পৌঁছানোর সাথে সাথেই আমার কাজিন বললো, "ভাইয়া, নাহিদা মারা গেছে।" যেহেতু আমার দুই কাজিনই মেডিকেলে পড়ছে তাই ওরা নাহিদা ডোনেশন প্রোগ্রামটা নিয়ে যুক্ত ছিল। কিন্তু ওর কথা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। আমি ফোন দিলাম প্রত্যুকে। তাকে ঘুম থেকে টেনে তুললাম। কিন্তু সেও জানেনা। সেই মুহুর্তে অনৃন্য নাম্বার খুঁজছিলাম। কিন্তু আমার কাছে নাই। ফোন দিলাম আরেকজনকে, উনিও কিছুই জানেন না। আমি তাকে বললাম, "একটু খোঁজ নিয়ে আমাকে জানান প্লিজ।" এই কয়েকটি মূহুর্ত আমার মনে হচ্ছিল, "আমি যা শুনেছি, তা যেন মিথ্য হয়।"
কিন্তু ফিরতি ফোনে জানলাম যে, "হ্যাঁ সত্যিই নাহিদা আর নেই।" খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার।
ভারত থেকে ফেরার পথে নাকি মারা গেছে। ওখানকার হাসপাতালের ডাক্তাররা "না" বলে দিয়েছিলেন। পোষ্টমর্টেম ছাড়া নাকি লাশ ছাড়বে না বর্ডার। আরো অনেক সমস্যা। [এগুলো সব শোনা কথা]
সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল নাহিদা। আল্লাহ যেন, তাকে বেহস্তবাসী করেন।