somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরেকটা ঈদ চলে এল...........

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুপ্তি, কেমন আছিস জানিনা। হাস্যকর একটা প্রশ্ন তাই জিজ্ঞেসও করব না, তবে সব সময় তোদের এই আপুটার শুভকামনা থাকবে তোর আর শোভনের জন্য। এবার ও ত ঈদ চলে আসলরে...। মনে হয় গত বারের মত এবার ও তোদের কিছু কেনা হবে না। যদি তোদের ফুপীরা/ রজনী আপু দেয় তাহলে হবে। জানিস ইদানিং যখন তোদর কথা মনে পড়ে তখন চোখের পানি আটকাতে পারিনা। এবার ও তোদের এই আপুটা ঈদে জামা নিয়েছে। ছোট ছোটা জামা কিনেছে। কিনেনি শুধু তোর আর শোভনের জন্য। কারন তোরা নাই। মনে হয় এই এলাকা ছেড়েই চলে গিয়েছিস। কেন এমন হল(?) সুখের মুখ দেখেও দেখলি না। সুখ এসেছিল কিন্তু তোদের মা-বাবা তা ধরে রাখতে পারল না। নিজেদের ভূলের কারনে গত একটা বছর ধরে ধুকে ধুকে চলছিস তোরা। এটাকে বাঁচা বলেনা। একটা চাকরী গিয়েছে ত কি হয়েছে? তোর বাবা কি পারত না আর একটা চাকরীর চেষ্টা করতে (!) মনে হয় করেনি। এত কিছুর পার ও তোর মা পারেনি নাটকীয়তা ছাড়তে। চলে যাবার আগে আম্মা বলেছিল বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অন্তত আর নাটক কইরেন না। কিন্তু না তার প্রতিটা রন্ধ্র্বে রন্ধ্রে মিশে গেছে নাটক। মিথ্যা ছাড়া বলতে পারেন একটা কথাও। রাস্তায় দেখা হলে তুই কান্না-কাটি করতি। বলতি "মা আপুকে বল আমাদের বাসায় আসতে" আমার পরীক্ষার সময় এসে বলে গেছিস "তোমার পরীক্ষার পর আমাদেল বাসায় যাবা কিন্তু" তোর মা মুখে বললেও হয়ত চাইত না তোদের বাসায় যাই। আমিও তোদের খারাপ অবস্থা দেখতে পারব না তাই সাত তলায় বাসা, এখন ক্লান্ত সেই অজুহাত দেখিয়ে যেতাম না। শেষ আমার রেজাল্টের পর আমাদের বাসায় এসে তোর মা বলল, তোর বাবা নাকি এফডিসি থেকে শুটিংয়ে ইন্ডিয়া গেছে। অথচ সেই দিন বিকালে আমি যখন বাইরে যাই তখন তোদের চার জনকে দেখলাম। আমি দেখেও না দেখার ভান করে চলে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু তোরা ত আর জানিসনা তোদের মা সকালে কি নাটক সাজিয়ে এসেছে। তোরা আমকে দেখে চিৎকার করে বলে উঠেছিস "বাবা, দেখ মুক্তা আপু যায়" তার পরও আমি ব্যাস্ততার অজুহাত দেখিয়ে চলে গিয়েছি। তোর মাকে জিজ্ঞেস করলে সে নির্ঘাত বলত শুটিং প্যাকআপ হয়েছে তাই চলে এসেছে। চরম দৈন্য দশায় যদিও তোদের চেহারার দিকে তাকানো যায়না তার পরও তোদের বাবা যেই সেই ই রয়েছে। তার স্বাস্থ্য সুরত বহাল তবিয়তে রয়েছে। এখন ও সে দামী বডি স্প্রে দিয়ে বাইরে বের হয় যদিও তোরা ময়লা জামা পড়ে বাইরে আসিস। বড়ই আজব লাগে তোদের মার স্বামী প্রীতী দেখলে। আমরা যদিও বলতাম ইনকাম করতে পারেনা কিসের খাওয়া? আগে বাচ্চাদের খাওয়া ঠিক তার পর বাবার খাওয়া। কিন্তু তোদের পারলে না খাইয়ে তোদের বাবাকে খাওয়ায়(!!!) চরম অনিশ্চত তোদের ভবিষ্যত। আমি বলব চরম ভাবে ব্যার্থ তোদের বাবা-মা। নিজেদের ভূলে চরম মাশূল বাচ্চাদের গুনতে হচ্ছে(!)
ভাল থাকিস সব সময়।
শোভন, বাবু! তোমার সেই আবল তাবল কথা খুব মিস করি। ঈদে কি কিনবা জিজ্ঞেস করলে বলতে পানবাতি(পান্জ্ঞাবী) কিনব। এখন ও স্পস্ট করে বলতে পারনা কথা। কখনও তুমিই কথা বলে তুমিই হাসতে। বুঝতে পারতে তুমি যে উল্টা-পাল্টা উচ্চারন করে ফেলেছ। স্কুলে কি টিফিন নিবে, জিজ্ঞেস করলে বলতে ইতকুলে পতারা আর দিম নিবো(পরটা, আর ডিম)। আদৌ তোমার পতারা আর দিম নেওয়া হবে কি না, হলেও কবে জানিনা। তবে শিঘ্রই যাতে যেতে পার সেই দোয়াই করি।
ভাল থাকিস সুপ্তি, ভাল থেক শোভন। অনকে অননেএএএক শুভকামনা তোদের জন্য। তোদের উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করি সব সময়।
প্লীজ আপনারা সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন যেন খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪২
১৯টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×