somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: সুখের ফুল

১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কমলগঞ্জের পীরসাহেব সম্প্রতি খুন হয়েছেন।
অত্র এলাকার নামকরা পীর ছিলেন কমলগঞ্জের পীরসাহেব: লোকে একনামে চিনত । পীর সাহেবের আসল নাম কেউই জানে না, কমলগঞ্জের পীরসাহেব নামেই তিনি পরিচিত ছিলেন।
কমলগঞ্জের পীরসাহেব নাকি বড় বাতেনী পীর ছিলেন; জ্বীন পুষতেন: বাস করতেন ছোটখাটো একটি দিঘি ঘিরে পুরনো তিনমহলা মঞ্জিলে । কমলগঞ্জের পীরসাহেব ঠিক উঠতি পীর নন-তার পীরের বংশ; পীরসাহেবের দাদার দাদা পীর সাহিব আলী বখত গজনভীও নাকি জবরদস্ত রুহানী পীর ছিলেন। তিনিও নাকি জ্বীন পুষতেন!
কিন্তু, কার এতবড় সাহস - কে কমলগঞ্জের পীরসাহেবকে খুন করার হিম্মত রাখে?
সন্দেহের তীর পীরসাহেবের চতুর্থ স্ত্রীর দিকে। পীরসাহেবের চতুর্থ স্ত্রী রোজিনা বেগম ছিলেন রসুলপুর থানার ওসি হাবিবুর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী । সাতান্ন বছর বয়েসে পীরসাহেব রোজিনা বেগমকে চতুর্থ স্ত্রী করে ঘরে তুলেছিলেন। রসুলপুর থানার ওসি হাবিবুর রহমান বছর তিনেক আগে প্রায়ই কমলগঞ্জের পীরসাহেবের মঞ্জিলে যাওয়া-আসা করতেন;-তারপর কী যে হল ... ইদানিং নাকি মোস্তফা নামে পীরসাহেবের এক যুবক মুরিদের সঙ্গে রোজিনা বেগমের
গোপন মেলামেশার কথা শোনা যাচ্ছিল। পীরসাহেব খুন হওয়ার পর দুজনই পালিয়ে গেছে।
এতসব কিচ্ছা মমতাজ শুনতে চায় না। তার বুকে অসহ্য যন্ত্রণা আর শূন্যতা। একটি বিশেষ প্রয়োজনেই মমতাজ কমলগঞ্জের পীরসাহেব কাছে তদবির নিয়ে গেছিল । ইদানিং মমতাজের কাছে মমতাজের স্বামীর ভাবসাব ভালো ঠেকছিল না । পান খাওয়া ধরছে আফতাব, রাত করে বাড়ি ফিরে আর আফতাবের শার্টে অন্য মেয়েমানুষের গন্ধ পায় মমতাজ। অনেকটা নিরুপায় হয়েই পীরসাহেব কাছে গিয়েছিল। সবশুনে পীরসাহেব বলছিলেন, তর স্বামীরে পরীতে ধরছে। তয় চিন্তার কিছু নাই- আজ রাইতে আমি মোরাকাবায় বইসা জ্বীন চালান দিমু। ইনশাল্লা, তর স্বামী তর কাছে ফির‌্যা আসব দেখিস।
সেই পীরসাহেব খুন হয়ে গেল? এখন? এখন মমতাজ কি করবে? কার কাছে যাবে। মমতাজের বুকে অসহ্য যন্ত্রণা আর শূন্যতা। পীরসাহেব বুজুর্গ ব্যাক্তি ছিলেন। আল্লা তারে বাঁচাইতে পারল না-এমন একটি অস্বস্তিকর ভাবনাও উঁকি দিল মমতাজের মনে।
আফতাব সত্যসত্যই পূবপাড়ার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হাবিবের বউয়ের সঙ্গে অল্পবিস্তর জড়িয়ে গেছে । পূবপাড়ার হাবিব বছর দুই হল মালয়েশিয়া। এই সুযোগে নয়নতারা উড়াল দিয়েছে। তেমন সুন্দরী না হলেও নয়নতারা সারাক্ষণই ভীষণ ছটফট করে। কমলগঞ্জের ফারুক খোনকার কাছাড়ি বাড়িতেই আফতাব প্রথম নয়নতারাকে দেখেছিল। তার পরপরই নয়নতারার ছটফটানি কী ভাবে যেন আফতাবের ভিতরেও ঢুকে যায়। নয়নতারা বিল্লালের সঙ্গে ফারুক খোনকার কাছাড়ি বাড়িতে গিয়েছিল। বিল্লাল এখন নয়নতারার প্রেমিক; বিল্লাল ফারুক খোনকারের অনুগতদের একজন। যা হোক। সবাইকে খুশি রাখতে হয় ফারুক খোনকারকে; আফতাবের অস্থিরতা টের পেয়ে ফারুক খোনকারই নয়নতারার সঙ্গে তার ঘনিষ্ট হওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। সেই নয়নতারার রুপে মজে আছে আফতাব; নয়নতারার সেন্টের গন্ধ আফতাবের শার্টে লাগে ...মমতাজ টের পায়। তবে কদিন আগে নয়নতারা সম্বন্ধে ফারুক খোনকার যা বলল, তাতে আফতাব ভীষণ ভয় খেয়ে গেছে: নয়নতারার নাকি কীসব অসুখবিসুখ আছে।
ফারুক খোনকারের কথা অস্বীকার করার উপায় কী-এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞত মানুষ সে, কৈশরে তার সঙ্গেই মদনগঞ্জের বেশ্যাবাড়িতে গিয়েছিল আফতাব। তা ছাড়া ফারুক খোনকার কমলগঞ্জের ছোটখাটো জোরদার - নানা ধরনের ব্যবসা আছে। ধনের পার্থক্য থাকলেও ফারুক খোনকার কখনও আফতাবের সঙ্গে অবজ্ঞা করে না-আফতাব তার বন্ধু মানুষ, একসঙ্গে আলী বখত গজনভী স্কুলে পড়েছে।
বড়বাড়ির অনেকটা বাইরে আমবাগানের ভিতরে ফারুক খোনকারের কাচারি বাড়ি। পাকা। দোতলা। একতলায় গুদামঘর। দোতলায় বেশ ক’টা গোপন কোঠাও আছে। নয়নতারার সঙ্গে তারই একটি কোঠায়
কয়েকবার মিলিত হয়েছিল আফতাব। এখানেই সে কমলগঞ্জের পীরসাহেব মুরিদ মোস্তফাকে দেখে ভিমরি খায় । ফিসফিস করে সে ফারুক খোনকার কে বলে, তুমি এরে আশ্রয় দিস? পুলিশ না এরে খুঁজতেছে?
ফারুক খোনকার এর কন্ঠস্বরটা চিকন আর ফ্যাসফ্যাসে। সে ফ্যাসফ্যাসে সুরে বলে, তুমি জান না, মোস্তফা আমার পিয়ারের লোক?
বুঝছি। আফতাব বলে।
ফারুক খোনকার লোকটা আফতাবেরই সমান বয়েসি, এই চল্লিশ কি বেয়াল্লিশ। চোয়াল ভাঙ্গা
কালো মুখে বসন্তের দাগ, মাঝখানে সিথি কাটা কোঁকড়া চুল, চোখে বাইফোকাল চশমা; অনেকটা স্কুল মাস্টারদের মতন চেহারা-কিন্তু কে বলবে বছরে দু-চারটা প্রাণ তার ইঙ্গিতেই ঝরে যায়।
আফতাব দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে। জানালার বাইরে তাকায়। আমপাতায় ঝলমলে রোদ। টকটক গন্ধ পায় সে। সে জানে ফারুক খোনকার পিয়ারের লোক মোস্তফা । কমলগঞ্জের পীরসাহেবের সঙ্গে কী সব গোপন ব্যাবসাপাতি ছিল ফারুক খোনকারের-সেসব মোস্তফাই দেখাশোনা করত।
ফারুক খোনকার আফতাবকে বিশ্বাস করে। সেজন্যই হয়তো সে বলে, ভিতরে কোঠায় হুজুরের স্ত্রী রোজিনা বেগমও আছেন।
কও কি! আফতাফ ভীষণ চমকে ওঠে।
ফারুক খোনকার সিগারেট টানছিল। ধোঁওয়া ছেড়ে বলল, তয় রোজিনা বেগম বা মোস্তফায় হুজুর রে খুন করে নাই।
কও কি? আফতাবের বুক ঢিপ ঢিপ করে। পুলিশ কি ফারুক খোনকারের কাছারি বাড়িতে আসতে পারে। মনে হয় না। পুলিশের সঙ্গে ফারুক খোনকারের ওঠাবসা আছে। তারপরও বলা যায় না। ফারুক খোনকার বলল, রোজিনা বেগম বা মোস্তফায় পীরসাহেব রে খুন করে নাই। তাইলে? পীরসাহেবরে কে খুন করছে? এই প্রশ্নটা সে না জিজ্ঞেস করে পারল না।
কে কইতে পারে। ফারুক খোনকার কাঁধ ঝাঁকায়।
আফতাব জিজ্ঞেস করে, তয় মোস্তফায় রোজিনা বেগমরে লইয়া পলাইল ক্যান?
আহা, পুলিশে সন্দেহ করব না? তাগো লইয়া আগে থেকেই কানাঘুঁষা চলতেছিল।
বুঝছি। আফতাব মাথা নাড়ে। একটা কাক ডাকছিল। জানালার বাইরে। সে সেদিকে তাকায়। কাকটা দেখতে পায় না। তবে তার একবার রোজিনা বেগমরে মুখটা দেখার ইচ্ছে হয়। খুবই সুন্দরী নাকি।
এর পরপরই নয়নতারার প্রসঙ্গ তোলে ফারুক খোনকার-নয়নতারার নাকি কীসব অসুখবিসুখ আছে। বিল্লাল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। কদমতলীর শামসের ডাকতারের চিকিৎসা নিতেছে; তুমি ওই মাগীর কাছ থেকে সইরা আস আফতাব। মাগীরে আর আমি এখানে ঢুকতে দিমু না। ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলে ফারুক খোনকার।
ফারুক খোনকারের কথা অমান্য করার উপায় নেই। বন্ধু হলেও ফারুক খোনকারই তার উপরওয়ালা, তাছাড়া শুভাকাঙ্খি-আপদে বিপদে পাশে থাকে।
আফতাব মনে মনে তওবা করে । বেপথে সে আর যাবে না। তা ছাড়া মমতাজ এখনও যৌবতী আছে। মমতাজরে এখনও আদরসোহাগ করে আরাম পাওয়া যায়। আফতাব ঠিক করল; পান খাওয়াও ছেড়ে দেবে সে। নয়নতারা সোহাগ করে তারে পানের নেশা ধরিয়েছিল।
ভালো মানুষের মতন ঘরে ফিরে আসে আফতাব।
তার আগে মমতাজের জন্য শাড়ি কেনে। গতমাসে ফারুক খোনকার-এর একটা বিশেষ কাজ করে দিয়েছিল সে। কিছু টাকা পেত, আজ সে টাকা পাওয়া গেল। সে টাকায় গঞ্জের শাহী নূর মার্কেট থেকে ফিরোজা রঙের একটা সুতির শাড়ি কিনল সে ।
বাড়ি ফিরতে ফিরতে আফতাবের কী কারণে মনে হল: কমলগঞ্জের পীরসাহেবের চতুর্থ স্ত্রী রোজিনা বেগম রসুলপুর থানার ওসি হাবিবুর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন।
ওসি সাহেব কি এখন প্রতিশোধ নিবেন?
স্বামীর হাতে শাড়ি দেখে মমতাজ রীতিমতো অবাক। মুহূর্তেই মমতাজের বুকের গভীরে সুখের ঢেউ খেলে যায়। ও আল্লা, এ কি হইল? মমতাজ এত খুশি রাখবে কই?
দিন কয়েক বাদে স্বামীর আচরণে মমতাজ আরও অবাক। বিয়ার পরে লোকটা যেমন ছিল - ঠিক তেমনই আচরণ করছে, ঘর থেকে বের হয় কম, সিগারেট খাওয়াও কমে গেছে আর পান তো খায়ই না। কি হইল কি? মমতাজ আর ভাবে।
কমলগঞ্জের পীরসাহেব মুখটা মনে পড়ে। সবই পীরসাহেবের দোয়া। পীরসাহেব কইছিলেন, তর স্বামীরে পরীতে ধরছে। তয় চিন্তার কিছু নাই- আজ রাইতে আমি মোরাকাবায় বইসা জ্বীন চালান দিমু। ইনশাল্লা, তর স্বামী তর কাছে ফির‌্যা আসব দেখিস।
পীরসাহেবের কথাই সত্য হইল। বারো বছরের সংসার মমতাজের, পীরসাহেবের দোয়ায় টিকে গেল। তবে পরীটা কে ছিল-সেটা জানার জন্য মমতাজ জান ছটফট করে। আহা, পীরসাহেবে বাঁইচা থাকলে জাইনা নিতাম। না কইলে পীরসাহেবের পায়ে পড়তাম।
মমতাজের মনে সুখের ফুল ফোটে। ফিরোজা রঙের শাড়িটা বারবার ঘুরেফিরে দেখে। পরে। রান্না করতে করতে গুনগুন করে গান গায়। তার ভিতরে সুখের ফুল গন্ধ ছড়ায়। ভারি মিস্টি সুগন্ধ। মনে মনে শতবার পীরসাহেব কে সালাম দেয়।
মমতাজের মনের কোণে আশঙ্কার কালো মেঘও জমা হয়- সুখের ফুল ঝরে পড়ে কি না।
দিন কয়েক পর মমতাজের আশঙ্কাই সত্য হল।
এক ভোরবেলা পুলিশ বাড়ি ঘিরে ফেলে। আফতাব পেচ্ছাপ করতে উঠেছিল। পায়খানা থেকে বেরুতেই আফতাবকে জাপটে ধরে।
মমতাজের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।
কমলগঞ্জের পীরসাহেব সম্প্রতি খুন হয়েছেন।
মমতাজ এখন কার কাছে যাবে?
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×