somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের প্রথম রিভিউ লিখলাম @18 অলটাইম দৌড়ের উপর টেলিফিল্ম এর রিভিউ

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তিনটা ফাজিল টাইপের বন্ধু ইমরান (তৌসিফ) , বাপ্পী (মিশু) , ও নিয়াজ(এই পুলার নাম মনে হয় কীর্তি) ।- কিছুই তাদের কাছে কোনো সময় সিরিয়াস হয় না ।
একসাথে থাকে । বাপ্পী ধবধবা সাদা হইলেও সে সারাদিন বিউটি টিপস বা উজ্জ্বল ফর্সা হওয়ার নানা কিছু আবিষ্কারে মত্য থাকে । ইমরান জিনি সারাদিন ফেসবুকে চটর পটর করেন এবং ফেসবুকেই পরিচিত অরনী নামের এক লন্ডনি সিলেটি মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাইতেসেন । আর নিয়াজ ব্যাটা আস্ত একটা হাড়-মাংশ কিপটা । একদিন কি হইসে ইমড়ান যিনি "আহমি ঠূমাখে খূভ love খড়ি" (আমি তোমাকে খুব love করি) এই টাইপ কথা অরনিকে বলতে চাইতেসিলেন কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে অরনি তাকে ফোন করে জানালো তার মা খুব অসুস্থ এবং তাকে লন্ডন যেতে হবে ২ দিন পরেই। আমি বাবা সিলেটে জন্মের পর থেকেই সিলেটে থাকতেসি খাইতেসি আমারো অনেক লন্ডনি আত্মীয় আত্মীয়া (♥ )আছে কিন্তু এখন পর্যন্ত মা লন্ডনে আর সে দেশে ফেসবুকাইতেসে এইরকম কাউকে দেখি নাই । যাউজ্ঞা । তো ছেকা খাইয়া ইমরান বাবাজি তো ভিষন ফেডাপ বা সিরিয়াস বা যাই বলেন । এখন তার এমন বন্ধুরা যারা কিছুই কোনো সময় সিরিয়াস নেন না তারা তাকে সিলেট নিয়ে গিয়ে অরনির সাথে ফিক্স করে দেওয়ার প্ল্যান করলেন । কিন্তু পরের দিন টিকেটের ব্যবস্থা না হওয়ায়, বাপ্পীর মাথায় প্ল্যান আসে তারা বাসভর্তী বরযাত্রীর সাথে যাবে। এই যুগে বাসে বরযাত্রী ভাপ্তেই Odd লাগে । বাসে হাতে গুনা ১০-১২জন বরযাত্রীর মাঝে কেউই তাদের প্রথম প্রথম চিনতে পারলো না । যাই হউক একটু পরে হলেও চেনার পরে তাদের বাস থেকে নামতে হল । ধপাস করে খুব রাত হয়ে গেলো । রাতে ইন্ডিয়ান ইস্টাইলে তারা একটা ঢাবা খুজে পেলেন । যদিও এখন পর্যন্ত এইরকম খোলা আকাশের নিচের হোটেল আমি দেখিনু বাপু । খাওয়ার পর তারা এক মহিলা (মম) কে দেখলেন কাদছেন । তার কাছে গিয়ে জানতে পারলেন তার হাজবেন্ডের (ইরেশ জাকের) সাথে ঝগড়া হয়ে যাওয়ায় তিনি গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন কিন্তু এখন আবার হাজবেন্ডের জন্য পিনিক আসছে । ইমরান তাকে তার হাজবেন্ডকে ফোন করতে তার মোবাইলটা দিয়ে সাহায্য করে । পরে ঐ ভদ্দর মহিলা তাদের লিফট দেন । কিন্তু ভদ্দর মহিলা যে একজন ঢূষঢাষ হাইজেকার এটা মহিলার চেহারায় তাদের মালুম পরছিলো না । প্যান্ট শার্ট টাকা পয়শা মুপাইল সব হাইজ্যাক করার পর তাদের কাছে আর কিছু নাই । রাস্তায় হাটতে হাটতে এক এনজিও তাদের শীত বস্ত্র দান করে গেলো । কিন্তু লিফট চাইতে গেলে কিসের হিন্দি চুলের রুল দেখায় তারা চম্পট মেরে দিলো । কিছুক্ষন পর তারা পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে হাজতও সফর করে । সকালে ছাড়া পাওয়ার পর । তাদের দেখা হল ক্রাইম রিপোর্টার ফারুক আহমেদের সাথে । তার কাছে এলাকার কেউই টাকা চায় না । তিনি ইমরান, বাপ্পী ও নিয়াজের বেপক সাহায্য করলেন । টিকিট, খাবার দাবার এমনকি কাপড় চোপড়েরও ব্যবস্থা করলেন । রাস্তায় যদি তাদের টাকার দরকার পড়ে । বার করলেন এক হাজার টাকার একটা ঝকঝকে নোট । নিয়াজ সেই টাকায় হাত দিতে না দিতেই ফারুক আহমেদ দিলেন নিয়াজের হাতে কামড় । ক্লিয়ার হয়ে গেলো তার কাছ থেকে কেউ টাকা নেয় না কেন । ব্যাটা আস্ত একটা শ্যাকল পাগলা । শুরু হয়ে গেলো অলটাইম দৌড়ের উপর ট্যাগলাইনটির বাস্তবিক বাস্তবতা অর্থাৎ ফারুক আহমেদ ছুটলেন তিন বন্ধুকে কামড়াতে । সাথে সাথে বাজলো সুশীল সমাজ দ্বারা আন্ডারেটেড গায়ক শরীফুদ্দীনের লাল গোলাপী গানের অসাধারন একটা কাভার । কিন্তু দৌড়ার সময় ক্যামেরার অসাধারণ কাজ দেখানোর জন্য পরিচালক শুরু করেন ভাড়ের উপর ভাড় ফেলার একটার পর আরেকটা সিন ।
পরে তারা এক টমেটো ট্রান্সপোর্টের গাড়ীতে লিফট পেলেন । বেজে উঠলো এই শহর শিরোনামের আরেকটি অসাধারন গান ।
অতঃপর তারা পৌছুলেন অরনীর বাসায় । এত তারাতারী অরনীর বাসা তারা কিভাবে খোঁজে পেলেন এইটার উত্তর গুগলেও হয়তো খোঁজে পাওয়া যাবে না । কলিং ব্যাল দেওয়ার পর দর্জা খুললেন অরনীর আন্টি । কিন্তু অরনী বাসায় নেই । আন্টি ফোন করে জানলেন অরনীর এক বান্ধবীর একসিডেন্ট হয়েছে সে আসতে দেরী হবে । কিন্তু এত কাঠখোর পোহানোর পর ইমরানের স্বপ্ন কন্যা অরনীর বাসায় এসে তার ঘুমিয়ে পড়াটা হজম হয়নি । যাই হোউক তারা পরেরদিন আবার অরনীর বাসায় গিয়ে অরনীর আন্টির সাথে কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে ইমরান খেলোওওও বিশাল এক ধাক্কা । ফেসবুকে, ফোনে অরনী নামের মেয়ের সাথে সে কথা বলতো সে আসলে এই ৬০ বছরের বৃদ্ধা । এরপর.........................................................
গল্প শেষ

at18 alltime দৌড়ের উপর টেলিফিল্মটির কিছু ভালো-খারাপ দিক
ভালো পরিচালনা করেছেন কিন্তু তারাহুরা না করলে আরও ভালো হত ময়না পাখিটাকে ছাদে নিয়ে যাব খ্যাত আদনান
সবার অভিনয় সুপার হইসে
মিউজিক তো স্পিচলেস ছিল
ক্যামেরা ওয়ার্ক বাংলা টেলিফিল্মকে অন্য লেভেলে নিয়ে গেছে ।
গল্পে সব কিছু যেন তারাতারী ঘটতে লাগলো, দুনিয়া এত সস্তা না ।
গল্পে টুইস্ট ছিল কিন্তু গল্পটা আহামরী কিছু ছিল না ।
তাই কি দেখলাম এইটা ভাবতে ভাবতে ঘুমায় পড়সি ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×