somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আয়না হুরের গল্প

০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক মাদ্রাসার হুজুর ক্লাসে তার ছাত্রদের জিহাদের মর্ম আর জোস বোঝানোর জন্য বয়ান করছিল। বয়ানে হুজুর শাম দেশের এক যুবকের কথা বলতেছিল যে নাকি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে বের হইছে। ১৬/১৭ বছরের সেই যুবক জিহাদে যাওয়ার পর একটু তন্দ্রা আসতেই বলা শুরু করল,
আমি আয়নায়ে মারজিয়ার কাছে যেতে চাই। তারপর তাকে এক বুজুর্গের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। তখন সেই যুবক তার স্বপ্নের কাহিনী বলা শুরু করল:
এক ব্যক্তি এসে তাকে বলল, চলো তোমাকে আয়নার কাছে নিয়ে যাব।তারপর সে দেখতে পেল জান্নাত, পানির নহর যার কিনারায় অত্যান্ত সুন্দর চেহারাবিশিস্ট রমনী যাদের রুপ বর্ননার উর্দ্ধে।
তারা তাকে বলল, আয়নার স্বামী এসে গেল!
তারপর ছেলেটি আয়নার খোজ করল, কিন্তু তারা বলল, তারা আয়নার চাকরানী।
আরো সামনে গিয়ে ছেলেটি দেখল, দুধের নহর প্রবাহিত হচ্ছে, আর এখানের রমনীরা পূর্ববর্তীদর থেকে আরো সুন্দর এবং সেক্সী-যাদের দেখলে মানুষ ফেতনায় পড়ে যাবে!
তারাও বলতে লাগল, আয়নার ঘরওয়ালা এসে গেল!
ছেলেটি তাদের মাঝে আয়নার খোজ করল। কিন্তু তারাও বলল, আমরা আয়নার চাকরানী, আপনি বরং সামনে চলুন।
সামনে যেতেই ছেলেটি দেখল প্রবাহমান শরাবের নহর যার মধ্যে জলকেলি খেলছে অসংখ্য হুর রমনী আর তারা আরো আরো রুপবতী...
কিন্তু এই রমনীরাও বলল আমরা আয়নার চাকরানী!
আরো সামনে গিয়ে ছেলেটি দেখতে পেল প্রবাহমান মধুর নহর। তার কিনারের রমনীগন আরো মারাত্মক-একেকটা অগ্নীস্ফুলিংগ আর সেক্স বোম। কিন্তু তারা বলল, আমরা আয়না হুরের খাদেমা।
তারপর এই চার নহর পেরিয়া পাওয়া গেল সাদা মুক্তার সুন্দর এক টাবু। তার দরজায় সবুজ পোশাক পরিহিত এক অপুর্ব সুন্দরী রমনী বলল, আয়না তোমার সুসংবাদ, তোমার স্বামী এসে গেছে!
ছেলেটি তাবুর মধ্যে গিয়ে দেখল পুরা তাবু নূরে আলোকিত। মধ্যখানে এক সিংহাসনে এক রমনী বসা - এত সুন্দর, খুবছুরত, যাকে দেখে মানুষের কলিজা ফেটে যাবে, কারো বরদাসত করার ক্ষমতা নেই, কন্ট্রল করার ক্ষমতা নেই!!
(বয়েনের এই সময় হুজুরও একটু নড়েচড়ে বসে, হুজুরের শরীরেও জোস চইলা আসছে।)
ছেলেটি তখন আয়নার পাশে বসে যেই আয়নার গায়ে হাত দিল অমনি আয়না বলল, ধৈর্য ধর-তুমি এখনো জিবিত!
এভাবে আয়না হুরকে এক ঝলক দেখেই ছেলেটির গায়ে এমন জোস চলে আসল যে সে যুদ্ধে সবার আগে শহীদ হইয়া গেল!

বিপত্তিটা ঘটলো বয়ানের এই পর্যায়ে। ক্লাসেরই ১৬/১৭ বছরের এক ছেলে হঠাৎই হুজুরকে প্রশ্ন করে বসল, হুজুর এই স্বপ্ন দেইখা কি সেই ছেলের স্বপ্নদোষ হয় নাই?
হুজুরতো ত্যারাং কইরা লাফাইয়া উইঠা কয়, স্বপ্নদোষ হইব কেন?

ছাত্রটি বলল, না মানে হুজুর আমি এইরকম স্বপ্ন দেখলে আমারতো সব ভিজে যায় আর এইরকম নাপাক শরীরে যুদ্ধে গিয়ে শহীদ হলেতো আমও যাবে ছালাও যাবে, তাই যদি ব্যপারটা একটু ক্লীয়ার করতেন:)!

.............................ব্যন হওয়ার ভয় থাকায় গল্পের বাকি টা বলা থেকে বিরত রইলাম!

পুনশ্চ: হাদিসে আছে, জান্নাতে এক হুরের নাম আয়না, যখন সে চলে, তার ডান পার্শে ৭০হাজার আর বাম পাশে ৭০ হাজার খাদেমা থাকে! (যারাই জিহাদ করে স্বর্গে যাবে তাদের সবার সাথেই আয়নার বিবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে আর আয়না কিন্তু একজন না, অনেক!!)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×