বিশ্বায়নের যুগে স্বদেশী আন্দোলন পাগলের প্রলাপ বলেই ভ্রম হতে পারে । কিন্তু বাস্তবতার নিরেখে এটাই স্বাভাবিক যে, বিশ্বে শক্তিশালী জাতি বা দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে হলে এখন স্বদেশী আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশ পনের কোটি মানুষের বাজার। দেশী পন্য দিয়ে বাজার ভর্তি করে বিদেশী পণ্য পরিহার করা গেলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত।
আজ বাংলাদেশের পনের কোটি মানুষের বাজার নিয়ন্ত্রনে আছে বিদেশী প্রডাক্ট। দেশীয় প্রডাক্ট আমাদের অব্যবস্থাপনা ,অদূরদর্শীতা , অনিয়ম, দূর্নীতি ইত্যাদি কারণে নানাভাবে মার খাচ্ছে।
সম্প্রতি তেল গ্যাস উত্তোলন বিষয়ে বাপেক্সকে বাদ দিয়ে বিদেশী কোম্পানীর সংগে চুক্তি এর একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। আমাদের নীতি নির্ধারকরা পেট্রোবাংলাকে পেট্রোনাইজ না করে দেশের সম্পদের জন্য বারবার বিদেশী কোম্পানীর উপর নির্ভর করছে যার ফল কি ভয়াবহ তা জানতে দেশবাসীর বাকি নেই। কারণ, দেশ ইতিমধ্যেই টেংরাটিলা, মাগুরছরার গ্যাস পুরানো দেখেছে।
আবার, আমরা টেলিটকের কথায় আসতে পারি। বিদেশী মোবাইল অপারেটররা তার নাকের ডগায় কোটিকোটি টাকা দেশের হাওয়া বিক্রয় করে পাচার করছে। এর কারণ টেলিটকের অব্যবস্থাপনা ও বিদ্যমান পলিসির ফাক ফোকর সর্বপরি আমাদের দেশপ্রেমের অভাব।
এই দুইটি মাত্র উদাহরণ প্রতিটি ক্ষেত্রে এমনভাবে চিন্তা করলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে স্বদেশী আন্দোলন এখন সময়ের দাবি।
আসুন আমরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বদেশী আন্দোলন আবার সেই গান্ধীজির মত শুরু করি। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই পারে আমাদের মাথা উচু করে দাড়াতে সাহায্য করতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৪