সে যখন বরষার
কবি শামসুর রাহমান-কে
তুমি তো এলে না তাই
এখানে ফোটে না আর মল্লিকা-চাঁদ।
তুমি তো এলে না তাই
দুপুর দীর্ঘ হয় -
নি:স্ব রোদের নীচে শুয়ে থাকে তোপখানা
মতিঝিল, টিকাটুলি, ডিআইটি
ভেজা হাওয়া গায়ে মেখে
কমলাপুরের ট্রেন বহু দূর চলে যায়।
তুমি তো এলে না তাই
এখানে নৈ:শব্দও করে প্রতিবাদ।
তুমি তো এলে না তাই
নাগরিক হাওয়া খুব ফুঁসে ওঠে
ট্রাফিক জ্যামের ভীড়ে মৌচাক-মালিবাগ,
যাত্রাবাড়ীর মোড়, মহাখালী ঘামে ভেজা মুখ মোছে
মেঘনা পাড়ের হাওয়া বয়ে যায় কখনো হঠাৎ!
তুমি তো এলে না তাই
জনসমুদ্র-তীরে ভীড় করে যত অবসাদ।
তুমি তো এলে না তাই
বিকেল ফুরিয়ে যায়
ধুপখোলা মাঠে নামে সন্ধ্যার মিহিন বাতাস
বুড়িগঙ্গার ঢেউ সহসা আছড়ে পড়ে -- মাহুতটুলির গলি,
লালবাগ, শাঁখারীবাজার সব বিষাদে ঝিমোয়।
তুমি তো এলে না তাই
এখানে ভেঙেছে আজ বরষার বাঁধ।
তুমি তো এলে না তাই
সকাল অঝোরে কাঁদে
তুমুল ভিজতে থাকে সেনপাড়া, পল্লবী
রোকেয়া স্মরণি জুড়ে গাছগুলো
কাজীপাড়া, মিরপুর, গাবতলী, শ্যামলী শ্যামলী
অবশেষে তারা আজ বরষার।