somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাকে মিছিলে যেতে হত প্রতি সপ্তাহে । এক মাস পরে আমাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়।

১২ ই অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৪ এফ এইচ হল । আমি ১ম বরসের ছাত্র (পলিটিক্স করি সিটের জন্য। আমার ধারনা ছিল ঢাবিতে যারা আসে তারা একটি এলাকার সবচেয়ে মেধাবি আর ভাল মানুস । হায়রে - এখানের যারা পলিটিক্স করে তারা কতটা নংরা হতে পারে কল্পনা করা ্যায় নাহ ।

আমাকে মিছিলে যেতে হত প্রতি সপ্তাহে । যেতাম - অসুবিধাআ কি ? মজাই লাগে । কাজ নাই - মধুতে যাও চা খাও আর বড় ভাইদের পাশে দাঁড়িয়ে থাক। প্রতিদিন ফুটবল খেলা হত, খেলাতাম, রক্তদান এ কাজ করতাম কি যে ভাল লাগত। ক্লাস কর সারা রাত তাস খেল র চাঙ্খারপুল এ গিয়া তেল ছাড়া পরতা খাও ।

কানটিন এর লাস্ট টেবিল পলিটিকাল টেবিল । অখানে বস্লে খাবার তারা তারি আসে, নাহলে খাওা অরধেক নিয়া তরকারির জন্য বসে থাকতে হয় । আমার অখানে বসতে ভাল লাগে নাহ। কারন নায় বললাম।

ডাইনিং এ খাওয়া শুরু করলাম। মাটিতে বসে খেতে ভাল লাগে তাই তাব্লিগি ভাইদের সাথে বসে খেতাম । এক বড় ভাই লাস্ট ইয়ার এর আমার পাশেই বসতেন । আলু ভরতা করলে আমাকে দিয়ে দিতেন।উনি খেতেন নাহ।এক সাথে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছি বহুতদিন।

ফর ইয়ার অনার্স এর আন্দলন শুরু হল। আমাদের সবার দাবি। এটা পলিটিকাল আন্দলন ছিল নাহ । পলিটিকাল বড় ভাই রাও প্রথমে ছিলেন । কিন্তু রাতের বেলা ১টায় আমাদের ১০ জনকে ডেকে পাঠান হল ওই ভাই সহ আরও কয়েক জনকে পিটিয়ে আসতে হবে ।

কস্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। যে ভাইয়ের সাথে বসে খাবার ভাগ করে খেয়েছি, হলে জাকে দেখে সালাম দিয়েছি নামায পড়ছি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তার গায়ে কেম্নে হাত তুলি ?

উনি নাকি শিবির- হল শিবির আমার তখন একটাই কথা মাথায় ঘুরছে এটা কেমন করে করব ? ১০ জন ছিলাম আমরা ৪ জন না করে বসলাম ।
কেমন করে জানি সাহস পেয়ে গেলাম। প্রস্ন করলাম আমি ১ম বরষের হয়ে যদি ৪থ এর গায়ে হাত তুলি তাহলে আমাকেও ত কেও একজন এসে মারবে ভবিশ্যতে । আমাকে হল থেকে বের করে দিলে দেন কিন্তু এরকম অন্নায় মারামারিতে আমি নাই।

রুমে এসে ঘুমিয়েছি ৪টায় ঘুম থেকে তুলে ডেকে নিয়ে বুঝান হল দলের আদর্শ ।

এক মাস পরে আমাকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। আর অই রাতে ৪জন বড় ভাইকে কি পরিমান মারা হয়েছিল ? বিবিসি তে নিউজ হল নাম সহ। আর আমরা শুনলাম কেন্দ্রিও কমান্ডের নির্লজ মিথথআ ।

আহ কত অন্নায় !!
২৪টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরাধের সেকাল ও একাল

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

সেকাল
--------------------------------------------------------
স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা হেনরি বেভারিজ ছিলেন বৃটিশ-ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য৷বেভারিজ ১৮৭০ সালের মার্চ হতে ১৮৭১ সালের মার্চ এবং ১৮৭১ সালের জুন থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×