somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা

৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাছের রাজা ইলিশ,
বাত্তির রাজা ফিলিপস
মানুষের রাজা পুলিশ।

এই সহজ কথাটা তিনি জানতেন না। নইলে পোস্টার বিক্রেতা থেকে কোটিপতি হয়ে তিনি কেন এই ভুল করবেন ? পুলিশের গায়ে হাত। পুলিশ তো আর তার কর্মচারী নয়।
যাগ্গে, তাকে পুলিশে ছুঁয়েছে। কথায় বলে বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা। আজাদ সাহেবের কয়টা ঘা হয়েছে কে জানে ?
বাংলাদেশে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করার আগে তার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চায়। যদি বুঝতে পারে, কোন ব্যক্তির সরকারী দলের সাথে সামান্য লিংক আছে , তাহলে ঘাটায় না। কিন্তু যার লিংক নাই, তার কোন অপরাধ না থাকলেও অশেষ কুখ্যাত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৫৪ ধারা বা ৩৪ ধারায় গ্রেফতার। আম-জনতাকে হয়রানির জন্য পুলিশ এই ধারাগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে।
কত সরকার আইলো গেল, মাগার এই বিশেষ ক্ষমতা আইন নামের এই কালো কানুন বিশেষভাবেই থেকে গেল। পুলিশের অবৈধ আয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ধারা এই ৫৪ ধারা। এই ধারায় পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে যাকে খুশি তাকে গ্রেফতার করতে পারে। জংলী কুখ্যাত নোংরা একটা আইন। এই আইনের কারণে পুলিশ ইচ্ছামতো দু নম্বর ইনকাম করতে পারে।
বাস্তবে পুলিশ তাই করে। কোন দিন ইনকাম কম হলে দিন মজুর শ্রেণীর লোককে টার্গেট করে। অশিক্ষিত দিনমজুন শ্রেণীর মানুষকে তারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। কারণ এই শ্রেণীর মানুষগুলি পুলিশকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় এবং এভাবে গ্রেফতার হলে হতবুদ্ধি হয়ে যায়।
তারপর চলে নাটক। থানায় থানায় নাটক। রাতে গ্রেফতারকৃতদের বউ থাকলে বউ, বউ না থাকলে মা কাঁদতে কাঁদতে থানায় এসে হাজির হয়। কেন তার স্বামী বা সন্তানকে গ্রেফতার করা হল তা জানতে চায় ডিউটি অফিসারের কাছে। এই রকম কান্দনওয়ালা লোকের অপেক্ষায়ই থাকে পুলিশ। তারপর সুযোগ বুঝে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয় ক্রন্দনরতার কাছে। বউ বা মা বা নিকটাত্মীয় দৌড়ঝাঁপ করে টাকা যোগাড় করতে থাকে।
কিছু টাকা পয়সা খরচ করে ছাড়িয়ে আনতে হয় সেই নিরপরাধ ব্যক্তিটিকে। প্রতিদিন থানায় থানায় এই রকম নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বাণিজ্য করে পুলিশ। ভদ্রভাষায় এটাকে বলা হয়, গ্রেফতার বাণিজ্য।
এই বাণিজ্যের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা হয় পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে।
অন্য দিকে যদি কারো কোন লোকই যোগাযোগ না করে তাকে ছেড়ে দেয় বা পেন্ডিং মামলায় ঢুকিয়ে দেয়। সাধারণত ছেড়ে দেয়ার ঘটনাই ঘটে। কিন্তু পেন্ডিং মামলার আসামী করা হয় টাকা খেয়ে।
যেমন পুলিশের সোর্স আছে। সেই সোর্সের মাধ্যমে এসব তদবির আসে। কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানির জন্য কোন ধূর্ত লোক এই কাণ্ডটি করায় পুলিশকে দিয়ে। পুলিশকে টাকা দিয়ে গ্রেফতার করায় ওই লোকটিকে। তারপর কোন অস্ত্র বা ডাকাতি মামলায় আসামী বানানো হয় তাকে। ব্যাস, সে যে নিরপরাধ এই কথা প্রমাণ করতে করতে তার জীবন শেষ হয়ে যায়। কখনও কখনও ওই মামলার প্রকৃত আসামীরা পার পেয়ে যায় এবং নিরপরাধ লোকটিরই জেল হয়ে যায়।

আজার গ্রুপের কর্ণধার আবুল কালাম আজাদ টের পান নি তিনি কী করেছেন। এখন টের পাচ্ছেন । সাধারণ মানুষকে খুন করলেও অনেক শিল্পপতি পার পেয়ে যায়। কিন্তু পুলিশের গায়ে হাত তুললে রক্ষা নাই।
খবর এখানে :
‘স্যার, আমার ভুল হয়েছে, মাফ করে দিন’
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ২:৩২
১২টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×