somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আনন্দে না দুঃখে বুঝতাছি না, তয় মাথা অখন আউট

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবার ফুন। মুবাইল ব্যাটায় চার্জই ধইরা রাখতে না পাইরা খালি লু ব্যাটারী আমারে দেখাইতাছে!
: রনি কি করো?
: তিব্বতের হিমালয়ের গুহার ভিতরের টয়লেটে বইসা সাধনা করি! ফুন কিজন্য করছো?
: আরে বন্ধু বড়ো সমস্যায় আছি?
: কেন তুমার গুহায় কি টয়লেট নাই, তাইলে একখান কাম করো পাহাড়ের ডগায় বইসা আগা কাটা শুরু করো!
: দুস্ত দেখো চাম লইয়ো না, একটু ১ নম্বরে আসো। মামুন আসছে, একটা কঠিন জিনিসে আইসা আইটকা গেছি তুমার হেল্প দরকার!
: ১৫ মিনিট ওয়েট করো ১ ঘন্টার মধ্যে আসতাছি!B-)

ইফতারী কইরা ইদানিং ঘুমানোর অভ্যাস হইয়া গেছে কিন্তু মোবাইল বেচারার দুঃখে দুঃখান্বিত হইয়াই পুলাপান ঠান্ডা করতে ১ নম্বর রওনা হইলাম। যদিও মোবাইলে যে এক শুভ্রই কল করে সেইটা ঠিক না, ইদানিং চ্যাটিং এ ঢুকতে পারি না, ঢুকলেই একসাথে এত গুলান Hi আসে যে আমার সফটু ক্রাশ করে। ইমেইলে ঢুকলে দেখি কত কিসিমের মেইল, কত কংগ্রাটস জানানো হরক্রাকস মার্কা মেইল, আর ফুনে তো খালি বন্ধু বান্ধব না আত্নীয় স্বজনও উচাটন হইয়া বেচাটন লাইন লাগাইছে! মনে হয় আমার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানের দাওয়াত না পাইয়া চইটা আছে....কিন্তু তাহাদের জন্য আমার এক ডায়লগ," মামুরা, কাকুরা...আমারে আর পাইবা না!"

এইসব মিজাজ বিলাকরন এলিমেন্ট নিয়া ভাবতে ভাবতে মিরপুর ১ এ অবতীর্ন হইয়াই দেখি শুভ্র আর মামুন প্রিন্স হোটেলের সামনে খাড়াইয়া ঘাড় চক্ষু আরও নানা কিছুর ব্যায়াম করিতেছে আর হেটে যাওয়া সুন্দরীদের রেটিং করতাছে! আমারে সামনে দেখিয়াই আমার উপর তাহারা হিংস্র বাঘের ন্যায় ঝাপাইয়া পড়িলো!

: রনি, এই লিস্টি দেখো, ছুটো হয় না, খালি বড়ই হইতাছে। এইসব নিতে হইলে তো উড়োজাহাজের সাথে একখান জাহাজও ভাড়া করতে হইবো!

আমি লিস্টি হাতে নিয়া দেখলাম ৯২ খানা জিনিসের লিস্টি! মাঝে মাঝেই জায়গা বেজায়গায় আটকাইয়া যায়।
: শুভ্র, আন্ডিয়া ৫ খান কেন? শীত কি তুমার সব আন্ডিয়াতেই লাগবো?
: আর কইয়ো না, ঐখানে নাকি সাধারন টেম্পারেচারই ৪ ডিগ্রী আর শীতের দিনে নাকি -১৫ ছাড়া কথাই নাই!
: হ আমিও শুনছি! ঐখানে নাকি কেউ থু থু মারলে বরফের গোলা হইয়া সামনে যায়!
: তাই নাকি?
: হ তাই, ঐখানে গিয়া তুমার পাখি মারতে হইবো না। শীতকালে পাখির গায়ে নিরীখ কইরা থুথু মারবা জুর কুতানি দিয়া, পাখির গায়ে থুথু বরফ হইয়া লাগবো বুলেটের মতো, তখন দেখবা পক্ষী অটোমেটিক চিৎপটাং!
: মস্করা লইতাছো?
: আরে মস্করা না! আরো শুনবা? ধরো তুমার হিস্যু ধরলো। তুমি রাস্তার পাশে খাড়াইয়া হিস্যু করলা, হিস্যু শেষে দেখবা হিস্যু পড়তে না পড়তেই বরফ হইয়া গেছে আর তুমি যেই প্রক্ষেপনে হিস্যু করছো সেই প্রক্ষেপনে হিস্যুর রংধনু আকাশ থুইয়া হিস্যুস্হলে উইঠা রইছে!
: সায়েন্টিফিক্যালি কিন্তু সম্ভব। তাইলে আন্ডিয়া কি আরো দুই একটা বাড়ায় লমু?
: এইটা ভাই তুমার বিচার, আমার কুনো Say নাই!
: না তুমি ভাইবা দেখো, ধরো শীতের পরিমান আরো বেশী হওনের কারনে হিস্যু যদি আরো উপরের থিকা তাড়াতাড়ি বরফ হওন শুরু করে তাইলে তো আমার জিনিস ঐ রংধনুর সাথে আটকাইয়া যাইবো!
: দেখো শুভ্র, তুমারে সত্য কথা কইলাম দেইখা এতো দূর থিকা কস্ট কইরা আইসা তুমার ফাও আলাপ শুনাইবা এইটা এই ইহকালে এক্সপেক্ট করি নাই!
: আইচ্ছা দুস্ত আরো একটু লিস্টি পড়ো!
: চিড়া, টোস্ট দেখতাছি, নীচের দিকে সছমান লেখা , ঘটনা কি? প্লেনে বইসা কি খিচুড়ি পাকাইবা নাকি ভার্সিটির ক্যাম্পাসে কুড়কা-মাছাইলাম রান্ধানো শিখাইবা?
: আরে কইয়ো না! ঐখানে নাকি সব জিনিসের দাম খুব বেশী। তাই সব জিনিস নিয়া লইতাছি!
: দুস্ত একখান কথা কই, বিয়া কইরা একখান কামের বুয়া লইয়া যাও। দেখবা সব সমস্যার ইনস্ট্যান্ট ম্যাগী নুডলস সমাধান!
: (এমুন সময় শুভ্র একটা চিক্কুর দিলো) পাইছি!
: কি পাইছো, ফিলিপস বাত্তি জ্বালাইয়া বুয়া পাইলা নাকি?
: আরে ধুরু, ৯৩ নম্বর আইটেম: ৪ প্যাকেট ম্যাগী নুডলস!

আমি আর কিছু কইলাম না, খালি কইলাম," শুভ্র, পয়দা হওনের পর যৌবনে আমি কখনো দেশের বাইরে যাই নাই, সুইডেন তো মেলা দুর কি বাত! পারলে ভার্সিটি কেউ চেনা পরিচিত থাকলে ফুনাও!"
: আছে একজন মাগার একটু সমস্যা আছে!
: কেন মাইয়া মানুস নাকি? হইলে আমারে নম্বর দাও!
; মাইয়া তয় হে আমাগো ডিপার্টমেন্ডের হেড!
: ও আইচ্ছা!

আনন্দে না দুঃখে বুঝতাছি না, তয় ব্যাটার মাথা অখন আউট!
২২টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

‘নির্ঝর ও একটি হলুদ গোলাপ’ এর রিভিউ বা পাঠ প্রতিক্রিয়া

লিখেছেন নীল আকাশ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭



বেশ কিছুদিন ধরে একটানা থ্রিলার, হরর এবং নন ফিকশন জনরার বেশ কিছু বই পড়ার পরে হুট করেই এই বইটা পড়তে বসলাম। আব্দুস সাত্তার সজীব ভাইয়ের 'BOOKAHOLICS TIMES' থেকে এই বইটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিতর্ক করার চেয়ে আড্ডা দেয়া উত্তম

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬

আসলে ব্লগে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি বিতর্কের চেয়ে স্রেফ আড্ডা দেয়া উত্তম। আড্ডার কারণে ব্লগারদের সাথে ব্লগারদের সৌহার্দ তৈরি হয়। সম্পর্ক সহজ না হলে আপনি আপনার মতবাদ কাউকে গেলাতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে প্রাণ ফিরে এসেছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪



ভেবেছিলাম রাজিবের অনুপস্হিতিতে সামু রক্তহীনতায় ভুগবে; যাক, ব্লগে অনেকের লেখা আসছে, ভালো ও ইন্টারেষ্টিং বিষয়ের উপর লেখা আসছে; পড়ে আনন্দ পাচ্ছি!

সবার আগে ব্লগার নীল আকাশকে ধন্যবাদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙালি নারীর কাছে

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

পরনে আজানুলম্বিত চিকন সুতোর শাড়ি, সবুজ জমিনের পরতে পরতে কবিতারা জড়িয়ে আছে বিশুদ্ধ মাদকতা নিয়ে, গোধূলির আলোয় হেঁটে যায় নিজ্‌ঝুম শস্যক্ষেতের ঘাসপাঁপড়ির আল ধরে, অতিধীর সুরের লয়ে, সুনিপুণ ছন্দে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসেন ইক্টু ঘুরাঘুরি করি.... :-B

লিখেছেন সোহানী, ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৯:২৩

এক কসাইয়ের লাশ আরেক কসাই কিভাবে কিমা বানাইলো কিংবা কত বিলিয়ন ট্যাকা টুকা লইয়া সাবেক আইজি সাব ভাগছে ওইগুলা নিয়া মাথা গরম কইরা কুনু লাভ নাইরে... আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×