৬।হযরত আবু মুসা রাঃ
হতে বর্নিত হুজুর পাক সাঃ এরশাদ করেন, যে মুসলমান কোরান তেলোয়াত করে তার দৃষ্টান্ত হলো তুরনজ বা কমলালেবুর ন্যয়। যার খোশবুও উত্তম এবং স্বাদ ও চমতকার। আর যে মুসলমান কোরান শরীফ পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হলো খেজুরের ন্যয়। যার কোন খোশবু নাই কিন্তূ স্বাদ খুবই মিষ্ট। আর যে মুনাফিক কোরান শরীফ পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হলো হাঞ্জাল ফলের ন্যয়। যার স্বাদ তিক্ত এবং কোন খোশবু নাই। আর যে মুনাফিক কোরান শরীফ পাঠ করে তার দৃষ্টান্ত হলো সুগন্ধি ফুলের ন্যয়। যার খোশবু চমতকার কিন্তূ স্বাদ তিক্ত।
৭।হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ
হতে বর্নিত হুজুর পাক সাঃ এরশাদ করেন, আল্লাহতায়ালা এই কিতাব অর্থা কোরানে পাকের দ্বারা বহু লোককে উচ্চ মর্যাদা দান করেন এবং বহু লোককে নিচু ও অপদস্থ করেন।
৮।হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাঃ
হতে বর্নিত হুজুর পাক সাঃ এরশাদ করেন, ৩ টি জিনিস কেয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের নিচে থাকিবে। প্রথমত কালামে পাক। উহা সেদিন বান্দার ব্যাপারে ঝগড়া করিবে। এই কোরানের জাহের এবং বাতেন ২ টি দিক রয়েছে। দ্বিতীয়ত আমান ত। তৃতীয়ত আত্নীয়তা। ইহা সেদিন উচ্চ আওয়াজে বলিতে থাকিবে, যে ব্যক্তি আমাকে রক্ষা করেছে আল্লাহ তায়ালা তাকে আপন রহমতের সাথে মিলাইয়া দিন। আর যে ব্যক্তি আমাকে ছিন্ন করেছে আল্লাহ তায়ালা তাকে আপন রহমত হথে পৃথক করিয়া দিন।
৯।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাঃ
হতে বর্নিত হুজুর পাক সাঃ এরশাদ করেন, কিয়ামতের দিন ছাহেবে কোরানকে বলা হবে, কোরান শরীফ পড়িতে থাক এবং বেহেশ্তের মর্যাদার স্তরসমূহে আরোহন করিতে থাক এবং থামিয়া থামিয়া পড় যেভাবে তুমি দুনিয়াতে থামিয়া থামিয়া পড়িতে। তোমার মর্যাদা উহাই হইবে যখন তুমি শেষ আয়াতে পৌছিবে।
১০।হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ
হতে বর্নিত হুজুর পাক সাঃ এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোরানের একটি অক্ষর পড়িবে, উহার বিনিময়ে সে একটি নেকী লাভ করিবে এবং এক নেকীর সওয়াব ১০ নেকীর সমান হবে। আমি এই কথা বলি না যে পুরা আলিফ-লাম-মীম একটি অক্ষর বরঙ আলিফ এক অক্ষর, লাম এক অক্ষর, মীম এক অক্ষর।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬