ড্রেস চেন্জ করে এইমাত্র বিছানায় এলাম। পানি পিপাসা পাচ্ছে কিন্তু বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছা করছে না। টেবিলে দুটো পানির বোতল। একটাতেও পানি নেই। কিচেনে গিয়ে পানি ভরতেও ইচ্ছা করছে না। দিন দিন কি আরো অলস হয়ে যাচ্ছি? নাকি বয়স হয়ে যাচ্ছে?
ভাবছি, কি নিয়ে ভাবা যায়। ল্যাপটপে পবন দাস বাউলের একটা গান চলছে। ডিনারটা বেশী আগে করে ফেলেছি। ধুর...
কালকে সকালে অফিস আছে। এক্ষুনি ঘুমিয়ে পড়া উচিৎ। যদিও নিকট অতীতে কোন উচিৎ কাজ করেছি বলেতো মনে পড়ে না। তাই যথারীতি একটা মুভি নিয়ে বসলাম। দ্যা লাস্ট লিজিয়ন। মোটামুটি নতুন মুভি। কভারে ঐশ্বরিয়ার সুডৌল শরীরের ছবি।
সকালে অফিসের কি হবে কে জানে? জানি না এইভাবে আর কতদিন। রবিন্দ্রনাথের 'বাঁশী' কবিতার হরিপদ কেরানির ঘরে থাকতো একটা টিকটিকি। আমার ঘরে কিন্তু একটা টিকটিকিও নেই। এই হলো আমার সাথে তার মুল পার্থক্য। অবশ্য তার মতো আমার ঘরে সিদ্ধিদাতা গনেশের ছবি নেই, সেখানে আছে ভ্যান গগের 'ক্যাফে টেরেস'। তবে কবিতাটার আবৃত্তিটা আমি প্রায়ই শুনি। আকবর বাদশার সাথে নিজেকে তুলনা করে মজা পাই, গর্ববোধ হয়। সান্তনা পাই ঐ লাইনটা শুনে, 'ঘরেতে এলোনা সেতো, মনে তার নিত্য আসা যাওয়া...'।
(পুরনো ডাইরি থেকে।)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫৭