somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাতুড়ে মুক্তগদ্য...

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

*
একদিন সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাবো ছাদে। একরাশ রোদের গন্ধ হাতে নিয়ে। চোখে থাকবে বিলম্বিত লয়ের স্বপ্নরাগ। এলোমেলো জীবন পথের মোড়ে মিলে যাবে অনাঘ্রাত সময়। আর তুমি ফিরে যাবে আন্তঃনগর ট্রেনের আঁকাবাঁকা ট্র্যাকে।

**
ক্রিমাটোরিয়ামে লাশের ট্রে'তে ঘন হয়ে জমে থাকে অশউইৎজের শিশুরা। কালো মেঘের সন্ধ্যায় রোদফুলের নৈবেদ্য নিয়ে রাতের তারারা জড়ো হয় আঁধার পোশাকে। বিবস্ত্র চাঁদের রূপসুধায় মাতাল আমরা কিছু যুবক, হেঁটে চলি এ্যসফল্ট নদীর কোল ঘেঁষে।
গন্তব্য? অজানা।

***
বালুঘড়িতে সেকেন্ডের কাঁটা থাকেনা কেনো?
উত্তরটা জানা থাকা সত্ত্বেও বলা উচিত হবেনা, কারণ তাতে সাময়িক মানসিক বৈকল্যের প্রমাণ থাকতে পারে। বৃষ্টি জলের ফোঁটায় রক্তছাপ নিয়ে ছুটে চলা বুলেটগুলো আশ্রয় পায় অপরাধী নিরাপরাধ মানুষের পিঠে কিংবা মাথার পেছনে।

****
দু' টাকা পঞ্চাশ পয়সা না তিন টাকা না পাঁচ টাকা দিয়ে নিয়মিত মৃত্যু কেনার যৌক্তিকতা কতখানি, যেখানে জানা আছে সকল মূল্যমানের মৃত্যুই শেষ বেলায় একই ফল দেয় মানুষের চোখে নাহয় মনে।

*****
সবুজ আকাশ আর বেগুনী সাগরের সঙ্গমে যে শিশুটা জন্ম নেবে তার শরীর রক্তের মতো লাল হবারই কথা ছিলো। কিন্তু আকাশ আর সাগরের ভিতর প্রেম হয় নি। তাই বেদনায় আকাশ নীল, সাথে নীল সাগরও। নদী এদিক থেকে অনেক ভাগ্যবতী, সে তার প্রেমিক হিসেবে মাটিকেই চেয়েছিলো। আর তাদের শিশুরা বাদামী আর সবুজে সাজানো।

******
বিপ্রতীপ পুকুরে মীনচক্ষু ছেলের লাশ ভাসে। ঠোঁট ভরা হাসি নিয়ে দা হাতে ঘুরে বেড়ায় ব্রহ্মদত্যি। রোমশ বুকে ঘর তোলে সোনালী ধানের কৃষক। শেষে গোলাভরা ধান বিক্রি হয় শহরের ঝলমলে আলোজ্বলা দোকানে, আর মফস্বলে।

*******
তিনি বলছিলেন "The way you are looking into this matter, is not the right perspective"। সে মনে মনে বলছিলো "ছড়ি যখন আপনার হাতে..."
নেট ফলাফলঃ- তিনি উঠে আসলেন রুম থেকে, আর সে কিছুটা বিষণ্ণ।

********
লাল রক্ত বয়ে চলেছে বুকে। তুমি ফিরে এসোনা। এখানে এখন আগুনের হাতছানি। একবার পুড়িয়েছি, আর চাইনা পুড়াতে কাদামাটিজল। সেখানে বেড়ে উঠবেনা কোনো বৃক্ষ, ঘর বাধবেনা কোনো কালো পাখি।

*********
নয় সংখ্যাটায় ছন্দের কারুকাজ অনেক। একঘেয়ে ছন্দ আমার ভালো লাগেনা। তবু ভালোবেসে যাই ছন্দগন্ধময় নয় সংখ্যাকে...
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৮
৩৫টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×