বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুক্রবার বলেছে, সোয়াইন ফ্লু বা এইচ১এন১ ভাইরাসের একটি মারাত্মক রূপের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এটা সরাসরি ফুসফসে আক্রমণ করছে, এর ফলে সুস্থসবল তরুণেরা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্যয়বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন হচ্ছে।
মহামারীর সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ডব্লিউএইচও আরও জানায়, কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, নতুন ধরণের ভাইরাস এইচ১এন১ এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অন্তত ১৫ শতাংশ রোগীকেই নিবিড় পরিচর্যায় রাখতে হচ্ছে। এতে এ ভাইরাসের কারণে ইতিমধ্যেই চাপের মধ্যে পরা দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগরে ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
বলা হয়েছে, "শীতকালে দক্ষিণ গোলার্ধে কয়েকটি দেশে নিবির পরিচর্যার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গিয়ে স্বাস্থ্যবিভাগ এ যাবৎকালের মধ্যে ভয়াবহ চাপের মধ্যে পড়বে।"
"নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ হঠাৎ করেই মারাত্মক অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।"
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়, জাপানে এ ভাইরাসে আক্রান্তের মাত্রা মহামারী আকার ধারন করেছে। এতে আগেভাগেই দেশটিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে পড়ার খবর জানা গেল। এছাড়া উষ্ণ মণ্ডলীয় অঞ্চলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে বলেও সংস্থাটি সতর্ক করেছে।
ডব্লিউএইচও থেকে আরও বলা হয়েছে, "খুবই তাৎপর্যপূর্ণমুলক সংখ্যায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তরুণ এবং স্বাস্থ্যবানদের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। স্বাভাবিক ইনফ্লুয়েঞ্জা যাদের খুব কমই হয়ে থাকে।"
"এসব রোগীর ক্ষেত্রে ভাইরাস সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করায় মারাত্বক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ রোগীদের জীবন বাঁচাতে বিশেষজ্ঞ এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে সেবার প্রয়োজন। এ সেবা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়সাপেক্ষ হয়।"
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু ও আদিবাসীরা এইচ১এন১ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, "কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সাধারণ জনগণের চেয়ে এদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা চারগুণ বেশি।"