somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈদ আসে শুধু ক্যালেন্ডারের পাতায়, মনে আর আসে না/:)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকালে পেপারটা খুললাম, ঝপ করে চটি একটা ঈদ সংখা পেপার থেকে বেরিয়ে পরল। কোন ভ্রুক্ষেপ নাই । যেমন ভাবে অন্যদিন ঈদসংখাটা পড়ে আছে ড্রইং রুমে। হাতটা দিয়ে ধরে পাতা ওল্টানোও হয়ে ওঠে নি। বোনটা লাফাঝাপা করে ঈদের ড্রেসটা কিনে নিয়েছে সেই কবে। -আমার কিনতেও মন চায় না, আবার কেউ যদি মার্কেট যেতে বলে মেজাজ টা যায় বিগড়ে। আসলে ঢাকায় থাকা মফিজ আমি। ঈদে বেশিরভাগ সময়েই বাড়ি যাওয়া হয়নি। আমার বন্ধু সার্কেল রয়েছে কুস্টিয়ায় আর চিটাগাং এ। দুটোর কোনটাতেই যাওয়া হবে না। মিস করব তাই -বন্ধুদের সাথে করে পুরো শহর চক্কর দেয়া, নদীতে গিয়ে নৌকায় বসে আড্ডা দেয়া, সবচে বড় মোড়ে দাড়িয়ে বর্তমান শহরের মেয়েদের দেখা- (কিন্তু কেন যেন আমার চোখে বিবাহিত মহিলারাই ধরা দেয় বেশি-মনে হয় মোটা বেশি বলে। চিকনরা চোখ এড়িয়ে ভেগে যায়;))

আরও ছোট বেলায় আমরা সব ঈদ করতাম বড় চাচার বাসায়। দাদা স্ট্রোক করার পর দাদাবড়ি তে আর কেউ থাকে না। তাই কুস্টিয়া যাওয়া মানে বড় চাচার বাসায় যাওয়া। ওখানে ঈদের সময় আমার গ্রুপ ছিল মেজো চাচাতো বোন (২বছরের ছোট) আর ভাই(আরও ছোট) এই তিনজন নিয়ে। ছোটবেলায় ঈদ ভাল লাগার একটা বড় কারন ছিল ঈদের দিন , আগের দিন, পরের আড়াই দিন পড়া লাগত না। মেজো চাচারা ৩ দিন থাকত , আমার বেশি মজাও ৩দিন থাকত। তারপর আবার গ্রুপহীন একা।
আমরা ঈদের আগের দিন কাগজে নকশা আকতাম , সেটা ঢুকিয়ে দিটাম পরদিন ঈদের জামতের শেষে টাকা নিতে আসা কাপড়ে। বড়রা ঐখানে টাকা দেবার জন্য কড়কড়া টাকা দিত। আমরা ঐ টাকার সাথে ভাজ করে ঐ নকশা করে লেখা ঈদ মোবারক লেখা ঢুকিয়ে দিতাম। নামায শেষে শহরে ঘুরতে গেলে রিকশায় যাবার সময় ঐরকম নকশাদার কাগজ শহরের রাস্তায় ফেলতে ফেলতে যেতাম। যেন শহরবাসী কে ঐটা দিয়ে আমরা আনন্দিত করে ফেলব। কেন এমন করতাম তা খেয়াল নেই এখন একটুও।

ঈদে কখনই জামা কাপড়ের লোভ করি নাই,এখনও সেই লোভ নাই। আমার জামা কাপড়ের মত তুচ্ছ আর কমদামী (অবশ্য এখন দোকানে জামার দাম দেখলে এই কথা বলার উপায় নাই, কিন্তু জিনিষটা আসলেই একটি ভ্যালুলেস ) জিনষের লোভ থেকে বেশি লোভ ছিল ইলেক্ট্রনিক্স জিনিষে আর বই এর উপর। রিকশাভাড়ার টাকা জমাতাম হেটে এসে। সেই টাকা থেকে তিন গোয়েন্দা কিনে আর কোন টাকাই অবশিস্ট থাকত না। একবার টাকা জমিয়ে সাথে বৃত্তির টাকা দিয়ে কোডাকের ৯০০টাকার ক্যামেরা কিনেছিলাম। ওটা দিয়েই মস্ত এক ফটোগ্রাফার হবার স্বপ্ন দেখতাম। শেষ পর্যন্ত জীবনে কোন শখের শখেই কিছু হতে পারলাম না।

এই শখের শখে নিজেকে সাজাতে না পারার অক্ষমতাতেই আর ঈদ কোন আনন্দ নিয়ে আসে না। শুধু ক্যালেন্ডারের লাল কালিতে দেখেই শেষ হয়ে যায়।

ঈদ মোবারক।
_____________________________________________
শিবলী
২০০৯২০০৯ (বাহ ভাল তো২০.০৯.২০০৯)
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাপ, ইদুর ও প্রণোদনার গল্প

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

বৃটিশ আমলের ঘটনা। দিল্লীতে একবার ব্যাপকভাবে গোখরা সাপের উৎপাত বেড়ে যায়। বৃটিশরা বিষধর এই সাপকে খুব ভয় পেতো। তখনকার দিনে চিকিৎসা ছিলনা। কামড়ালেই নির্ঘাৎ মৃত্যূ। বৃটিশ সরকার এই বিষধর সাপ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×