নিজের সবকিছুতেই আমরা আমাদের পূর্ণ অধিকার প্রয়োগ করি। আর পূর্ণ অধিকার প্রয়োগ করা যায় বলেই আমরা মালিক হতে চাই। অনেক মানুষ অনেক কিছুরই মালিক। তারা তাদের মালিকানা ন্যায়-অন্যায় না ভেবেই অনেক কিছুতেই প্রয়োগ করে। এর একটি প্রকৃষ্টতম উদাহরণ সংবাদপত্র। সংবাদপত্র যে কি কি করে তা আমরা সবাই জানি। কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ল্যাম্পপোস্টের একটি প্রতিবাদকে প্রথম- আলো যেভাবে চিত্রায়িত করেছে তাও আমরা সবাই জানি। যাক, এবার আমার নিজের কথায় আসি।
আমার যদি একটি নিজস্ব ব্লগসাইট থাকতো এবং তা যদি উন্মুক্ত থাকতো তাহলে আমি যা যা করতাম-
*** যদি নাস্তিক হতাম -
১.আমি যদি নাস্তিক হতাম তাহলে সকল নাস্তিকদের বাহবা দিতাম। কারন, এক অর্থে আমি নিজে নাস্তিক। আরেক অর্থে আমার বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি। কারণ, যদি আমি ইসলাম ধর্ম বিরোধী ও মুসলমান বিদ্বেষী কিছু ফ্যাশনেবল নাস্তিক পেতাম তাহলে আমার বড়ই ভালো হতো। কারণ, তাদের লেখাগুলোর সুবাদে ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী কোনো মিডিয়া আমার এই ব্লগ সাইটের সন্ধান পায়; আর যদি জানে যে এখানে ইসলাম ধর্মবিরোধী অনেক ফ্যাশনেবল নাস্তিক ব্লগার এই কাজ করে যাচ্ছে তাহলে আমি দু'হাতে টাকা কামাতে পারতাম।
২.যদি কোন আস্তিক তথা মুসলমান ব্লগার এই লেখাগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো তাহলে আমি নিশ্চুপ থাকতাম।
৩.আস্তিকরা যদি এই ফ্যাশনেবল নাস্তিকদের গালাগালি করতো পাল্টা নাস্তিকরাও যদি গালাগালি করতো তাহলে আস্তিকগুলোকে আমি তাদের গালাগালির মাত্রা অনুযায়ী কমেন্টসহ ফ্রন্টপেজ একসেস ব্যান করতাম।
৪.যদি কোনো আস্তিকের পোস্টে কোনো ফ্যাশনেবল নাস্তিক ধরা পরে যেত তাহলে আমি ঐ পোস্ট মুছে ফেলে ঐ পোস্টদাতাকে আমি জেনারেল করে দিতাম।
৫.যদি কোনো আস্তিক ব্লগার ঐ ফ্যাশনেবল নাস্তিক ব্লগারের ব্যান দাবি করে কোনো পোস্ট দিতো বা ঐ নাস্তিকের পোস্টে রিপোর্ট করতো তাহলে আমি রিপোর্টকারীকে ব্যান করতাম।
৬.যদি ফ্যাশনেবল নাস্তিক অকারণে কোনো আস্তিকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতো তাহলে আমি তা সাথে সাথে বাস্তবায়ন করতাম।
*** এই এতগুলো কাজ আমি করতাম কারণ তা না করলে ঐ ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী কোনো মিডিয়ার কাছ থেকে আমি মোটা অঙ্কের টাকা পেতাম না। অবশ্যই ঐ ফ্যাশনেবল নাস্তিকরাও মিডিয়াগুলোর কাছ থেকে টাকা পেতো তাদের এই ইসলাম ধর্ম বিরোধী চমৎকার লেখাগুলোর জন্যে। কারণ, তারাই তো এই ব্লগের প্রাণ!!!
***রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আমি যা যা করতাম-
১.যদি আমার পছন্দের দল হতো আওয়ামী লীগ তাহলে আমি ঐ দলের পা চাটা কুকুর হতাম।
২.কোনো ব্লগার যদি আওয়ামী লীগের নেত্রী ও দলের যৌক্তিক অন্যায় তথা দোষগুলো তুলে ধরতো তাহলে আমি ঐ সমস্ত ব্লগারদের লেখা মুছে দিতাম। মাসখানেক ওয়াচে রাখতাম। সপ্তাহের বেশী জেনারেল রাখতাম।
৩.যদি এর পরেও লিখতো তাহলে আমি কমেন্টসহ ফ্রন্টপেজ একসেস ব্যান করতাম।
৪.যদি তারা ঐ শাস্তি মওকুফ হওয়ার পরেও লিখতো তাহলে তাদের সব লেখা মুছে চিরতরে ব্যান করতাম।
৫.যদি কোন ব্লগার খালেদা জিয়া তথা বি.এন.পি'র কোনো যৌক্তিক ত্রুটি তুলে ধরতো তাহলে কৌশলে তাদের পিঠ চাপড়ে দিতাম।
*** যদি রাজনৈতিকভাবেও আমি এই ব্লগ দ্বারা কিছু টাকা কামাই করতে পারি তাহলে সমস্যা কোথায়? অবশ্য এখানে বি.এন.পি’র যৌক্তিক দোষ নিয়ে লেখা ব্লগারদের টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকতো।
***পররাষ্ট্রনীতিতে আমি যা যা করতাম-
১.আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র যদি ভারত হতো তাহলে ঐ ভারতকে নিয়ে তৈলাক্ত লেখা ও লেখকদের (ভারতপন্থী) ভালোবাসতাম।
২.যদি কোনো ব্লগার ভারতের অন্যায় ও নিপীড়নমূলক আচরণ তুলে ধরতো তাহলে ঐ ব্লগারকে আমি তার এই লেখার মাত্রা অনুযায়ী পূর্বের মতোই জেনারেল, ওয়াচ করতাম। কমেন্টসহ ফ্রন্টপেজ একসেস ছিনিয়ে নিতাম। এমনকি ব্যানও করে দিতাম।
*** কারণ, যদি ভারতের সাথে আমাদের দেশের কোনো রাজনৈতিক দলের সুসম্পর্ক থাকে তাহলে এখান থেকেও আমি দুহাতে টাকা আয় করতে পারবো। মানে নিজের পকেটে ভারী করতে পারবো।
***যদি মগবাজার গোষ্ঠি ওরফে জামাতি ছাগুরা মোটা অঙ্কের প্রস্তাব দিয়ে বসে তবে সেটাও ভেবে দেখব। আফটার অল টাকা বলে কথা।
***০*** আমার যদি নিজস্ব কোনো ব্লগ সাইট থাকতো তাহলে আমি এইভাবে ফায়দা লুটে নিতাম। হয়ে যেতাম আঙুল ফুলে কলাগাছ, কলাগাছ ফুলে বটগাছ, বটগাছ ফুলে জোড়া বটগাছ!!!
পনুশ্চ:- এই লেখাটার মাধ্যমে আমার মনের সুপ্ত বাসনাগুলো প্রকাশ করলাম। যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে যায় তাহলে সেটা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র।
এর পরেও যদি কেউ অসন্তুষ্ট হউন তাহলে দুঃখ প্রকাশ করছি।