তিনি পল্টন ময়দানে বক্তৃতা করে বলতেন ওনাদের ভোট দিয়েন না, তাইলে ওনারা দেশ বেইচা দিবে। বক্তৃতা শুনে লোকেরা উত্তেজিত হয়ে যেত। তারা দেশ বিক্রি ঠেকানোর জন্য উদগ্রীব হয়া উঠতো। কিন্তু উনি উত্তেজিত লোকদের দেইখা হাইসা উঠতেন। লোকদের বোকা বানানোর আনন্দে মজা পাইতেন।
আরেকদিন আরেক ভোটের আগে উনি আবার বললেন, ওনাদের ভোট দিয়েন না ওনারা দেশ বেইচা দিবে। লোকেরা ভয় পেল। তখন উনি হাইসা উঠলেন। সবাই ভাবলো, এইটা ওনার রাজনৈতিক চাল। লোকেরা তখন সত্যি সত্যি বিপক্ষ দলকে ভোট দিল। সবাই দেখলো, ভোটে জিতার পরও তারা দেশ বেচতেছে না। তখন তারা ভাবলো ও নেত্রী মিথ্যাবাদী। তাদের বোকা বানিয়ে মজা লুটতেছে।
এইভাবে দেশ বিক্রির আওয়াজ দিলে সবাই সেটাকে মিথ্যা ও পরিহাস হিসাবে গণ্য করতে শিখলো।
এইভাবে অনেক কাল কেটে গেল।
একদিন সত্যি সত্যি দেশ বিক্রির আয়োজন হইতে থাকলো। কিন্তু হায় সেই নেত্রীকে তখন কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। দেশ বিক্রি হইতেছে বইলা কেউ ভয় দেখাইলো না। কেউ ভয়ও পেল না। সবার অলক্ষে বোকা মন্ত্রীরা দেশ বিক্রি করে দিল। এর জন্য তারা তেমন দামও নিলো না।
এই গল্পের শিক্ষা : বাঘ বাঘ বলে অযথা চিৎকার করো না। একদিন সত্যি বাঘ এসে পড়লে কেউ আর তোমাকে বাঁচাতে আসবে না।
অন্যরকম হরতালগুলো কিছু আফসোসের সুযোগ করে দিতে পারে মাত্র।