাছেই,,,,,,,,,,,,,,,,,আমাদের গোসলের প্ল্যান ছিল রাতের বেলা তাই আমরা এক্কেবারে ক্যাজুয়াল ড্রেসে বের হয়ে পড়ি......................

বীচে ঢুকেই এক ধাক্কা.....................এত নিরিবিলি!!!!!!!!এত শান্ত!!!!!!!!!!
পুরা বীচে কতজন মানুষ যেন হাতে গুনে বলে দেয়া যেত............তখন পড়ন্ত বিকালবেলা..........................
একাকী.......

সূর্যাস্তের কিছু ছবি



আর একটা জিনিস আছে,,,সেটা হচ্ছে মোটরসাইকেল.........................যাদের বাইক প্যাশন আছে তাদের জন্য কুয়াকাটা একটা আদর্শ স্হান.....................প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হিসেবে তারা বাইক ভাড়া দেয়................যারা চালানো পারেনা তাদের শিখানোর ব্যবস্হা ও আছে........................আমাদের দলে আমি সহ ৩ জন বাইক পাগলা........................তাই বিকেল টা আমাদের কেটে গেল বীচে বাইক চালিয়ে সূর্যাস্ত দেখে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,তখনই বাইকের মালিকেরা আপনাদের কাছে তাদের ফোন নাম্বার টাম্বার দিয়ে দেবে..................তখনই পরেরদিন সূর্যোদয় দেখার জন্য কাউকে বুক করে রাখা ভাল,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কারন সূর্যোদয় দেখার জন্য যেতে হয় প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে...............কুয়াকাটার আরেক প্রান্তে.............

কক্সবাজার রাতের বেলা গোসলের জন্য মোটেই আদর্শ নয়,,,,,,,,,,,,,,,,,কিন্তু ঠিক বিপরীত হচ্ছে কুয়াকাটা..................নিরিবিলি একটা বীচে তেমন বড় কোন ঢেউ নাই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,অনেক দূর যাওয়া যায় নিশ্চিন্তে...................আমরা রাতে সমুদ্রে প্রায় ৩ ঘন্টা কাটাই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,কুয়াকাটায় বড় বড় চাকার টিউব ভাড়া পাওয়া যায়................টিউবে শুয়ে ঢেউয়ের সাথে যত ইচ্ছা উপর নীচ করা যায়..............বা শুধুই শুয়ে থাকা..........!!!!!!অদ্ভুত লাগে তখন............উপরে লক্ষ কোটি তারা,,,,,,,,,,আপনি শুয়ে আছেন সমুদ্রের বুকে..................
সূর্যোদয়


সকালে সূর্যোদয়ের জন্য ফজরের আগেই ঘুম থেকে উঠতে হয়............ফজরের আজানের পর বাইকে করা তারা আমাদের নিয়ে রওয়ানা দেয়.......................আমদের দলের বেশীরভাগই সূর্যোদয় দেখার পক্ষপাতী ছিলনা,,,,,,,,,,,,,,,,,,ছুটিতে তারা আরামের ঘুম মাটি করতে চাচ্ছিলনা.............:) কিন্তু যখন আমরা দেখে ফিরে আসছিলাম সবাই মুটামুটি স্তব্ধ..................... সূর্য উঠার জন্য বেশ অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,এই সময়টা আসলেই ইউনিক,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,অদ্ভুত একটা লাল আভা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,অপার্থিব একটা পরিবেশ...........:-*:-*

সবাই অবশ্য আমাকে একটা ধন্যবাদও দেয়নি,,,,,,/:)/:) ঐখানে যাবার পথে মাঝে মাঝেই সিডর আর আইলার ধ্বংসাবশেষ চোখে পড়ে.....................আমরা যারা সমুদ্র থেকে অনেক দূরে থাকি.............তাদের জীবন আর সমুদ্র তীরবর্তী মানুষের জীবনের যে ফারাক কতটুকু!! আপনি উপলব্ধি করবেন তখন.......................

যাইহোক,,,,,,,,,,,,,পৌছে ভরপেট নাস্তা,,,,,,,,তারপর আবার ঘুম,,,,,,,,,,,ওওওও............এরই মধ্যে আমরা এক বুড়া চাচা কে পেয়ে যাই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,উনার দোকানে আমরা ৬ জন ২ দিনে মোট ৪৮ কাপ চা খেয়েছি,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,:):):) সিলেটের যেকোন হাইফাই রেস্টুরেন্টের থেকে অনেক অনেক ভাল চা..............চা বানানো যা একটা শিল্প হতে পারে তা কেবল বুড়া চাচারে দেখলে বুঝা যায়...............উনার জীবনের একটা করুন কাহিনী আছে,,,,,,,এখানে বলে আর লম্বা করতে চাইনা..........আপনারা যারা যাবেন,,,,,,,,,,এটা আপনারা জেনে নিবেন,,,,,,,,,,,,,,,,,,

কুয়াকাটার বিখ্যা্ত রাখাইন বাজার দেখে আমরা হতাশ হয়েছি,,,,,,,,দামও বেশী,,,,,,,,,,,,,,,,,হতে পারে সিডর পরবর্তী ডিপ্রেশন সামাল দিয়ে এখোনো উঠতে পারেনি,,,,,,,,,,,

তারপর আবার গোসল,,,,,ফুটবল খেলা,,,,,,,,,,তারপর বিকেল বেলা পুরোটাই আমরা রেখে দিয়েছিলাম,,,,,,,,,,,,,,কুয়াকাটার আরেক প্রান্ত যেখানে কুয়াকাটা আর সুন্দরবন মিট করেছে সেই ফাতরার চর দেখার জন্য.........

মোট ১৩ কিলোমিটার রাস্তা,,,,,,,,,,,,,,সরাসরি নিয়ে যাবে ডাকাতিয়া নদী এবং সমুদ্রের মোহনায়...........................এই সেই মোহনা,,,,,,,,,,,যেদিক দিয়ে সিডর বাংলাদেশে ঢুকেছিল,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,দূরে দেখা যায় সুন্দরবন

সিডরের কিছু চিহ্ন


এ জায়গার বেশী বিবরনে যাচ্ছিনা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,এক কথায়,,,,,,,,,,,,এটিই কুয়াকাটার সেরা জায়গা...............হ্যা......সূর্যোদয় দেখার পরেও..............মোহনার বিরাট বিরাট ঢেউ,,,,,,,,,সাথে সুন্দরবন..........সাথে অস্ত যেতে থাকা সূর্য..........লাইফ ইজ বিউটিফুল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

,,,,,,,,,,,,,,,,শুধু রাত্তিরটা আমদের হাতে ছিল.................স্নান,,,,,,,,,গান,,,,,,,,,,স্নান,,,,গান,,,,,,,,,,,,,,এভাবেই চলছিল...............এর মধ্যে আমরা পাই এক বাউল এবং তার মেয়েকে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,উনি বীচে সবাইকে গান শুনিয়ে থাকেন............তারপরের অংশটুকু পুরা কুয়াকাটা ভ্রমনের শেষ অংশটুকু সার্থকতায় পরিপূর্নতা পাওয়া.......................তিনি আমাদের ৬ টা গান শুনান,,,,,,,,,,,,,,,একটা তার নিজস্ব মনে হয়,,,,,,,কারন ঐ গান আমরা আগে কখনও শুনিনি,,,,,,,,,,,,বাংলাদেশের আনাচে কানাচে কত অসাধারন সব মানুষ লুকিয়ে আছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!



তারপর বিদায়ের বেলা চলে আসে,,,,,,,,,,শেষটুকু একেবারে সাধারন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,বুড়াচাচার চা,,,,,,,,নাস্তা,,,,,,,,,,,,বিআরটিসি বাসে উঠে আরেকটা ভুল করা,,,,,,,,,,,আবার দুঃসহ সেই জার্নি,,,,,,,,,,,তারপর লন্চের টিকেট পাওয়া নিয়ে গোলমালের পর টিকেট পাওয়া........................আরেকটা ফাটাফাটি নদীভ্রমন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,তারপর.....................সকালে ঢাকা,,,,,,,,,দুপুরে
হোম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,সুইট হোম..............




















সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৯
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×