ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে যুবলীগেরই এক পক্ষের হামলায় মিরপুরে সংগঠনটির এক কর্মী নিহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Published : 31 Aug 2013, 12:04 PM
শনিবার সকালে মিরপুর ৭ নম্বর সেকশনের একটি গলিতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শাহ আলী রকি (২৫)কে।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে যুবলীগের দুজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার কামাল হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি তথ্যের ভিত্তিতে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা যুবলীগেরই কর্মী।”
তদন্তের ‘স্বার্থে’ আটক দুজনের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি পুলিশ কর্মকর্তা কামাল।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাত নম্বর সেকশনের ৪ নম্বর রোডে একটি পোশাক কারখানার পাশের গলিতে রকির ওপর হামলা হয়।
রকি ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন জানিয়ে সহকারী কমিশনার কামাল বলেন, “আটক দুজনও ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
সম্প্রতি যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক মিল্কি নিহত হন। ওই হত্যাকাণ্ডেও সংগঠনেরই নেতারা জড়িত ছিল বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
রকির ওপর হামলাকারী ছিল ৫/৬ জন। তারা রকিকে কুপিয়ে চারটি চাপাতি ঘটনাস্থলে ফেলেই পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনাস্থলের কাছেই রকির বাসা।
স্থানীয়রা রকিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা কামাল বলেন, রকি যুবলীগের ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ইউনিটের সভাপতি ছিলেন।
তবে যুবলীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রকি ইউনিটের একজন সাধারণ কর্মী।”
পুলিশের হাতে আটক দুজনও যুবলীগের কেউ নয় বলে দাবি করেন তিনি।
রকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিকাল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে সিআইডি এবং ডিবির সহযোগিতায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান সহকারী কমিশনার কামাল।