লিখিনা, যখন লিখিনা তখন এবং তখন থেকে ধীরে ধীরে যন্ত্রণা হয়, যন্ত্রণা হয় মনের সবটুকুতেই। আচ্ছা, আমি কি লেখক যে লিখবো? নই কবিও, কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ কিছু একটা লিখে ফেলি, যেন হাল্কা হই। ভাবি, এ হয়তো কাব্য নয়, ভাবনা আবার দুর্ভাবনায় রূপান্তরিত হয়, আবার কষ্ট বাড়ে দিনে দিনে, আবার লিখি, লিখতে হয়, যেন এটাই উপশম। এখন সকাল, জীবনের সকালটা আজকাল খুব বেশী বেশী সামনে এসে দাঁড়ায়। সে ও তো যদি সুখস্মৃতি হতো, সেকালের ব্যাথাটা রীতিমত জীবন্ত হয়ে এল। আমি বলি, জীবনটা তো ব্যাথার সাগর, ছোট ছোট দ্বীপ জেগে আছে সাগরজুড়ে, ক্লান্ত আমরা খানিক বিশ্রাম নেই এদ্বীপে-ওদ্বীপে, স্মৃতিপটে আনন্দ, সুখ, ভালবাসা যে শব্দেরই অনুসন্ধান করি, এই টুকু মেলে। এদিকে দেখি তো সুবিশাল প্রাসাদ, নির্ঘুম চোখ, ওদিকে নুড়ির বিছানায় বস্তার দেয়ালের ওপাশে প্রশান্ত নিদ্রা। মাটি আর আকাশের মাঝখানে আমাদের বসবাস। দু’দেশের দু’টি পাখির ছোট্ট সংসার আমাদের আমি। আকাশের চেয়ে মাটিই আজ বড় বেশী ভালবাসে, তাইতো আপন বুকের সবটুকু আকর্ষণ দিয়ে নিরন্তর আগলে রাখে উষ্ণতলে। আকাশ যেদিন ভালবাসবে, সেদিনই ভাঙ্গবে দু’টি পাখির এ ছোট্ট সংসার। এখন আমার আর ঐ নীলের মাঝখানে সাদা সাদা মেঘ, কখনো কখনো খুঁজে পাই, হারিয়ে যাই মেঘে মেঘে, দেশে দেশে, আকাশে আকাশে . . . ।
[সবিনয় নিবেদনঃ এ আমার চঞ্চল মনের এলোমেলো ভাবনা, কোন বিষয় সন্ধান করবেন না যেন, যদি কেউ পড়ে থাকেন।]