somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামুতে ইসলাম নিয়ে ধর্ম যুদ্ধ

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিচের সকল লিখা সামহোয়্যার ইন ব্লগ এর ২ জন লেখক, "ক্যাচাল" এবং "ফারজানা মাহবুবা" এর। তাদের অনুমতি না নিয়েই লিখা টা পোস্ট করছি। কারন "ক্যাচাল" ইসলাম এর আয়াত নিয়ে যে ভুল ব্যাখ্যা তার ব্লগে দিয়েছেন তা "ফারজানা মাহবুবা" মন্তব্য সেকশনে ভাল ভাবে তুলে ধরেছেন।
--------------------------------------------------------------------
"ক্যাচাল"

তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই : আল-কোরআন
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০০৮

আজকে অফিসে যাই নাই, তাই সারাদিন বসে বসে আল-কোরান রিভিসন দিচ্ছিলাম। কিছু কিছু আয়াত পড়ছিলাম আর কেমন কেমন লাগছিলো। চোখে শুধু '' রক্ত আর রক্ত'' ভেসে উঠছিলো।

যারা আল্লাহ তে বিশ্বাসী না তাদের কে কতল করার আহবান সম্বলিত আয়াতগুলো পড়ার পর ভাবলাম দেখি বর্তমানে পৃথিবীতে কতোজন অমুসলিম লোক আছে।

উইকীতে একটু গেলাম, দেখলাম এখনো দুনিয়াতে এখনো ৮০ ভাগের মতো লোক অমুসলিম আছে , স্বাভাবিক ভাবেই তারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না।

আমি আল-কোরান থেকে আপনাদের জন্য ৪০ টির মতো আয়াত পরিবেশন করছি যেখানে খুব পরিষ্কার ভাষায় ঐ ৮০ ভাগ মানুষকে কতল করা কথা বলা হয়েছে।

নিচে দেখুন এরকম ৪০ টি আয়াত:

-আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে| বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ| আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে| অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে| তাহলে তাদেরকে হত্যা কর| এই হল কাফেরদের শাস্তি| ২-১৯১

-আর তারা যদি বিরত থাকে, তাহলে আল্লাহ্ অত্যন্ত দয়ালু| ২-১৯২

-আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়| অত:পর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)| ২-১৯৩

-তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়| পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর| আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর| বস্তুত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না| ২-২১৬

-আল্লাহ্র পথে লড়াই কর এবং জেনে রাখ, নি:সন্দেহে আল্লাহ্ সবকিছু জানেন, সবকিছু শুনেন| ২-২৪৪

-অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই| ৩-৫৬

-খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো| কারণ, ওরা আল্লাহ্র সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে যে সম্পর্কে কোন সনদ অবতীর্ণ করা হয়নি| আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন| বস্তুত: জালেমদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট| ৩-১৫১

-কাজেই আল্লাহ্র কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জেহাদ করাই কর্তব্য| বস্তুত: যারা আল্লাহ্র রাহে লড়াই করে এবং অত:পর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুর্ণ্য দান করব| ৪-৭৪

-তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও| অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহ্র পথে হিজরত করে চলে আসে| অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর| তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না| ৪-৮৯

-গৃহে উপবিষ্ট মুসলমান-যাদের কোন সঙ্গত ওযর নেই এবং ঐ মুসলমান যারা জান ও মাল দ্বারা আল্লাহ্র পথে জেহাদ করে,-সমান নয়| যারা জান ও মাল দ্বারা জেহাদ করে, আল্লাহ্ তাদের পদমর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন গৃহে উপবিষ্টদের তুলনায় এবং প্রত্যেকের সাথেই আল্লাহ্ কল্যাণের ওয়াদা করেছেন| আল্লাহ্ মুজাহেদীনকে উপবিষ্টদের উপর মহান প্রতিদানে শ্রেষ্ঠ করেছেন| ৪-৯৫

-যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে| এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি| ৫-৩৩

-যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্খির করে রাখ| আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব| কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়| ৮-১২

-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না| ৮-১৫

-আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহ্র সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়| তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ্ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন|৮-৩৯

-সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়| ৮-৫৭

-আর কাফেররা যেন একা যা মনে না করে যে, তারা বেঁচে গেছে; কখনও এরা আমাকে পরিশ্রান্ত করতে পারবে না|৮-৫৯

-আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যরে মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহ্র শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ্ তাদেরকে চেনেন| বস্তুত: যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহ্র রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না ৮-৬০

-অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর| আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক| কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও| নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু| ৯-৫

-যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ্ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন| তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন| ৯-১৪

-যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং আল্লাহ্র রাহে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করেছে, তাদের বড় মর্যাদা রয়েছে আল্লাহ্র কাছে আর তারাই সফলকাম| ৯-২০

-তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে| ৯-২৯

-ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহ্র পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহ্র পুত্র’| এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা| এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে| আল্লাহ্ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে| ৯-৩০


-হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহ্র পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প| ৯-৩৮

-যদি বের না হও, তবে আল্লাহ্ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্খলাভিষিক্ত করবেন| তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে শক্তিমান| ৯-৩৯

-তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার| ৯-৪১

-হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন| তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা|৯-৭৩

-কিন্তু রসূল এবং সেসব লোক যারা ঈমান এনেছে, তাঁর সাথে তারা যুদ্ধ করেছে নিজেদের জান ও মালের দ্বারা| তাদেরই জন্য নির্ধারিত রয়েছে কল্যাণসমূহ এবং তারাই মুক্তির লক্ষ্যে উপনীত হয়েছে| ৯-৮৮

- আল্লাহ্ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত| তারা যুদ্ধ করে আল্লাহ্র রাহে: অত:পর মারে ও মরে| তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল| আর আল্লাহ্র চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে| আর এ হল মহান সাফল্য| ৯-১১১

-হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক্ আর জেনে রাখ, আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন| ৯-১২৩

-বরং আমি তাদেরকে এবং তাদের বাপ-দাদাকে ভোগসম্বার দিয়েছিলাম, এমনকি তাদের আয়ুস্কালও দীর্ঘ হয়েছিল| তারা কি দেখে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক থেকে হন্সাস করে আনছি| এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে? ২১-৪৪

-অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন| ২৫-৫২

-অত:পর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল| অত:পর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও| তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে যে পর্যন্ত না শত্রুপক্ষ অস্ত্র সমর্পণ করবে! একথা শুনলে| আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতেন| কিন্তু তিনি তোমাদের কতককে কতকের দ্বারা পরীক্ষা করতে চান| যারা আল্লাহ্র পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না| ৪৭-৪

-অতএব, তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির আহবান জানিও না, তোমরাই হবে প্রবল| আল্লাহ্ই তোমাদের সাথে আছেন| তিনি কখনও তোমাদের কর্ম হন্সাস করবেন না| ৪৭-৩৫

-অন্ধের জন্যে, খঞ্জের জন্যে ও রুগ্নের জন্যে কোন অপরাধ নাই এবং যে কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের অনুগত্য করবে তাকে তিনি জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত হয়| পক্ষান্তরে যে, ব্যক্তি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিবেন| ৪৮-১৭

-মুহাম্মদ আল্লাহ্র রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল| আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন| তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন| তওরাতে তাদের অবস্খা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্খা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অত:পর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ্ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জবালা সৃষ্টি করেন| তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্খাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ্ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন| ৪৮-২৯

-আল্লাহ্ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর| ৬১-৪

-মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? ৬১-১০

-তা এই যে, তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্খাপন করবে এবং আল্লাহ্র পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে| এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ| ৬১-১১

-তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে| এটা মহাসাফল্য| ৬১-১২

-হে নবী! কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন| তাদের ঠিকানা জাহান্নাম| সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্খান| ৬৬-৯

উপরের আয়াত থেকে আমরা যা পাই তা হলো ইসলামের নামে , ইসলাম প্রতিষ্টার নামে অমুসলিম মানুষদের কতল করা পুরোটাই কোরান কর্ত্বক আদেশিত।
----------------------------------------------------------------------

"ফারজানা মাহবুবা"

২:১৯১
ঠিক আগের আয়াতটি সহ আয়াতটি দেখুন- “তোমরা আল্লাহ’র পথে সেসব লোকদের সাথে যুদ্ধ কর যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই সীমালংঘন করোনা। তাদের সাথে যুদ্ধ কর যেখানে পাও সেখানেই। তোমরাও তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করে দিয়েছে”।
১-কেউ আমার সাথে যুদ্ধ করতে আসলে আমি কি যুদ্ধ না করে মার খাবো?
২- সাথে সাথেই বলে দেয়া হয়েছে সীমালঙ্ঘন করা যাবেনা।
৩- কেউ এসে যদি আমার জায়গা দখল করে নেয় আমি কি তাকে আমার জায়গা থেকে বের করে দিবনা?

২:১৯২
এরপরের আয়াত -“যদি তারা যুদ্ধ শেষ করে দেয় তাহলে আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং দয়ালু”
১- অপরপক্ষ যুদ্ধবিরতি চাইলে মুসলিমরা যুদ্ধবিরতি দিতে বাধ্য। যতই যুদ্ধে জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকুক না কেন।
২- কেউ আত্মসমর্পন করার সাথে সাথে সে নিরাপদ। সরকারী বিচার না হওয়া পর্যন্ত কিছুতেই তার ক্ষতি করা যাবেনা।

২:১৯৩
এরপরের আয়াত- “যুদ্ধকারীদের সাথে ফিতনা শেষ না হয়ে যাওয়া এবং আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান(দ্বীন) প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ কর। কিন্তু যদি তারা যুদ্ধ বন্ধ করে দেয় তাহলে তাদের সাথে কোনো শত্রুতা নেই, শুধুমাত্র অত্যাচারীর সাথে ছাড়া”।
১- ফিতনা অর্থ যেকোনো ধরনের অন্যায়, মিথ্যা অপবাদের মাধ্যমে অস্থিরতা। এর বিরুদ্ধে তো সবসময় সোচ্চার থাকা যেকোনো মানুষের মানবিক দায়িত্ব।
২- বার বার বলে দেয়া হচ্ছে - যুদ্ধ বন্ধ করে দিলে কিছুতেই নিজ থেকে যুদ্ধ করা যাবেনা।

২:২১৬
আয়াতটি দেখুন- “তোমাদের জন্য যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, যদিও তোমরা তা অপছন্দ কর। কিন্তু তোমরা যা অপছন্দ কর, হয়তো আল্লাহ তাতেই তোমাদের জন্য মংগল রেখেছেন। আবার হতে পারে তোমরা যা পছন্দ কর তাতে তোমাদের জন্য অমংগল রয়েছে। প্রকৃত জ্ঞান আল্লাহই জানেন, তোমরা না”।
১- এ আয়াতটির ব্যাপারে কোরানিক বিজ্ঞানীরা একমত যে, যুদ্ধ শুরু হলে সরকার বাধ্যতামূলক করে না দেয়া পর্যন্ত সবার উপর যুদ্ধ করা ফরয নয়। ইভেন কারো বাবা-মা যদি অনুমতি না দেয় তাহলে সে যুদ্ধে যেতে পারবেনা। কিন্তু সরকার যদি জরুরী অবস্থা দেখে বাধ্যতামূলক ঘোষনা দেয় তাহলে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ মুসলিম পুরুষ যুদ্ধ করতে বাধ্য।
২- বাধ্যতামূলক জরুরী অবস্থা জারী হলেও অমুসলিমরা যুদ্ধ করতে বাধ্য নয়।
৩-দেশ আক্রান্ত হলে, সরকার ঘোষনা করলে, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ নাগরিক যুদ্ধ করবে দেশ বাঁচানোর জন্যে-এটা তো কমন সেন্সের কথা!

২:২৪৪
এর আগের আয়াত সহ দেখুন- “তোমরা কি দেখোনি যখন তারা সংখ্যায় প্রচুর হওয়ার পরও শুধুমাত্র মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে দলে দলে নিজেদের ভিটা-মাটি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল? তখন আল্লাহ তাদেরকে বললেন- তোমরা ধ্বংস হও। কিন্ত (পরবর্তীতে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করায়) আল্লাহ আবার তাদেরকে জীবিত করলেন। আল্লাহ মানুষের উপর ভীষন দয়াময়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বুঝেনা। তাই তোমরা যুদ্ধ কর আল্লাহর নির্দেশে। এবং ভাল করে জেনে রেখো, আল্লাহ সব শুনেন এবং জানেন”।
১- কাপুরুষদের প্রতি ধিক্কার।
২- কাপুরুষতা না করে যুদ্ধের সময় যুদ্ধ করতে হবে।

৩:৫৬
আয়াতটি হচ্ছে- “ অতএব যারা এরপরও অস্বীকার করবে তাদেরকে আমি পৃথিবী এবং পৃথিবী পরবর্তী জীবনে কঠিন শাস্তি দিব। এবং তাদের জন্যে কোনো সাহায্যকারী থাকবেনা”।
১- এ আয়াতের ঠিক আগের আয়াতেই ঈসা(ক্রাইস্ট) সম্পর্কে বলা হয়েছে। তাই আয়াতটির অর্থ দাঁড়ায়- আমি তোমাদের কাছে আমার মেসেঞ্জার পাঠানোর পরও তোমাদের মধ্যে যারা অস্বীকার করবে তাদেরকে আমি উভয় জগতে শাস্তি দিব।
২- আল্লাহ এতবার এতভাবে তার মেসেজ মানুষের কাছে পাঠাবেন কিন্তু মানুষ তা মানবেনা, আল্লাহ তাকে শাস্তি না দিয়ে কি আদর করবেন?

৩:১৫১
আয়াতটি হচ্ছে- “খুব দ্রুত আমি অস্বীকারকারীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে দিব। যেহেতু তারা কোনো ধরনের প্রমান ছাড়াই আল্লাহ’র সাথে অন্যদের অংশীদার করে।তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। এবং তা অত্যাচারীদের জন্য খুব খারাপ জায়গা”।
১- এ আয়াতটি তার সাথের আরো কিছু আয়াত সহ ওহুদ যুদ্ধের সময় অবতীর্ণ হয়। তখন মুসলিমদের মধ্যে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছিল। তাই আল্লাহ তাদেরকে উতসাহিত করার জন্যে সুসংবাদ দেন।
২- এবং সৃষ্টি যদি তার স্রষ্টাকে অস্বীকার করে তাহলে স্রষ্টা তাকে পানিশমেন্ট দিবেন, এতে অস্বাভাবিকতার কী আছে?

৪:৭৪
আয়াতটি দেখুন-“অতএব যারা পৃথিবীর জীবনের পরিবর্তে পৃথিবী-পরবর্তী জীবনকে কিনে নিয়েছে তারা যেন আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে। যে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে নিহত হয়, অথবা বিজয়ী হয়, আমি তাকে শীঘ্রই অনেক বড় বিনিময় দিব”।
১- যুদ্ধ অর্থ জীবনের উপর রিস্ক। এ বিশাল রিস্ক নেয়ার জন্যে আল্লাহ আপনাকে পুরুস্কৃত করবেন না, এ কেমন কথা?

৪:৮৯
আয়াতটি হল-“তারা চায় তোমরাও তাদের মত অস্বীকারকারী হয়ে যাও। যেন তোমরা তাদের মত হয়ে যাও। তাই তাদের কাউকে বন্ধু বানিওনা। যে পর্যন্ত তারা আল্লাহ’র পথে হিজরত না করে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তাদেরকে বন্দী কর এবং সেখানেই হত্যা কর। তাদের মধ্য থেকে কাউকে বন্ধু বা সাহায্যকারী গ্রহন করোনা”।
১- আয়াতটি অবতীর্ন হয় যখন মুনাফিকরা ইসলামিক সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ অবস্থাতেই বিরোধীশক্তিকে সাহায্য করা শুরু করে। ঠিক এ আয়াতের আগের আয়াতেও মুনাফিকদের কথাই বলা হয়েছে। চুক্তিভংগের ঘোষনা ছাড়া চুক্তি ভংগ করে বিরোধীশক্তিকে সাহায্য করা
আমাদের বর্তমান সময়েও ঘৃন্য অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। এবং কোনো সামরিক বাহিনীর কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে তাহলে তাকে সাথে সাথে কোর্টমার্শাল করা হয়।
২- ‘যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর’- এটা ইসলামিক সরকারকে উদ্দেশ্য করে নির্দেশ। সাধারন কোনো মানুষ নিজ থেকেই যেখানে পেল সেখানেই হত্যা করে ফেলতে পারবেনা। এমনকি যুদ্ধকালীন অবস্থাতেও না, সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তার উপস্থিতি ব্যাতীত।

৪:৯৫
আয়াতটি- “কোনো ধরনের অক্ষমতা ছাড়াই যারা ঘরে বসে থাকে তারা এবং যারা আল্লাহ’র রাস্তায় যুদ্ধ করে জান এবং মাল দিয়ে তারা কখনো সমান নয়। আল্লাহ তাদের মর্যাদা ঘরে বসে থাকাদের চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন। এদের জন্যে আল্লাহ’র পক্ষ থেকে উত্তম পুরুস্কার এবং মর্যাদার ওয়াদা করা হয়েছে”।
১- যে নাগরিক কোনো ধরনের কারন ছাড়াই সরকারী নির্দেশ অবজ্ঞা করে এবং যে অবজ্ঞা করেনা, তারা কি সমান?

৫:৩৩
আয়াতটি- “যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে তাদেরকে হত্যা করা হবে, অথবা শূলবিদ্ধ করা হবে, অথবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে, অথবা নির্বাসিত করা হবে। এটা তাদের জন্যে দু’নিয়ার অপমান এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনে রয়েছে তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি”।
১- ঠিক এর আগের আয়াতেই ‘নিরীহ মানুষকে হত্যার’ কথা বলা হয়েছে। ইসলামিক ল’ অনুযায়ে কেউ যদি কোনো কারন ছাড়াই মানুষ হত্যা/এ ধরনের গুরুতর অপরাধ করে তাহলে তাকেও হত্যা করা হবে।
২- অপরাধের শর্ত হিসেবে ‘পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি’র কথা বলা হয়েছে।
৩- এখানে যে শাস্তির কথা বলা হয়েছে তা অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বিচারকের রায়ে কার্যকর হবে।

৮:১২
আয়াতটি- “যখন তোমার প্রভু ফেরেশতাদেরকে বললেন, আমি তোমাদের সাথেই আছি। তোমরা এদের(মুসলিমদের) অন্তরকে দৃঢ় করে দাও। খুব শীঘ্রই আমি বিপক্ষদলের মধ্যে ভয়ের সৃষ্টি করব। তোমরা তাদের ঘাড়ে আঘাত কর এবং তাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় হত্যা কর”।
১- আয়াতটি অবতীর্ণ হয় বদর যুদ্ধের রাতে। যখন মুসলিমদের সংখ্যা ছিল মাত্র তিনশ তের জন এবং কাফেরদের সংখ্যা ছিল একহাজারেরও অধিক।
২- সংখ্যা অনুপাতে মুসলিমদেরকে বিজয়ী হতে হলে একজন মুসলিমকে কমপক্ষে দু’জন কাফের হত্যা করতে হবে।

৮:১৫
আয়াতটি- “ হে ঈমানদারগন, যখন তোমরা কাফেরদের মুখোমুখি হবে তখন পালিয়ে যেওনা”।
১- পালিয়ে যাওয়া তো কাপুরুষতা!

৮:৩৯
আয়াতটি- “এবং যতক্ষন পর্যন্ত পৃথিবী থেকে সমস্ত বিপর্যয় দূর হয়ে আল্লাহর জীবন বিধান প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষন পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকো। যদি তারা থেমে যায় তাহলে আল্লাহ তাদের কর্মকান্ড লক্ষ্য রাখেন”।
১- একজন মুসলিম তার জীবনের শুর থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাক্তি/সমাজ/রাষ্ট্র/আন্তর্জাতিক সব ক্ষেত্রেই সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে- এটাই ইসলামিক নীতি।
২- সত্যই হল আল্লাহর বিধান। সবক্ষেত্রে সত্যপ্রতিষ্ঠাই তার বিধান প্রতিষ্ঠা।

৮:৫৭
আয়াতটি এর আগের আয়াত সহ দেখুন- “যারা তোমার সাথে সন্ধিচুক্তি করেও বার বার চুক্তি লংঘন করতে ভয় পায়না, তাদেরকে যদি তুমি পেয়ে যাও তাহলে এমন শাস্তি দাও যেন তাদের উত্তরসূরীদের শিক্ষা হয়ে যায়”।
১- আগেই বলেছি চুক্তি থাকা অবস্থায় চুক্তি ভংগ করে বিপক্ষ শক্তিকে সাহায্য করে বিশ্বাসঘাতকতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চূড়ান্ত লংঘন।

৮:৫৯+৮:৬০
আয়াতটি- “কাফেররা যেন কখনোই বুঝতে না পারে ওরা তোমাদের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছে। নিশ্চয়ই তারা তোমাদেরকে হারাতে সক্ষম নয়।তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের বাহন ঘোড়া এবং সর্বোচ্চ শক্তি প্রস্তুত রাখো, যা দিয়ে তোমাদের জানা এবং অজানা শত্রুদেরকে ভীত করে তুলবে।তোমরা আল্লাহ’র পথে (শক্তি,মেধা ও সামর্থ্য থেকে) যাই ব্যায় করবে তার যোগ্য প্রতিদান পাবে। তোমাদের কোনো অধিকার অপূর্ণ রাখা হবেনা”।
১- এটা যূদ্ধের সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট।
২-মানসিকভাবে দূর্বল করে দিলে সহজেই হারানো যায়।
৩- ততকালীন ঘোড়া ভিন্ন ভিন্ন সময়ের সর্বোচ্চ এবং সর্বাধুনিক সমরশয্যার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

৯:৫
আয়াতটি- “নিষিদ্ধ মাস পার হয়ে গেলে আবার যুদ্ধ কর মুশরিকদের বিরুদ্ধে যেখানেই পাবে,তাদেরকে বন্দী কর, বা অবরোধ কর এবং তাদের জন্যে প্রতিটি ঘাটিতে অবস্থান নাও। কিন্তু যদি তারা ভুল বুঝতে পারে, নামায আদায় করে এবং যাকাত দেয় তাহলে তাদেরকে তাদের পথে ছেড়ে দাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং দয়াবান”।
১- ৯ নাম্বার সূরাটির অধিকাংশ আয়াত-ই অবতীর্ণ হয়েছে যুদ্ধনীতি প্রণয়নে।
২- সরাসরি আক্রমনের পাশাপাশি কমান্ডো আক্রমনের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে।
৩- কিন্তু যদি কেউ ধরা পড়ার সাথে সাথে শাহাদাত(declaration of accepting islam) উচ্চারন করে তাহলে তাকে আঘাত করা যাবেনা।

৯:১৪, ৯:২০
আয়াতটি- “তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর, আল্লাহ তোমাদের মাধ্যমেই তাদেরকে শাস্তি দিবেন।তিনি এভাবেই তাদেরকে অপমানিত করবেন এবং তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন। এবং মু’মিনদের অন্তরকে শান্ত করবেন”।
“যারা ঈমান এনেছে এবং হিজরত করেছে এবং আল্লাহ’র পথে জান ও মাল দিয়ে যুদ্ধ করেছে, তাদের জন্য আল্লাহ’র কাছে সবচেয়ে বড় মর্যাদা রয়েছে। তারাই হল সফলকাম”
১- যুদ্ধ শুধু অস্ত্র দিয়ে নয়। খেয়াল করুন যেখানেই যুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে, সম্পদের কথাও বলা হচ্ছে। একটা মানুষ নিজ সম্পদ থেকে কোনো ধরনের প্রফিট ছাড়াই গরীবদেরকে দান করাও কিন্তু তার নিজ প্রবৃত্তির সাথে যুদ্ধ।
২- তাই যুদ্ধকে শুধু সংকীর্ণ কন্সেপ্টে নিলে হবেনা।

৯:২৯
আয়াতটি- “পূর্ববর্তী ঐশীগ্রন্থ-প্রাপ্তদের মধ্য থেকে যারা আল্লাহ এবং বিচারদিনকে বিশ্বাস করেনা, আল্লাহ যা নিষিদ্ধ করেছে তা নিষিদ্ধ মনে করেনা, এবং সত্যবিধানকে গ্রহন করেনা
তারা যতক্ষন পর্যন্ত স্বেচ্ছায় কর প্রদান করবেনা ততক্ষন পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ কর”।
১- ইসলামিক রাষ্ট্রে সকল প্রকার ধর্মীয় এবং নাগরিক সুবিধা ও নিরাপত্তার বিনিময়ে একজন অমুসলিম কর দিতে বাধ্য।
২- বিনিময়ে যখন রাষ্ট্রে যুদ্ধের মত মারাত্নক পরিস্থিতে সকল নাগরিক যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে বাধ্য, তখনো অমুসলিম ব্যাক্তি এই নির্দেশের বাইরে থাকার সুযোগ ভোগ করবে। তার ইচ্ছা না হলে সরকার তাকে বাধ্য করতে পারবেনা।

৯:৩০
আয়াতটি- “ইহুদীরা বলে উযাইর আল্লাহর পুত্র, খৃষ্টানরা বলে মোজেস আল্লাহ’র পুত্র। এটা তাদের মুখের (বানানো) কথা। তারা তাদের পূর্বের অস্বীকারকারী লোকদের অনুসরন করছে মাত্র! আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুক। এরাতো উলটো পথে চলে যাচ্ছে!”
১- ইহুদী এবং খৃষ্টানদের ততকালীন পন্ডিতগন তাদের স্ব স্ব ধর্মীয় গ্রন্থ সংস্করনের মাধ্যমে একত্ববাদের কন্সেপ্টকে বিকৃত করে আল্লাহ’র সত্ত্বায় অংশীদারিত্ব স্থাপন করায় তাদেরকে ধিক্কার দেয়া হয়েছে সত্য গোপন করার জন্যে।

৯:৩৮,৩৯,৪১,৭৩,৮৮,১১১,১২৩
“হে ঈমানদারগন, তোমাদের কী হয়েছে? যোখন তোমাদেরকে আল্লাহ’র রাস্তায় বের হতে বলা হয় তখন তোমরা মাটি কাঁমড়ে পড়ে থাকো। তোমরা কি আখেরাতের চেয়ে দুনিয়ার জীবনকে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছ? অথচ আখেরাতের মানদন্ডে দুনিয়ার জীবনের এই ভোগ কিছুই না! যদি তোমরা বের না হও তাহলে তিনি তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দিবেন এবং তোমাদের স্থানে অন্য জাতিকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোনো ক্ষতিই করতে পারবেনা। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।”
“তোমরা বের হয়ে পড়, স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে, এবং যুদ্ধ কর আল্লাহ’র পথে জান ও মাল দিয়ে, এটাই উত্তম যদি তোমরা জান”।
“হে নবী, কাফের এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম, এবং তা খুবই নিকৃষ্ঠ ঠিকানা”।
“রাসূল এবং তার সাথে যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং যুদ্ধ করেছে জান ও মাল দিয়ে তারাই কল্যানপ্রাপ্ত এবং তারাই সফলকাম”।
“আল্লাহ মুসলিমদের থেকে জান্নাতের বিনিময়ে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন। তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, মারে অথবা মরে। এই প্রতিশ্রুতিই আল্লাহ দিয়েছেন তাওরাত, ইঞ্জিল এবং কোরানে। আল্লাহ’র চেয়ে কে অধিক প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী? সুতরাং তোমরা আল্লাহ’র সাথে এ লেনদেনে খুশী হও। এটিই মহান সাফল্য”।
“হে ঈমানদারগন তোমরা কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাও। তারা তোমাদের কঠোরতা অনুধাবন করুক। আর আল্লাহ তাকে ভয়কারীদের সাথেই রয়েছেন”।
১- সবগুলো আয়াতই যুদ্ধসংক্রান্ত নীতি বর্ণনার ক্ষেত্রে এসেছে।
২- এদের ব্যাখ্যা আগের ব্যাখ্যাতেই চলে এসেছে।

২১:৪৪
আয়াতটি- “আমি এদের এবং এদের পুর্বপুরুষদের যাবতীয় ভোগের সামগ্রী দান করেছি এবং তাদের জীবনকেও দীর্ঘ করেছি। কিন্তু তারা কি দেখেনা এরপর আমি ধীরে ধীরে তাদের জন্য পৃথিবীকে সংকুচিত করে এনেছি? এরপরও কি তারা বিজয়ী হওয়ার আশা করে?”
১- যুদ্ধের আয়াতের ক্ষেত্রে অপ্রাসংগিক।
২- এটি ইতিহাস-সংক্রান্ত আয়াত।

২৫:৫২
আয়াতটি- “অতএব তুমি কাফেরদের অনুসরন করোনা। তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্নকভাবে যুদ্ধ কর”।
১- ব্যাখ্যা আগেই চলে এসেছে।

৪৭:৪
আয়াতটি- “যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে তখন পূর্ন শক্তিতে আঘাত কর। এবং যখন তোমরা তাদেরকে পরাভূত করবে এবং বন্দী করবে তখন তাদেরকে শক্ত করে বেঁধে ফেল। অতঃপর হয় তাদেরকে ছেড়ে দাও, অথবা মুক্তিপণ গ্রহন কর। তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত যুদ্ধ করবে যতক্ষন পর্যন্ত শত্রুরা আত্নসমর্পন না করে।আল্লাহ ইচ্ছা করলে নিজেই তা করতে পারেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরক পরীক্ষা করতে চান। যারা আল্লাহ’র পথে নিহত হয় আল্লাহ তাদের কাজকে নষ্ট করে দিবেন না”।
১- যুদ্ধ বন্দী নীতি।

৪৭:৩৫,৪৮:১৭
“অতএব তোমরা হতাশ হয়ে সন্ধির আহবান জানিয়োনা। তোমরাই বিজয়ী হবে। আল্লাহ তোমাদের সাথেই আছেন। তিনি তোমাদের কোনো কাজ নষ্ট করবেন না”।
“তবে কোনো অন্ধ, পংগু বা রুগ্ন ব্যাক্তি যুদ্ধ না করলে তার জন্যে অপরাধ নেই।যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে তাকে তিনি এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশ দিয়ে ঝর্নাধারা প্রবাহিত। এবং যে মুখ ফিরিয়ে নিবে তার জন্য কঠিন আযাব”।
১- ডিস-অর্ডার মানুষদের জন্য যুদ্ধনীতি।

৪৮:২৯,৬১:৪,১০,১১,১২
“মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল।তাঁর সাথে যারা রয়েছে তারা কাফেরদের ব্যপারে কঠোর এবং অন্যদের জন্য দয়ালু। তুমি তাদেরকে দেখবে রুকূ অথবা সিজদায় আল্লাহর অনুগ্রহ এবং সন্তুষ্টি প্রার্থনা করছে। তাদের চেহারায় দেখতে পাবে সিজদার চিহ্ন। তাদের উদাহরন বর্ননা করা হয়েছে তাওরাত এবং ইঞ্জিলেও, যেন তারা একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত হয় এবং কান্ডের উপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়ায়।যা চাষীকে আনন্দিত করে। তাদেরকে দেখে কাফেরদের অন্তর্জালা শুরু হয়। যারা ঈমান এনেছে এবং সতকাজ করেছে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা এবং বড় প্রতিদান”।
“আল্লাহ তাদেরকেই পছন্দ করেন যারা তাঁর পথে যুদ্ধ করে সীসাঢালা প্রাচীরের মত”।
“আমি কি তোমাদেরকে এমন একটা ব্যবসার কথা বলে দিব যা তোমাদেরকে কঠিন আযাব থেকে বাঁচাবে? তা হচ্ছে- তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনো, তার পথে যুদ্ধ কর জান ও মাল দিয়ে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যদি তোমরা জানো। আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করে দিবেন, তোমাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত এবং স্থায়ী সর্বোত্তম আবাসস্থল। এটাই সর্বোত্তম সাফল্য”।
“হে নবী, কাফের এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর এবং তাদের ব্যাপারে কঠোর হও। তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। তা কতই না নিকৃষ্ঠ ঠিকানা!”
১-ব্যাখ্যা চলে এসেছে।
২- রাসূলকে বার বার কঠোর হওয়ার কথা বলা হয়েছে কারন, তিনি তার প্রকৃতিগত দয়ালু স্বভাবের কারনে শত্রুর ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিতে কুন্ঠিত ছিলেন

মূল লিখা দেখতে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৬
২৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×