somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“ছেলে-মেয়ের ভবিষৎ চিন্তা ভাবনা”

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের সন্তানদের নিয়ে বাবা-মারা অনেক চিন্তা করে থাকেন। সন্তানেরা যখন ছোট থাকে তখন বাব-মাদের চিন্তা ভাবনা থাকে সঠিক খাবার-ঘুম-জ্বর-সর্দি ইত্যাদি নিয়ে। আর সন্তানেরা যখন বড় হতে থাকে তখন পিতা-মাতার চিন্তা ভাবনা পরিধি প্রতিনিয়ত সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হতে থাকে। সন্তান স্কুল-কলেজ-কোচিং-ভার্সিটিতে সঠিকমতো যাচ্ছে কিনা? কী ধরনের সহপাঠীদের সাথে মিশছে, খারাপ নেতিবাচকের পথে ধাবিত হচ্ছে কিনা ইত্যাদি নানা চিন্তা ভাবনা পিতা-মাতা উভয় সারাক্ষণ করে থাকেন।
সন্তানের ভবিষৎ-এর সাফল্যের কথা চিন্তা করে বাবা-মার পাশাপাশি সমাজের অন্যান্য মানুষদেরকেও নৈতিক দায়িত্ববোধের প্রতি সচেতন হতে হবে সুষ্ঠ লালান-পালনের মধ্য দিয়ে।
কতৃর্ত্বপরায়ণ:
শিশু বা সন্তানকে কখনো কোন বিষয়ে চাপ বা প্রভাব সৃষ্টি করা যাবে না। আশিক পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছে তোমাকেও পরীক্ষায় এ প্লাস পেতে হবে; ও পারলে তোমাকেও পারতে হবে যে করে হউক। আমদের এ ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে বাবা-মার পাশাপাশি সমাজের অন্যান্য স্তরের মানুষদরেও এমনকি বিভিন্ন্ আড্ডার সহপাঠীদেরও। তা না হলে সমাজে নেতিবাচকের খারাপ প্রভাবগুলো দেখা দিবে। যেমন: মাদকাশক্তি, নেশা ও অন্যান্য।
প্রশ্রয়পূর্ণ আচরন:
অতিরিক্ত স্নেহ-ভালবাসা কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না সন্তানের জন্য। আমার দেখা একটি পরিবার আছে সেই পরিবারে মা তার ছেলেকে প্রচুর অতিরিক্ত স্নেহ-ভালবাসা-আদর যন্ত করে থাকেন এমনকি আত্মীয়স্বজনেরাও। কিন্তু ছেলেটি সঠিকভাবে বড় হচ্ছে না –এর মূল কারন বাবা-মা ও আশে-পাশের বিভিন্ন্ মানুষের প্রশ্রয়পূর্ণ আচার-আচরন। সন্তানের সবকিছুতে চাওয়া-পাওয়া সম্মতি। এতে সন্তানের চাওয়া-পাওয়ার মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় প্রতিনিয়ত ছোট থেকে বড় হওয়ার পাশাপাশি। না পেলে উগ্র মেজাজ প্রকাশ করে থাকে। কোন কোন পর্যায়ে বাবা-মা উভয় ভয়ের সম্মুখীন হতে থাকেন সন্তানের প্রতি যেমনটা হয়েছে ঐশীর ব্যাপারটা। প্রশ্যয়পূর্ণ অতিরিক্ত ভালবাসার ফলে বর্তমান তারুণ্যেরা খারাপ পথে চলে যাচ্ছে এবং আসক্ত হচ্ছে।
সামাজিক মূল্যবোধ:
কার কী আসে যায় ওর পরিবারের সন্তানেরা খারাপ এতে আমাদের কী আসে যায় না। আমাদের বাব-মা ও সমাজের বিভিন্ন মানুষের সামাজিক সঠিক মূল্যবোধের পরিচয় ফুটে উটে না বলে আজকাল আমাদের সন্তান ও তারুণ্যেরা সঠিকভাবে বড় হতে পাচ্ছে না বরং খারাপ পথের দিকে অতিবাহিত হচ্ছে। শুধু বাবা-মার একার দায়িত্ব নয় সমাজের সর্বস্তরের মানুষগুলোকেও সামাজিক মূল্যবোধের পরিচয় ও ভালবাসা দেখাতে হবে স্ব-স্ব সন্তান ও তারুণ্যদের প্রতি।
আদর্শ পিতা-মাতা:
বাব-মার সঠিক শৃংখলা, নিয়ম-কানুন,পরিমিত সুষ্ঠু ভালবাসাই সন্তানের আগামীর ভবিষৎ। পারাস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বসুলভ আচার-আচরন সন্তানের প্রতি আদর্শ পিতা-মাতার নৈতিক দায়িত্ববোধের পরিচয়গুলো ফুটিয়ে তুলে লাল গোলাপের পাপড়িগুলোর মতো।
শাস্তির বদলে সঠিক ভালবাসা, সুষ্ঠু ব্যাখ্যা, নিয়ম-কানুন, পরিমিত স্বাধীনতা, আত্মবিশ্বাস ইত্যাদির ফলে সন্তানের ভবিষৎ সুসংগঠিতভাবে গঠিত হয়।
সহপাঠী ও বাবা-মার করনীয়:
বিভিন্ন সেক্টরের সহপাঠী ও বাবা-মার ভালবাসা, পারস্পরিক সহযোগিতাই পারে আমাদের সন্তান, বন্ধু-বান্ধবকে নেশা জাতীয় পথ থেকে দূরে রাখতে।
• গুরুত্ব সহকারে কথা শুনা সন্তানের ও নানা পর্যায়ের সহপাঠীদের।
• পরিপূর্ণ ভালবাসা প্রকাশ করা সন্তানের প্রতি।
• শিশু বা সন্তানকে অন্যের সাথে তুলনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
• সহপাঠী ও সন্তানেরা কিছু বলতে চাইলে গুরুত্ব সহকারে মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে। কোন প্রকার তাচ্ছিল্য করা যাবে না।
• উৎসাহিত করা সন্তান ও এবং বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবকে।
• পছন্দ-অপছন্দ, খারাপ-ভাল লাগা গুলো খোলামেলাভাবে বিনয়ের সাথে প্রকাশ করতে হবে।
• চাপ বা প্রভাব ফেলা যাবে না কোনভাবেই সন্তানের উপর।
• আড্ডায় সহপাঠীকে লজ্জিত করা যাবে না এমনকি ছোট করা যাবে না কোন ভাবেই।
• সন্তান বা সহপাঠীর প্রতি কোন ভাবেই গোপন নজরদারি করা যাবে না।
• ভাল কাজে প্রশংসা করতে হবে।
• প্রযুক্তির ভাল দিক গুলো ফুটিয়ে তুলতে হবে।
• সংস্কৃতি মনা করে তুলতে হবে।
• সন্তানের বন্ধুদেরকে বেশি বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
• বয়স বাড়ার পাশাপাশি যৌন সংক্রান্ত বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যাখ্যা প্রধান করা।
সন্তানের ভবিষৎ-এর কথা মাথায় রেখে কোনভাবেই ভেংগে না পড়ে সুষ্ঠু সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে বাবা-মা উভয়কে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সমাজের নানা স্তরের মানুষগুলোকেও সন্তান বা তরুন-তরুনীর বর্তমান ও ভবিষৎ-এর প্রতি সচেতন হতে হবে।
ধন্যবাদ।

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×