somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাবিনা ইয়াসমিনকে কবীর সুমন (সুমন চট্টপাধ্যায়) -এর লেখা একি চিঠি একটি অজানা সত্য

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৯৬ সালে কবীর সুমন (সুমন চট্টপাধ্যায়) বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলেন। সে সময়ে ওনাকে আমন্ত্রন করা হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর নির্মানের তহবিল সংগ্রহের জন্য ফ্রি কনসার্ট করতে। উনি তা করেছিলেন। উনি ১৯৯৮ সালে আবার এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মানের তহবিল সংগ্রহের জন্য। এর পর সিডর দুর্গতদের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য ও এসেছিলেন।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি মাসিক পত্রিকায় নাট্য ব্যক্তিত্ব শ্রদ্ধেয় জনাব আলী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর/ দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের স্মৃতিচিহ্ন শীর্ষক একনি নিবন্ধন লেখেন। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই নিবন্ধে কোথাও উল্লেখ নেই কবীর সুমনের নাম। এতে উনি বিস্মিত হয়ে যান এবং একটি চিঠি লেখেন ওনার স্ত্রী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন কে। চিঠিটি ছাপা হয় জনাব শফিক রেহমান সম্পাদিত মাসিক পত্রিকা মৌচাকে ঢিলে। সে চিঠিটি পড়ে আমি জবাব দেয়া চেষ্টা করেছি।


প্রিয় সুমন ভাই
শুভচ্ছো ও ভালোবাসা নবনি।আজ (২৬ আশ্বিন ১৪১৬, রোববার) আমি আপনার একটা চিঠি পড়লাম। চিঠিটি আপনি লখছিলেন সাবিনা আপাকে আর ছাপা হয়েছে শফকি রহমোন সম্পাদতি মৌচাকে ঢলি নামরে একটি মাসকি পত্রকািয়। আমি এই পত্রিকাটি নয়মিতি পড়ি এবং এখানে অনয়মিতি লিখি। এপার বাংলার এক সঙ্গতি শিল্পী আছনে নাম অর্ণব। বোধকরি চনেন। ওর একটি গানরে কথা আছে এরকম একটি বাংলা ভেঙে আধ খানা আছে........। গানরে এই কথা আমাকে পূনঃরায় ভাবিয়েছে। আসলেই তো তাই! আর আমি যবে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই ওপাররে ভাল সংস্কৃতরি প্রতি আমার বশে আস্থা বিশ্বাস ও ভালোবাসা আছে। আপনি অঞ্জন দা, নচিকেতা, লোপাদি সহ আরো যাঁরা আছনে তাঁদরে সকলকেই আমার আত্মার আত্মীয় মনে হয়। যাই হোক আমি আপনাদের ঐ বাংলায় কখনই যাইনি। যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। ওখানকার সাংস্কৃতরি প্রবাহ ওখানে কমনে তা আমি জানি না। আমি একজন চলচ্চিত্র কর্মী তাই কিছুটা হলেও আমার ঘররে খবর তো জানি। আমার বাংলার সংস্কৃতি একসময় পরিচালিত হতো তাঁদরে দ্বারা যার নাম আপনি আপনার চিঠিতে উল্লখে করেছেন তিনি সহ আরো কয়কে জনরে দ্বারা। আর তাঁরা হলনে আসাদুজ্জামান নূর, আলী জাকের, সারা জাকের, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মামুনুর রশিদ, ড. এনামুল হক, লাকি ইনাম, শংকর শাঁওজাল, রামেন্দু মজুমদার, এরকম হাতে গোনা কয়কজেন। যাঁদের অবদান আমরা কোন দিন ভুলতে চাইলেও ভুলতে পারব না। তাঁদরে একটা বলয় ছিলো, সহসা সেই বলয় ভেদ করে কেউ ঢুকতে পারতো না। দেশে বিটিভি (বাংলাদেশ টেলিভিশন) ছাড়া অন্য কোনো টিভি চ্যানেল ছিলো না। সময়রে পর্রবতিনরে সাথে সাথে এসেছে নতুন চ্যানেল। কাজরে সুযোগ পেয়েছেন অনকে মেধাবী নির্মাতা ও অভিনেতা-অভিনেত্রী।
কিন্তু এদেশের প্রত্যেকটি বিষেয় সাথে জড়তি হেয়েছে রাজনীতি। যা ভালোর বদলে সবকিছুকে করেছে পঙ্গু আর দূষিত। ভালো মানুষরে বা ভালো কাজরে স্বীকৃতি এখানে কখনো ছিলোনা বা আজও নেই। মুক্তিযুদ্ধ কি এবং এর মহিমা কতোটা তা এদেশের পনের কোটি লোকরে ক’জন বোঝনে আর ক’জন বোঝনে না, তা আমার বোধগম্য নয়। তবে না বোঝা লোকরে সংখ্যাই বেশী বলে মনে হয় আমার কাছে। এদেশের এমন অনকে মানুষ আছনে যাকে এক সরকার বলে মুক্তিযুদ্ধা তো অন্য সরকার বলে রাজাকার। এমনটা পৃথীবির অন্য কোন দেশে আছে কিনা আমার জানা নেই। এখানে দিনের পর দিন না খেয়ে বিনাচিকিৎসায় ধুকে ধুকে মরছে অনকে অসহায় পঙ্গু মুক্তিযুদ্ধা। কিন্তু হাস্যকর হলেও সত্য যে আমাদরে দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আছে। বলি সারা বিশ্বে আর কটা দেশে আছে এমন মন্ত্রণালয়? ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধীতা করেছে এখানে এখন তাদরে গাড়ীতে উড়ছে আমার সোনার বাংলার লাল-সবুজ পতাকা। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে প্রতনয়িতি কুত্তার মতো কামড়া কামড়ি করে দেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল। সেখানে সংস্কৃতির মধ্যে রাজনীতি নামক রি-এজেন্ট না ঢুকে উপায় কি বলুন? আমি আপনার চিঠি বার কয়কে পড়েছি। প্রতি বছর যদি আমরা জর্জ হেরিসনের নাম শ্রদ্ধাভরে উল্লখে করতে পারি তা হলে আমার মনে হয় আপনার নাম জনাব আলী জাকরে তাঁর লেখায়র অন্তত একবার হলেও উল্লেখ করতে পারতেন। আমি বলছিনা যে জজ হেরিসনের চেয়ে আপনার অবদান বেশী বা সমান সমান। আপনার চেয়ে ওনার অবদানটা অনেক বেশীই ছিলো। এটা ওনার (জনাব আলী জাকেরের) ইচ্ছাকৃত ভুল কিনা আমি বুঝতে পারছি না। আমি ব্যক্তগতি ভাবে এর জন্য ব্যথতি। আমার দেশের একজন কবির একটা কবিতার লাইন আছে এরকম “বারবারা, তোমার কবিতা আমার গিলে করা পাঞ্জাবীকে মিছিলে নামিয়েছিলো।’’
আর আমি বলছি ‘‘সুমন ভাই আপনার গান আমাকে মানুষরে জন্য পথে নামতে শিখিয়েছে''
কিন্তু এটা কি করলেন জনাব আলী জাকের? তবে একথাই শষে কথা নয় শেষ কথা হলো ''একদিন ঝড় থেমে যাবে...... পৃথীবি আবার শান্ত হবে....''
সেদিন খুব বেশী দুরে নয়। শীগ্রই জন্ম হবে একটা নতুন পৃথীবির। সেখানে দখো হবে আমাদের।শান্তির দুত হয়ে বড়োতে আসবনে আপনি, সবুজ গালিচা দিয়ে বরণ করা হবে আপনাকে। শত শত শিশু আঙ্গুল তুলে দেখাবে আপনাকে আর বলবে ''ইনি হচ্ছনে কবীর সুমন। যিনি এদেশে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্থাপনের অর্থ সংগ্রহরে জন্য কনসার্ট করেছিলেন অথচ নিজের সম্মানীর কথা ভাবেন নি একটি বারও।
ভালো থাকবেন।



সাইফুল বাতেন টিটো

২৮টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×