ইদানিং ব্লগে মহিলা নিকধারী আর পিকধারীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাইতেছে। বৃদ্ধি পাক, ইহা তেমন সমস্যা না। সমস্যা হইলো এই মহিলা নিকধারী আর পিকধারীর আড়ালে কোন গুল্ফধারী বসিয়া হাস্য করিতেছে কিনা সেইটা।
সারওয়ার চৌধূরীর কথা মনে আছে আশা করি আপনাদের। মহিলা বিবর্জিত মরু জীবনে মৎসকন্যা নামীয় এক ব্লগার তাহার জীবনে বহিয়া আনিয়াছিল অপার আনন্দের বন্যা। কিন্তু শেষটা কি হইলো ? জানা গেল এই মৎসকন্যা আসলে বাবরী দোলানো এক পল্লীকবি। মফস্বলে বাস করা এই কবি মৎসকন্যা নিকে সারওয়ার চৌধূরীর বস্ত্রহরণ করিয়াছিলেন অত্যন্ত সচতুর পন্থায়। পর্দার অন্তরালে হয়তো কতশত সারওয়ার চৌধূরী এইভাবে ধরা খাইতেছে মৎসকন্যাদের হাতে কে জানে !!!
কিন্তু উপায় কি ? মহিলা নিক আর পিক দেখিলে যে মন আর মানে না। মনের কথা বলিবার জন্য প্রাণটা-মনটা সর্বদাই আকু-পাকু করিতে থাকে। কিন্তু ...
জ্বি হ্যাঁ !!! আপনার জন্যই হাজির করিলাম এই ব্লগীয় অব্যর্থ টোটকা। যাহার বদৌলতে আপনি মৎসকন্যাদের এড়াইয়া নিশ্চিত মনে কন্যাদের আপনার মনের কথাটি জানাইতে পারেন।
যেসব কন্যাদের ব্যাপারে আপনার ব্যাপক আগ্রহ জন্মিয়াছে প্রথমে উহাদের বেশকিছু পোষ্ট পর্যবেক্ষণ করুন। আসলে আপনার পোষ্ট পড়িবার কোন দরকার নাই। আপনি শুধূ দেখুন কমেন্টদাতা কাহারা। যদি দেখেন কমেন্টদাতাদের ভিতর জনৈক কালপূরুষ এর একাধিক কমেন্ট রহিয়াছে একাধিক পোষ্টে, নিশ্চিত হইতে পারেন ৯৯.৯৯% যে আপনার কাংখিত ব্লগারটি আপাদমস্তক ললনাই বটে।
আর যদি দেখেন উহার ব্লগে কালপূরুষ এর ছায়ামাত্র নাই - সাধূ সাবধান। কালপূরুষের তো অনেক গুণ - তিনি হাত দেখিতে জানেন, জানেন গণনা পদ্ধতি সেই সাথে জানেন মেডিটেশনের নানাবিধ ব্যবহার। হয়তো এসবের মাধ্যমেই তিনি জানিয়া ফেলেন গোমরটি। হয়তো এসব কিছুই না ইহা তাহার স্বপ্নে পাওয়া কোন গোপন বিদ্যা। অবশ্য ইহা লইয়া আপনার মাথাখানা ব্যথা করিবার কোনই প্রয়োজন নাই। তাহাকে অনুসরণ করিয়া আপনা কার্য সিদ্ধি হইলেই তো হয়।
তাই না ?
{ইহা নিতান্তই একটি ফান পোষ্ট। কৃতজ্ঞতা ব্লগার ল... যিনি টোটকাটি আবিস্কার করিয়াছেন এবং ব্লগার কালপূরুষ দাদা যিনি সম্মতি দিয়াছেন পোষ্ট প্রকাশের}