somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাসুখের চাকরীটা ছেড়েই দিলাম শেষতক!

৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
পৌনে তিন বছর ধরে চলমান মহাসুখের চাকরিটা শেষতক ছেড়েই দিলাম। আজ শেষ কর্মদিবস স্মৃতিবহুল অফিসটায়। কোম্পানীর মফস্বল কার্যালয়। কার্ড পাঞ্চ করার ফ্যাকড়া নেই। হেলেদুলে ১০ সোয়া ১০টা নাগাদ ডেস্কে পৌছালেও যথেস্ট সিনসিয়ারিটি দেখানো হয়। কাজ বলতেও আহামরি কিছুনা। কিছু ইমেইল চেক, ফরওয়ার্ড বা রিপ্লাই। রসদ হিসেবে সাথে এক্সেল এটাচমেন্ট; কিছু কুরিয়ার সেন্ড বা রিসিভ করা; কিছু এসএমএস চালাচালি।
বাদবাকী সময় একান্তই নিজের। ডেস্কের উপর ল্যাপটপ সাজাতে সাজাতে হাঁক দিই এসিস্ট্যান্টকে ''....ভাই, চা খাওয়ান।'' হাতে ১টি বাংলা ও আরেকটি ইংরেজি 'সুশীল' পত্রিকা। ফাঁকে ফাঁকে দাপ্তরিক কাজ। কিছুক্ষন বাদে ফাইন্যান্সের বাড়তি টেবিলে পশ্চাৎদেশ ঠেকিয়ে ৪/৫ জনের মহাগুরুত্বপূর্ন গোলটেবিল বৈঠকের প্রভাতী অধিবেশন। বিশ্বমন্দা, টপম্যানেজমেন্টের ধারাবাহিক অদক্ষতা, বোনাসের আকাল, প্রমোশনে কোন নিয়মকানুন নেই ...থেকে নারীযুক্ত অফিস চাই আন্দোলন। এ করতে করতে দ্বি-প্রহর। ভাতের সময়। ৩মিনিটের হাঁটার দুরত্বে বাসা। চল যাই খাই। ও খেয়ে দেয়ে দিবানিদ্রা।
শেষবেলায় আরেকবার নাএলেই নয়। তাই আরেকটু ইন্টারনেট ব্রাউজিং। আবার হাঁক "......ভাই, চা খাওয়ান।'' তারপর টেবিলটেনিস। ওটাও অফিসের আয়োজনেই! রাত ৮টা (বা ৯টা) নাগাদ বাসায় গমন।
আর আছে মিটিং মিটিং খেলা। পাক্ষিক, মাসিক, বিশেষ নানাবিধ মিটিং। জনাদশেক কলিগ ডিম্বাকৃতির টেবিলের চারধারে বসে গেজাঁনো। সাথে অবশ্যই পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেক্টর, যা নাহলেও চলে। হাসি তামাশা, চা, বিস্কুট ও অবশ্যই এ সুবাধে লাঞ্চ/ডিনার।
আছে ট্রেনিং, সেমিনার, ওয়ার্কশপ। এ তিনটির পার্থক্য এখনো বুঝিনি। তবে মনেহয় ওয়ার্কশপে কিছু কুতকুত খেলা হয়! যা অন্য ক্ষেত্রে হয়না। কথা পুরানা। বাহারি পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড প্রদর্শনী ও বুঝেও না বুঝা অনেক প্রশ্নের উত্তর। দু;বেলা চা বিস্কুট ও একবেলা ভাত। ভালোই। বিষয়েরও অভাব নেই- ব্যবসায়িক যোগাযোগ, দল গঠন, চাপ ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক সংযোজন, তথ্য সচেতনতা, হেপাটাইটিস বি আরো কত কি! একদল কলিগতো এসব করেই খাচ্ছে।
এভাবেই কেটে যাচ্ছিল মহাসুখের দিনগুলো! তবুও শেষতক সইলনা। বেশী সুখের চাপ আবার সইতা রি না। ছেড়ে দিলাম শেষতক। গুডবাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৩৮
২২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×