যারা নিজের গুষ্ঠির জবান লইয়া লজ্জিত থাকেন... আর শুদ্ধ ভাষার নাওয়ে ওইঠা শ্রেণী উল্লম্ফন ঘটান... আপনেরা কিন্তু মুজিবরের ৭ই মার্চের ভাষণরে আপনেগো এইসব শ্রেণীগত হীনম্মন্যতার দাওয়াই হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনেরা যারা মিডিয়ার বিকলকাঠি লড়াইতেছেন, এহন কলিকাতালব্ধ আড়ষ্ট বুলি বন্ধ কইরা নিজের গলায় নিজের মুদ্রায় কথা বলা স্টার্ট করতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গ আপনেগো রবীন্দ্রসঙ্গীতরে পাত্তাও দেয় না।
গ্রাম থিকা আসা শিক্ষিত লোকগুলা, আমাদের বন্ধুগুলা, আর গ্রামেও ফিরতে চায় না আর খালি শুদ্ধ ভাষায় কথা কয়! অথচ পুরান ঢাকাইয়ারা তার ধারও ধারে না। কেন? কেন শহর শহর নয় তত আর গ্রামই শহর? হইয়া উঠবার চায়? গ্রাম এবং প্রদেশ (যথা পশ্চিমবঙ্গ) কখনো মিশ্রভাষা সহ্য করে না! কেন?
তো শুদ্ধ ভাষা কি গ্রাম্যতা ঢাকার আলখাল্লা হইছে আপনেগোর জন্য?
শেখ মুজিবের ৭ই মার্চের ভাষণ যদি চণ্ডালী ভাষায় সারা দেশরে জাগাইয়া তুলতে পারে আপনেরা রবীন্দ্রনাথের প্রেতাত্মা কী ভাববে সেই আশঙ্কায় মিডিয়া জুইড়া খালি শুদ্ধ ভাষার মিউ মিউ বাজাইবেন কীসের জন্য?