শার্ট - ফাটাফাটি।
পেন্ট - ফাটাফাটি।
জুতা - ফাটাফাটি।
থ্রি পিস - ফাটাফাটি।
শাড়ি - ফাটাফাটি।
গয়না - ফাটাফাটি।
এতসব ফাটাফাটি ঘোষণায় আমাদের কানের অবস্থাও ফাটাফাটি।
ঈদের দেরি আছে অনেক। কিন্তু দোকানদারদের তর সইছে না। যত আগে পারা যায় ঈদের বেচাকেনা শুরু করতে চায় তারা। পাবলিক পকেটে টাকা নিয়ে ঘুরবে কিন্তু কিনবে না, সেটা হতে পারে না। তাই একটু মার্কেট গরম করার তালে আছে তারা।
মার্কেট গরম করতে গিয়ে তারা লাগিয়ে নিয়েছে মাইক। পাশাপাশি দোকানে মাইক লাগিয়ে সমানে চলছে ফাটাফাটি। মার্কেটে মার্কেটে মাইকের পর মাইক।
শব্দদূষণ বলে একটা ব্যাপার যে আছে এই সব মাইকের অত্যাচার দেখলে বিশ্বাস হয় না। তারা বোধ হয় জানেও না, শব্দদূষণ বলে একটা ব্যাপার আছে। তারা ধরেই নিয়েছে যত জোরে মাইক লাগিয়ে ফাটাফাটি করা যাবে, তত ভালো ব্যবসা হবে। কী আজব মানসিকতা !
তাদের ফাটাফাটি ব্যবসার জেরে কার কানের ফাটাফাটি হয়ে গেল, কোন উচ্চরক্তচাপের রোগীর ফাটাফাটি হয়ে গেল, কোন হৃদরোগীর হৃদযন্ত্রের ফাটাফাটি হয়ে গেল, কোন ছাত্রের পরীক্ষা প্রস্তুতি ফাটাফাটি হয়ে গেল, সেটা খবর রাখার সময় নাই। ইচ্ছাও নাই।
এইসব ফাটাফাটির মধ্যে পড়ে কার কার কী ফেটে গেল, তা তদারকি করার কেউ নাই। পরিবেশ অধিদপ্তর নামে একটা ঠুটো জগন্নাথ বিশাল সব পদ পদবি নিয়ে গদি হাকিয়ে বসে আছেন। তাদের বড় বড় কর্মকর্তারা কেবল অজুহাত দেখান। তাদের আইন নাই, লোকবল নাই, ক্ষমতা নাই - অজুহাতের বহরেও ফাটাফাটি।
এই দেশে মানুষের সামাজিক দায়িত্ব বলে কিছু নাই। কেবল নিজের মুনাফা ছাড়া কোন চিন্তা নাই। ফাটাফাটি ব্যবসা করে ফাটাফাটি মালদার হওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সবই করা জায়েজ। তাতে করে কার জান ফাটাফাটি হয়ে গেল সেইটা ভাবার কারও সময় নাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৪৩