গরুর প্রস্রাব , কুকুর মারা বিষ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ভেজাল ফেনসিডিল আসছে ভারত থেকে
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
গরুর প্রস্রাব, কুকুর মারা বিষ, সিডিল ট্যাবলেট আর গুড়-চিনি দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তে তৈরি হচ্ছে ফেনসিডিল। ঈদ উপলক্ষে ভেজাল এ ফেনসিডিলের হাজার হাজার বোতলের চালান মাদক ব্যবসায়ীরা ওপার থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। কোম্পানির দামের চেয়েও কম দামে সীমান্তের মাদক বাজারে এ ভেজাল ফেনসিডিল বিক্রি হচ্ছে। সচেতন মহল (!) মনে করছেন, ভেজাল ফেনসিডিল সেবনে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে।
আসল ফেনসিডিলের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত কোডিন ফসফেটও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এ কারণে ফেনসিডিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোডিন ফসফেট মিশ্রিত ফেনসিডিল নামে ওই কাশির ওষুধ বর্তমানে তৈরি করছে ভারতের হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলার পিরামন হেলথ কেয়ার লিমিটেড। কোম্পানিটি বাংলাদেশ থেকে সহস্রাধিক মাইল দূরে। এ কোম্পানির প্রতি বোতল ফেনসিডিলের দাম ৬৮ দশমিক ৫০ রুপি। অনুসন্ধানে জানা যায়, সীমান্তের মাদক বাজারে ওই কোম্পানির লেবেল আঁটা ফেনসিডিল বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০ রুপিতে। বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
কুষ্টিয়ার চিলমারী থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৈখালি পর্যন্ত সীমান্তের বিপরীতে কয়েকটি ভেজাল ফেনসিডিল কারখানা রয়েছে। ওইসব কারখানায় গরুর প্রস্রাব, সস্তা দামের ঘুমের বড়ি, গুড়, চিনি, কুকুর মারা বিষসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর পদার্থ দিয়ে ফেনসিডিল তৈরি করা হচ্ছে। বোতলে ভরে লেবেল এঁটে এর চালান দেশে পাঠানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ভেজাল ওই ফেনসিডিলের লক্ষাধিক বোতলের চালান পাচার হয়ে এসেছে ঈদ উপলক্ষে। এছাড়া যশোরের শার্শা, চুয়াডাঙ্গার জয়নগর সীমান্ত দিয়ে পলিব্যাগে ভেজাল তরল ফেনসিডিলও পাচার হয়ে আসছে। ইতিমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহস্রাধিক লিটার তরল ফেনসিডিল আটক করেছে। আসল ফেনসিডিল লিটারে বিক্রি হয় না।
শার্শা সীমান্তের পাতিপাড়া গ্রামের পাশেই ভারতের তেরোঘর। ইছামতি নদী পার হয়ে তেরোঘরে আসতে হয়। এ তেরোঘরে একটি নকল ফেনসিডিলের কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে ভেজাল ফেনসিডিল তৈরি হচ্ছে। দুই মিনিটের মধ্যে সেই ফেনসিডিল বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেজাল এ ফেনসিডিল মানবদেহের জন্যে ভয়াবহ ক্ষতিকর। এ ফেনসিডিল সেবন করলে প্রাথমিক পর্যায়ে ঘুম ঘুম লাগলেও হার্টফেল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া অতিরিক্ত সেবনে দৃষ্টি ও স্মৃতিশক্তি লোপ, যৌনশক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরের কর্মশক্তি কমে যাবে, মৃত্যু নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশী মাদক সেবীদের এই বিষয়ে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।
১৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন