বিমুর্ত অনুভূতি
আদিগন্ত বিস্তৃত আকাশের নীচে, প্রকৃতির এই আপন মেলায়
যেখানে গাছের পাতার খসখসে শব্দ
পাখির গীত আর হেয়ালি বাঁদরের কিচকিচ-
রেশম রেশম ঘাসের মাদুরে মুখোমুখি আমরা দুজন-আমি অতি কীটানুকীট!
পাশে বয়ে চলে শান্ত গ্রাম্য কিশোরি,
দুষ্টু বাছুরটিকে বাগে আনতে হঠাৎ হঠাৎ চঞ্চল পদক্ষেপ তার-কুলকুল শব্দে স্রোতস্বিনী।
নদীতীরের বালুর গায়ে রোদ্রের বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন,
পদার্থবিজ্ঞানের সব সুত্র তুচ্ছ করে
হয় গঠনমূলক ব্যাতিচার, তৈরি করে চরম বিন্দু ওঁর সামনে-
রাঙায় আমার প্রিয়ার মুখ।
আদুরে মেয়ের মত বিকালের রোদ আমার প্রিয়ার শ্বেতশুভ্র মুখ
( যেখানে লোহিত কনিকা নিয়ে বয়ে চলা নীল শিরা স্পষ্ট হয়ে ফুটে থাকে)
করে তোলে রক্তাভ, রক্তজবা না বিয়ের প্রথম প্রহরে লাগানো সিঁদুরের মত -
আমি এলেবেলে কবি , হাতরে ফিরি ব্যর্থ উপমা।
আমার কাঁপা কাঁপা হাত তার চিবুক স্পর্শ করতে গিয়ে মাঝ পথে থেমে যায়-
অপার্থিব সৌ্ন্দর্যে।
ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর দেখিনি আমি, জয়সলমীর অজানা থাকে,
বালি সৈকতে হাটিনি আমি, ফেরদাউস বেহেশতের অলীক কল্পনা বুঝিনা
তবু নির্দ্বিধায় নিঃশঙ্ক চিত্তে আমি আজ বলি
খোদা আজ এইখানে এক মানবীর উপস্থিতিতে চারিপাশে এক নতুন বেহেশ্তের সৃষ্টি দেখে
নিশ্চয়ই অবাক হবার মানবীয় গুণাবলি লাভ করেন।
নিমগ্নচিত্তে তাকিয়ে থাকি তার আঁখি পল্লবে
এত কাছ থেকে য়ে ওর চোখের তারা বাদামি বর্ন মনে হয়
ওই চোখের মনিরন্ধ্র দিয়ে আমি দেখি
এক নতুন মহাবিশ্বের দ্বার, পুষ্পিত সৌরভে মাতোয়ারা পৃথিবী
বাতাস যেখানে সবসময়ই মদির, অক্সিজেনের বদলে থাকে নতুন মৌল
--- ভালোবাসাবাসিজেন!