somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মন খানা ব্যাফক খারাপ - ইহা একখানা বেশরম পোস্ট!B-):D:P

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মনখানা লোকাল টয়লেটের মতই খারাপ অবস্হা। রোজা শুরু হওনের পর থিকা মন ব্যাফক ভারাক্রান্ত হইয়া পেটের ওজন হালকা কইরা দিছে, তাই অখন ফিজিক্সের নিয়ম মাইনা ক্ষুধা লাগে। বুঝতে পারলাম না কুন মদনা বিজ্ঞানীর ল মাইনা আমার ক্ষুধা লাগন শুরু হইলো!

যাই হোউক, কয়দিন আগে ট্যুরে গেছিলাম, মাইলের পর মাইল গাড়ী খালি চলে আর চলে আর রাস্তা বাড়নের সাথে সাথে মন খারাপ ও একটু একটু কইরা বাড়তে থাকে। অবশ্য কারন একটাই: হিস্যু ধরছে।

চাপায় রাখতে না পাইরা মানিকগন্জ্ঞ বাস স্ট্যান্ড থামাইয়া হিস্যু করতে নামলাম। কই হিস্যু করুম খুজতে খুজতে একখান দেয়াল পাইয়াই দিলাম কাম শুরু কইরা। আহ কি মজা আকাশে বাতাশে!
হঠাৎ জীপার লাগাইতে লাগাইতে পিছে ঘুইরাই দেখি একখান লোক খাড়াইয়া কয়," ভাইজান দুইটা টাকা!"
মেজাজ খারাপ হইয়া গেলো, ইদানিং খাইতে গেলেও টাকা আবার ছাড়তে গেলেও টাকা। আমি কইলাম," শরম করে না এমন কাজ করা অবস্হায় টাকা চাইতে!"
: (হাসতে হাসতে) শরম করবো কেন, আমি তো লুঙ্গি পইড়াই লইছি!
: আব্বে টয়লেট করনের লিগা টাকা কি টয়লেট করনের সময়েই নিতে হয়? আমি কি পলায় যাইতাছি?
: ভাইজান যে কি বলেন! সামনে রোজার মাস, তাই দুইটা টাকা ভিক্ষা চাইছি, টয়লেট করনের লিগা জরিমানা তো ২০০ টাকা। ঐটা যে নিবো সে অখন বাস থাপড়াইতাছে। ভাইজান, দুইটা টাকা দেন!

২টাকা দিয়া ১৯৮ টাকা বাচাইতে বাচাইতে ভাবলাম মনখানা ভালো রাখনের লিগা সাধনা করন দরকার। বুঝলাম না আমার মনের উপরে কেডা কু নজর দিলো। যেইখানেই যাই, মন খারাপ হইবোই!

ব্যাফক চিন্তায় উদাস হইয়া গাড়ীত উঠলাম!

বয়স তো কম হইলো না, এইডা ভাবতে ভাবতে ফরিদপুরের বন্ধু বান্ধবগো ফুনাইলাম। ভাবলাম কাম কাইজ সাইরা পুলাপানের লগে গাবামু। শুক্রবার দিন বাসা থিকা উইঠা বিদায় নিয়া বন্ধু বান্ধবগো ডাকাইলাম। এর মধ্যে একজন কইলো মাঈন নাকি খালি ঘুমায়। আমি ভাবলাম পোলাটার লগে আমার লাস্ট দেখা হইছিলো ১৩ বছর আগে। ও তখন আমাগো ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মুখের পোলা আছিলো। যতরকমের পুংটা জুক্স, পুংটা আকাম আর পুংটা জায়গার খবর ওর কাছেই থাকতো।

যাই হোউক, তিন বন্ধু মিল্লা গেলাম ওর বাড়ি। নকাইতেই একটা সুন্দরী মাইয়া দরজা খুললো। আমি ভাবলাম কি একখান দিন, সাত সকাইলে সকিন সকিন!

আমি মাথার চুলের স্পাইক ঠিক কইরা কইতে যাওনের আগেই মানইব্যা কইয়া বইলো," মাঈনরে ডাক দাও। বলো কথা আছে।"
এইটা শুইনাই মাইয়াটা চইলা গেলো আর আমার মনে হইলো মানইব্যার মাথায় ২টাকার পচা কতবেল ফাটাই।
৫ মিনিট পর মঈন ঝিমতে ঝিমতে আইলো। আমি দেখলাম মাথার সব চুল সাদা পাকা!

কইলাম,"দুস্ত, তুমি দেখি আমারে রাইখা একলাই বুড়া হইয়া গেছো!"
: হ, তুমার অবস্হা হইছে ওর মতো, যে কুনোহানে যাইতে দেখলেই কয়," আমারে লইয়া গেলেন না, একলাই চইলা গেলেন।" পরে যখন কইলাম," হ, আমি যে অখন টয়লেট করতে গেলাম ঐখানেও তুমারে লইয়া টয়লেটে যাইতে হইবো মনে হয়! সবকিছু জামাতে করনের অভ্যাস হইলো কবে তুমার?"
: দুস্ত, তুমি দেখি আগের মতোই কিং অব ভালগার আছো। তা দুস্ত কেমুন আছো?
: ভালো, যেমুন তুমরা দোয়া করছো!
: তা দুস্ত মাইয়াটা কেটা? সুন্দর আছে দেখতে। কুন ক্লাসে পড়ে? ফুন নম্বর আছে?
কইয়া মনে হয় কিছু বিদিক হইয়া গেলো। মানইব্যা দেখি ডাইন সাইডে তাকাইয়া গান গাওন শুরু করলো," সে যে কেন আইলো না, আমারে বাশ দিলো না!"
আর ওদিকে আহমদ আলি দরুদ শরীফ কওন শুরু করলো!
এমন সময় রাজু মাঈনের দিকে চাইয়া কইলো," দুস্ত, তুমার মেয়ে এখন ক্লাশ সিক্সে পড়ে না?"
: (মাঈন ব্যাপারটা হালকা করনের লিগা একটা হাসি দিলো) হ তা পড়ে! তা দুস্ত, সিগারেট খাও?
আমি একটু আমতা আমতা কইরা কইলাম," দুস্ত, পানি খামু!"


এমুন সময় গেজাইতে গেজাইতে হঠাৎ আরেক বন্ধু এটিএমের কথা মনে পড়লো। দিলাম একটা ফুন।
: দুস্ত তুমি কই?
: কেডারে?
: আমি রনি, কানু, পাগলা, আইনস্টাইন!
: ও তুই ঐ সোনালী ভুদাইটা, কি খবর?
: তর কি খবর?
: আর কইস না! যামু রংপুর। ঢাকা থিকা ভলভো গাড়ীতে উঠছি, অখন সৈয়দপুরে থামাইয়া কয় গাড়ী নাকি আর যাইবো না। সুপারভাইজারের কলার ধইরা কইলাম টাকা ফেরত দে। সুপার ভাইজার কয় কি আমারে জানস?
: জানুম কেমনে? আমিতো ফরিদপুরে, আমারে তো আর উইড়া আইসা কইয়া দেয় নাই!
: আমারে কয় টাকা নিতে গেলে নাকি ওগের চিটাগাং এর কাউন্টারে যাইতে হইবো! আমি কইলাম তর ৩০০ টাকার লিগা আমি ৪০০ টাকা খরচ কইরা চিটাগাং যামু মামু বাড়ীর আবদার পাইছো! তর কাছে কি আছে বাইর কর! তখন ও কয় ওরে নাকি ১০০ টাকার খাওন খরচ দিয়া ছাইড়া দিছে! অখন ওরে সবাই গন দিতাছে, আমিও দিতাছি!
: মামো, লাগে রাহো, কি আর করবা? তা ঢাকা আইবা কবে?
: আগে রংপুর যাইয়া লই, বৌ নাকি রাগ করছে হেইডা কমায় লই! ঢাকায় আইলে ফুনামু নে!
: ওকে দুস্ত, ভুইলো না আমায়!
কি কমু আর? ধান্ধাবাজী কুন দিক দিয়া রসাতলে গেছে, পরে বুঝলাম আমি যেই নম্বরে ফুন দিছি সেইডা হইলো রং নম্বর। লাস্টে হইবো ২০৩ আমি দিছি ২৩০। জানি না কার লগে এতোক্ষণ ফেদলা প্যাচাল পারলাম!

যাই হোউক, আসলেই দিন গুলা বিদিক হইয়া যাইতাছে! ভালো কুনো লক্ষণ দেখি না চারিদিকে। সবকিছু উলট পালট। বাসায় আইসা দেখলাম উপর তালায় নতুন ভাড়াটিয়া। ছাদে উইঠা দেখি এক বুড়া ব্যাটা আর একখান ফুট ফুইটা সুন্দরী মাইয়া গল্প করতাছে। কিছুক্ষণ পর বুড়া লোকটা উইঠা যাওনে ভাবলাম একখান টান্কি মারি।
: স্লামালিকুম, আপনারা কি নতুন আসছেন?
: (একখান মুচকি হাসি দিয়া) হ্যা। আপনারা কয় তলায় থাকেন?
: জ্বি, দোতালায়। তা উনি কি আপনার আব্বা? কি করেন উনি?
: (একটু কাশ দিয়া কইলো) জ্বি, উনি আমার হাসবেন্ড। উনি এ্যাকাউন্টেন্ট। আচ্ছা আমি একটু যাই, বাসায় কাজ আছে!

এটা বলে মুখটা কালো করে চলে গেলো! মাথা চুলকাইয়া চুলকাইয়া মনে হইলো আসলেই আমারে কেউ নজর দিছে। নাইলে এমনে সবজায়গায় গনধরা খাওনের মানে হয় না!

অভাগা যেইদিকে চায় সেইদিকে নাকি আটলান্টিক শুকায় আর আমি যেইদিকে তাকাই সেইদিকে সব গনবিয়া হইয়া যায়।

কি করি?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:৫৩
৫৮টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×