খবরের সত্য মিথ্যা এখনও যাচাইয়ের অপেক্ষায় তবে কেন তাঁর এই কাঙ্গাল বেশ ?
নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ কাম মহাজনের রাজনৈতিক খায়েশ পুরানা একথা সবারই জানা আছে। কিন্তু তিনি ভুলে গেলেন কেন রাজনৈতিক দল চালু করে কয়েকদিনের মধ্যেই সেই নাটকের ইতিবৃত্ত টানার ঘটনা। এইতো মাত্র কয়েকদিন আগে জাতির কাছে জানালেন তার রাজনীতির খায়েশ মিটে গেছে। তাহলে আবার কেন সেই রাজনীতির কুচা কৃমি ফাল দিয়া উঠলো। গতবারের ডোজটা কি একটু কম হইছিলো ? মানুষের স্মৃতি তো এতটা দূর্বল হবার কথা নয় যে এত তাড়াতাড়ি সব ভুলে যাবেন। নাকি সিংহাসনের মোহে আবার তার মতিভ্রম হয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংক এর মাধ্যমে মহাজনী কারবার করে তিনি টাকা, মান যশ সবই কুড়িয়েছেন এবং কামিয়েছেন। বাঁকি ছিল শুধু ক্ষমতা। তার জন্যই কি বারবার নজর যাচ্ছে ঐ রাজসিংহাসনের দিকে। আর তা না হলে রাষ্ট্রপতি হবার বাসনা কেন মনে জেগেছে ? তবে কি সব সমস্যার মূল ঐ নোবেল প্রাপ্তি আর সেই খ্যাতির বিড়ম্বনা?
তিনি নাকি বিএনপিকে শর্ত দিয়েছেন, আগামীতে ক্ষমতায় গেলে তাঁকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে হবে এবং জামায়াত ও মৌলবাদীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। বিএনপির পক্ষে জামায়াত ও মৌলবাদীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা একেবারেই অসম্ভব একথা দিব্যালোকের মত সত্য। জামায়াত-বিএনপি মুদ্রার এপিট ওপিট। বিএনপিতে যোগ দিলেই তো তাঁকে সাকা চৌধুরীর সাথে বসতে হবে। যদি সেটা সম্ভব হয় তবে জামায়াতের সঙ্গে বসতে সমস্যা কি? আসলে ক্ষমতার মোহ তাঁকে পেয়ে বসেছে। জামায়াত-বিএনপি ও মৌলবাদ এসব কথার কথা মাত্র। নোবেল প্রাপ্তির পর ইয়েস উদ্দিনের দেয়া সংবর্ধণা ভাষণেও তিনি বিএনপি প্রীতির একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৮