দু'চোখ বেয়ে অশ্রু
কিংবা বুক ফাঁটা কান্না আর আহাজারি
প্রকাশ না পেলেও,
প্রচণ্ড ক্ষুধা কিংবা ছাতি ফাঁটা তৃঞ্চা
বুকের মধ্যে পুষে রেখে
ভিক্ষা করতে না গেলেও,
আমার বুকে অবর্ণনীয় এক
বিশাল পাথরের মত চেপে থাকা
বোবা কান্নার কাছে
আমাকে হাত পাততে হবে।
আমি জানি, আমার বুকের পাথর পাহাড়টা
আমাকে প্রচণ্ডভাবে আঁকড়ে ধরেছে
এক অদ্ভুত কৌশলে।
এখান থেকে নিজেকে
মুক্ত করতে না পারলে,
হয়তো কড়জোরে, মিনতি করে
পৃথিবী কাঁপানো এক প্রচণ্ড চিৎকারে
বোবা কান্নার কাছে বলব-
হে বোবা কান্না!
তুমি একটু প্রশান্তি এনে দেবে?
ঐ বিশাল আকাশের কাছ থেকে
কিংবা প্রশান্তিময় বাতাসের কাছ থেকে
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ঐ রাত্রির নিরবতা থেকে।
আমার বুকের পাথরটা সরিয়ে
একটু শ্বাস নিতে পারলে
তোমার কাছে আর চাওয়ার কিছুই থাকবেনা।
কিন্তু আমি জানি,
বোবা কান্না তা এনে দেবেনা।
তাহলে কি আমাকে হাত পাততে হবে
বোবা কান্নার জননীর কাছে?
কিন্তু সে আমাকে ফিরিয়ে দিলে
আমি যে চিরকালের এক বোবা কান্নার
কারাগারে চিরদিনের জন্য বন্দি হয়ে যাব!
বোবা কান্নার জননী যদি
একবার এ কথাটি বুঝতো!