somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মন্ত্রীরা নাকি দুঃখিত!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের আনাগোনা। আনু মুহাম্মদ বিশ্রাম নেবেন কী, ভিজিটরদের সঙ্গে কথাই বলতে হচ্ছে সর্বক্ষণ। তবুও, যতক্ষণ ছিলাম, ওনাকে ভালই দেখাচ্ছিল। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই কথা বলছিলেন। তবে ওনার উপর দিয়ে যে ধকল গিয়েছে তার চিহ্ন চেহারায় স্পষ্ট।

সবচেয়ে বেশি অত্যাচার ছিল বোধহয় মন্ত্রীদের। সারাদিনই একের পর এক মন্ত্রীরা ওনাকে দেখতে (কিংবা নিজেদের চাঁদমুখ দেখাতে) আসছিলেন। আরও ভাল হয় যদি বলি হাজিরা দিতে আসছিলেন। জ্বালানী মন্ত্রী তো একলাই এক ঘণ্টা খেয়ে ফেললেন। শুনলাম এমনভাবে কথা বলছিলেন যেন কতদিনের চেনা দু'জনে! গরু মেরে জুতা দান আর কি!

তবে হাসপাতালে উপস্থিত আমরা কেউ ই একটা কথা শুনে হাসি চাপতে পারিনি। মন্ত্রীরা যারা এসেছিলেন তারা সবাই বলেছিলেন যে আনু মুহাম্মদের এই অবস্থায় তারা নাকি দুঃখিত, মর্মাহত। এ কথায় সবার মুখেই এক চিলতে হাসি দেখা গিয়েছিল...বিদ্রুপের হাসি।

অবশ্য হাসি তো পাবারই কথা। হাসবার মতনই ব্যাপার যে! এ দেশে যা কিছু ন্যায্য, যা কিছু সঠিক তার পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য মানুষের উপর হামলা করা হয়; আস্কারা পেয়ে পেয়ে পুলিশদের এমনই স্পর্ধা হয় যে একজন শিক্ষকের গায়ে পা তুলতেও তারা দ্বিধা করে না; আর এইসব দেখে মন্ত্রীরা দুঃখিত হন, সমবেদনা জানান।

আমাদের মন্ত্রীরা দুঃখিত। তারা অতীতে দুঃখিত ছিলেন, তারা এখনও দুঃখিত। তারা বছরের পর বছর দুঃখিতই হচ্ছেন এবং বলাই বাহুল্য তারা ভবিষ্যতেও দুঃখিতই হবেন। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত এসব ঘটবার পরও তারা আজীবন দুঃখিতই হতে থাকবেন, আর ফলস্বরূপ ভুগতে হবে আমাদের সবাইকে।



আর একটি কথা না বললেই নয়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় দর্শন পেয়েছিলাম একজন এর। তিনি আনহা, যিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষক আনু মুহাম্মদকে। এই সাহসিকতার জন্য আনহা'র প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং সম্মাননা।

১৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×