বালিকা সদাই হাসে, মুখ তুলে কয়
জানি না চলছে একি, জানো নিশ্চয়???
বালক অবুঝ চোখে চাহিছে নিরব
শীর্ণ দেহে সদা, ঘন কলরব।
বালক কহে যে শেষে, বুঝিনি বুঝিনা
শুধু তুমি হেসে কহ, ভালোবাস কিনা??
বালিকা আবার হাসে তাকায়ে একেলা
বালকের মনে জ্বলে, নব শত জ্বালা।।
কথাহীন মূহূর্তক্ষণ, সহসা আবার
বালক কাটায়ে ওঠে সকল আধার।
নাইবা যদিই তুমি ভালোবাস মোরে
কেন তবে মোর নাম টানো ও অধরে।
বালিকা হাসলো ফের, মনে মনে বলে
অবুঝ বালকেররে এ কথা বোঝাই কি ছলে।
সব কথা সারাক্ষণ কওয়া নাহি যায়
কিছু কথা কওয়া হয় শুধু ঈশারায়।
বালক ভাবিতে থাকে কেমনে জানিবে
কেমনে তাহারে একটু কাছেতে টানিবে।।
বালক বসেছে একা, নদীর তটে
বালিকার রেশ কভু যেন নাহি কাটে।
নদীর জলের মাঝে তাকায় বারেবার
খুজে যায় তরল মাঝে উত্তর তাহার।
জলের মাঝে যে আমি, প্রকৃত সে ভারী
শোনাই বুকের জ্বালা, যত আহাজারি।
সেই তো কইলো শেষে, বুঝায়ে সকল
কোন হাসি শুভ নয়, কোনটা আসল।
কহিল সে আরো মোরে
যত ভাষা তত স্বরে
পৃথিবীর যত পথ, সেখানে সে যাক
তুমিতো শিখেছ ভাসতে, একুটুই থাক।।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৮