মৃত্যু.........................................উফ্...... শব্দটি শুনলেই শরীর জুড়ে কেমন জানি হিমশীতল একটি স্রোত বয়ে যায়। একটি সময় ছিল যখন কখনো মনেই হতো না আমি মরব। আমি কোন ভাবে মরতে পারিই না। কিন্তু নির্মম সত্যিটা হলো মৃত্যুকে এড়ানো যায় না। মৃত্যু থেকেও যে জিনিসটি আমাকে বেশী ভাবায় সেটা হলো আমি কি ভাবে মারা যাব? রোড একিাডেন্ট করে? পানিতে ডুবে? সাপের কামড়ে? বুড়ো হয়ে স্বাভাবীক নিয়মে নাকি অন্য কোন ভাবে? আমি যে দিন মারা যাব সেদিন টি কেমন হবে? শীত, বর্ষা নাকি অন্য কোন ঋতু থাকবে? সেদিন কি বৃষ্টি হবে নাকি রোদ হবে?
যে ভাবেই মরি আর যে দিনেই মরি আমার কোন আপত্তি নাই। আমার আপত্তি শুধু ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুকে। কিছু মানুষের মৃত্যু দেখে খুব কষ্ট হয়। দিনের পর দিন বিছানায় ধুঁকে ধুঁকে তার পর একদিন মৃত্যু। যে মারা যায় তাঁর তো বটেই তার পরিবারের জন্যও সেটা অনেক কষ্টের। আবার কিছু মানুষ আছে যারা একদম বিনা নোটিশে ধুম করে মরে যায়। এমন অনেক দেখেছি যে হয়তো ভাত খেতে বসেছে। সেই ভাত পাতেই মারা গেল। এমন মৃত্যু দেখলে সত্যি বলতে কি, আমার হিংসে হয়। আমিও আমার এমন মৃত্যুই আশা করি। মরতে যেহেতু হবেই সেটা যত কষ্ট কম করে মরা যায় সেটাই মঙ্গল। আমি চাই কারো উপর নির্ভরশীল হওয়ার আগে মরতে। কাউকে যেন বলতে না হয় আমাকে ১ গ্লাস পানি দাও........
কোন এক কবির (নাম মনে পড়ছেনা সম্ভবত আহমেদ ছফা) একটি কবিতা আছে অনেকটা এমন....
আমার মৃত্যু যেন হয় ঘুমের ঘোরে
স্বপ্নের আবেশে
নিজেও জাগলাম না
অন্যকেও জাগালাম না।
ঠিক এমন মৃত্যুই আশা করি। এমন মৃত্যু পাব কি?