সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে বিদেশের মাটিতে। সন্ধ্যা হলে একটি দোকানে শত শত মানুষ জমা হয়ে যায় কিছু একটি খাওয়ার জন্য। আমি তাদের সাথে এক কোনায় বসি দেখার জন্য ওরা কি খেয়ে জীবন যাপন করে। খুব অমানবিক জীবন যাপন। আমার দেখে কষ্ট লাগে।
আমরা কোম্পানী সুবিধায় সব পেয়ে থাকি , কখনো তাদের দু:খ বুঝার সাধ্য হয়নি। আজ বুঝলাম কি করে তারা খেয়ে ধেয়ে বেচে থেকে দেশে টাকা পাঠায়।
একজন লেবার সারাদিন ১৪/১৬ বা ১৮ ঘন্টা কাজ করে। আমার চোখের সামনে বেশ কয়েকজনকে একটি রুটি আর একটি চা খেয়ে চলে যেতে দেখেছি। হয়ত পেটে পাথর বেঁধে সারা রাত পার করবে। জীবন তাদের মনে হয় খুব দুবি`সহ। তারা চেয়ে থাকে পরিবারের সুখের দিকে বা দুটো টাকা জমা করার প্রয়াসে।
হয় উল্টো। শ্রমিক টাকা পাঠায় দেশে। খুব কষ্টের টাকা। অনেকেই এই টাকা নিয়ে ছিনি মিনি খেলে। যায় নতুন নতুন মোবাইলের দোকানে। সারা দিন কথা বলেও শেষ হয়না মোবাইল ফোনের মজার মজার কথায়। বিদেশি টাকা ধার নিয়ে অনেকেই আর দিতে চায় না। মনে করে আর কি বিদেশি টাকা।
পরিবারের লোকজন অনেক সময় খেয়াল খুশি মত চলে ফিরে ঘুরে আর বন্ধবান্ধব নিয়ে যায় প্রতিদিন চিকেন টিক্কা খেতে ।আর বিদেশে যারা থাকে তারা খেয়ে না খেয়ে চিমটি দিয়ে পড়ে থাকে।
যারা দেশে, তাদের বিদেশি টাকাকে স্বন` মনে করা উচিৎ এবং সেভাবে খরচ করা উচিৎ তাই বলে প্রয়োজনে খরচ করা থেকে বিরত থাকতে বলিনি।