বাসায় আসলে আমার আর ফোনের দিকে নজর থাকেনা, ফোন না ধরলে কারোর দুঃশ্চিন্তা করার নেই তাই বোধহয়। বাইরে থাকলে আমাকে নিয়ে বাসার মানুষগুলো চিন্তায় থাকে তাই ফোনটা সাথে নিয়ে বের হই।
আজকাল ফোনটার দিকে নজর পরে, কোন কল না এলেও, খেয়াল রাখি,যদি সে ফোন দেয়? আমাকে না পায়?আমার তো ফোন দেওয়ার অনুমতি নেই, সেই দিবে, সেই পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হবে। ফোন দিলে যেন আমাকে পায়। ফিরে না যেতে হয় তাকে।
সে পদ্মার পাড়ে বসে আছে হয়তো,এতো গরম। তার সাথে কেন যে রাগ করতে পারিনা,বুঝিনা। আমার রাগ তার খারাপ লাগে, তাই তার সাথে রাগটাও করতে পারিনা।
আপাতত কল্পকথন।
-হ্যালো।
-হুম।
-কেমন আছেন?
-ভালো।
-ও।
নীরবতা.............
-কি হলো, চুপ কেন?
-আপনিও তো কিছু বলছেন না।
-তাও ঠিক।
-হুম।
-তোমার কি মন খারাপ?
-না, কেন মন খারাপ হবে?
-ও।পড়ো।
-রাখতে বলছেন?
-হুম।
দিলেন কেটে।
নিঃশ্চই খুব কষ্ট পাচ্ছেন এই গরমে, ঘেমে একেবারে নেয়ে আছেন হয়তো। কেন যে তাঁর কথা ওই দিন শুনিনি! আজকে খুব ইচ্ছে করছে তার চুল টেনে দিতে, ঘুম পাড়িয়ে দিতে, লেবু জল করে দিতে। আরাম পেতো মানুষটা।
একটা বার মনেও করেনা! কান্না পাচ্ছে, বোঝেনা কেন? লজ্জাও লাগছে। কেমন মানুষ উনি!