যাচ্ছিলাম North South University’র পিছন দিয়ে রিক্সায়। চোখ গেলো সামনের এক ঢাউস গাড়ীর ভেতরে বসা তরুণীর দিকে। অনিন্দ্য সুন্দরী তরুণী, কিন্তু তার চেয়ে বেশী চোখ গেলো তার দুটো হাতের দিকে। হাফ্ হাতা টি-শার্টের জন্য তার বাহু পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিলো। প্রথমে বুঝতে কিছুটা সময়ই লাগলো। কব্জিরও সামান্য ওপর থেকে নিয়ে কনুই পর্যন্ত হাতের চামড়া কোঁচকানো। বুঝলাম এত বেশী মাদকের ইন্জেক্শান পুশ করা হয়েছে যে চামড়ার ঐ অবস্থা হয়েছে। হায় মাদকাসক্তি! ঢনাঢ্য সুন্দরী, কিন্তু তার ভবিষ্যত কি? এ বয়সেই ঐ পরিমাণ drug consume করলে শরীরের আর কি বাকী থাকে?
এক স্কুলের বন্ধুর জীবনই চলে গিয়েছিলো এই কারণে। কম বয়সেই তার হার্ট ফেল করেছিলো। তার আগেতো তার পরিবার, প্রেম সবই কি অবস্থায় ছিলো তাতো বুঝতেই পারছেন। আরেক মেধাবী বন্ধুরও শিক্ষাজীবনের গুরুতর ক্ষতি হয়েছিলো। অনেক পরে সে ধীরে ধীরে তার শিক্ষাজীবন শেষ করে অবশেষে ডাক্তার হিসেবে বর্তমানে South Africa’য় কর্মরত আছে। এক কাজিনের স্বামী ভাল চাকরী করতো। কিন্তু একই কারণে তার সার্বিক বিবাহিত জীবনে চরম অশান্তি।
অগণিত পরিবারে এই নিয়ে সমস্যা। দেশের ভবিষ্যত যে কিশোর-তরুণেরা, তারাই যদি এর ফাঁদে আটকে যায় তবে সমাজের কি অবস্থা দাড়াবে?
বড় ভালো হত যদি পৌরপিতাগণ এই বিষাক্ত কালোথাবা নিজ দেশে প্রয়োগ না করতেন।