somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র : চুল্লির কাজ শুরু সময় কোনো ইরানীকে থাকতে দেয়নি

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব নানা প্রশ্ন তুললেও এর শুরুটা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহায়তায়। ইরানের পরমাণু তৎপরতা শুরু হয়েছিল দেশটিতে ইসলামী বিপ্লবের অনেক বছর আগে। ১৯৫৬ সালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এ গবেষণা কেন্দ্রের কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র সে বছরই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর ১১ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ মেগাওয়াট শক্তির একটি ছোটখাট পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ করে। যদিও শিক্ষা ও গবেষণাই ছিল এ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে, কিন্তু তা সত্ত্বেও এ চুল্লিটি নির্মাণের সময় ইরানের প্রকৌশলীদের উপস্থিতি বা তাদের সহযোগিতার ব্যাপারে কঠোর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণে দেখা যায়, ইরানের বিজ্ঞানীরা যাতে এ প্রযুক্তির ব্যাপারে ধারণা অর্জন করতে না পারে সেজন্যে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে এই চুল্লির যন্ত্রপাতি সংযোজন ও চুল্লির কাজ শুরু করার সময় কোনো ইরানী বিজ্ঞানীকে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয়নি।
১৯৭১ সালে ইরানের শাহ সরকার পাশ্চাত্যের কয়েকটি দেশের সাথে পরমাণু বিষয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ চুক্তিগুলোর মধ্যে ইরানের বুশহরে পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের জন্যে জার্মানীর সাথে করা চুক্তিসহ দারখুইনে অন্য একটি পরমাণু চুল্লি নির্মাণের জন্যে ফ্রান্সের সাথে চুক্তি, পারমাণবিক চুল্লিগুলোর জন্যে জ্বালানী সরবরাহ করতে আমেরিকার সাথে চুক্তি ও অর্ডিফ কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের ঘটনা ছিল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইরানে শাহ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর পশ্চিমা সরকার ও পশ্চিমা কোম্পানিগুলো পরমাণু বিষয়ে ইরানের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে রাজি হয়নি। ফলে ইরান পরমাণু জ্বালানী চক্রের প্রযুক্তি অর্জন ও পারমাণবিক চুল্লিগুলোর নির্মাণ-কাজ সম্পন্ন করার জন্যে অন্যান্য দেশের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু অধিকাংশ দেশ পাশ্চাত্য ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে পরমাণু ক্ষেত্রে ইরানের সাথে সহযোগিতা মাঝপথে ব করে দেয় অথবা এ সহযোগিতা খুবই সীমিত পর্যায়ে অব্যাহত রাখে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×