রমজান মাস আসলেই দেখা যায় রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা নিয়ে নানা আয়োজন। কোন খাবারের দোকান, হোটেল খোলা যাবে না। এমন কি রাস্তার পাশের চায়ের দোকানগুলোও বন্ধ থাকে অন্তত রোজার প্রথম কিছুদিন। তারপর হয়তো দোকানদারের নিজের পেটের ধান্দার কারনেই কিছু খাবারের দোকান খোলে, ভোক্তার কথা চিন্তা করে খোলে না।
জানি এ দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। কিন্তু তাই বলে কি এদেশে অন্য ধর্মের মানুষ বসবাস করে না। তাদের প্রতিদিনের চাহিদা পূরণের কথা চিন্তা না করে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার কথা বলে অধিকাংশ খাবারের দোকান বন্ধ রাখা হচ্ছে। আবার যে দোকানগুলো খোলা রাখা আছে সেখানেও পর্দা টানিয়ে আড়াল করে তারপর খাবার খেতে হয়। আমি রোজা রাখবো কি রাখবো না তা নিতান্ত আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু এই রমজানে খাবার খেতে গেলে খেতে হয় চোরের মত, লুকিয়ে, পর্দার আড়ালে। এবং এটা এখন একটা সামাজিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি যদ্দুর জানি গত বছর গুলশানে প্রকাশ্যে খাবার খাওয়ার জন্য এক বিদেশিকে লাঞ্জিত করা হয়েছিলো।
আমার মনেহয় না, যখন রোজার প্রচলন শুরু হয় তখনও এমন অন্য ধর্মের মানুষদের বা বেরোজদারদের লুকিয়ে খাবার খেতে হতো। মহানবী (স.) এর জীবদ্দশায় কি এমনভাবে রোজার পবিত্রতা রক্ষা করা হত? ইসলাম কি এভাবে রমজানে পবিত্রতা রক্ষার নামে অন্যের অধিকার হরণকে স্বীকৃতি দেয়? নাকি আমরা নিজেরাই সামাজিকতার নামে ধর্মীয় গোঁড়ামি সমর্থন করছি?