somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিতবো বলেই হেরে গেলাম

১৫ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বোলিংটা ঠিক ভালো হলোনা। রবিন রান দিলেন অনেক। সাকিব মেহরাব রাসেলরাও গতকাল এলোমেলো হয়ে গেলেন। সর্বকনিষ্ঠ অভিষেক টেষ্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডের সাবেক মালিক মাসাকাদজা ব্যাটিং করলেন চমৎকার। টেইলর খেললেন বলার মতো একটা বিশাল ইনিংস। সব মিলিয়ে ভালো একটা দিন কাটালো জিম্বাবুয়ে। আর এতেই আমাদের কপালে জুটলো বড়সড় একটা পরাজয়।

আধুনিক ক্রিকেটের একদিবসিয় সংস্করণে ৩২৪রানকে খুব বেশি বড় টার্গেট বলা যায়না। তবে এটা মোটমোটি একটা কঠিন টার্গেট। কঠিন এজন্যই- এই ম্যাচ জিততে হলে আস্কিং রেটের সাথে সখ্য গড়েই ব্যাটিং করতে হবে। আর বাংলাদেশ দলে এ রকম ব্যাটিং করার মতো ব্যাটসম্যান থাকলেও আসলে নেই। মানে- ক্ষমতা আছে অনেকের, তবে করে দেখানোর সামর্থটা কার আছে তা তো দেখাই গেলো!

তবু বড় টার্গেটের পিছনে ছোটার সাহসটা বাংলাদেশ করতেই পারে। তামিমের মতো হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান যে আমাদের ওপেনার! কিন্তু প্রত্যাশার চাপটা কাল তামিম নেবার সময়ই তো পেলেন না! তারপর আশরাফুল ছিলেন। ছিলেন ‘অধিনায়ক’। আর আমাদের ছিলো জিতার একটা স্বপ্ন। কিন্তু ওই যে জিম্বাবুয়ের দিন! তাই আর কিছুতেই কিছু হলোনা। আমরা হেরে গেলাম। রকিবের ‘দি ওয়াল’ হয়ে উঠার প্রচেষ্টাটা আবার আমরা দেখলাম। ৭৮ রানের বড় একটা ইনিংস তিনি খেললেন। মুশফিক- আমাদের ‘লিলিপুট’ কিপারও সামর্থের প্রমান দিলেন। যদিও তা খুব বড় কিছু হয়ে উঠতে পারলো না। একেবারে ব্যাটিংঅর্ডারের প্রান্তসীমায় নেমে রবিন কিছুক্ষণের জন্য ঘোরের মধ্যে রাখলেন আমাদের। টেল এন্ডারে মাশরাফির ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি।

এই ছোট ছোট অবদানগুলোর পরও শেষ রক্ষাটা হলোনা- আমরা হেরে গেলাম। আসলে আমরা যতোটা না হারলাম, এর চেয়ে বেশি জিতে গেলো জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচটা হারলাম বলেই সামনের ম্যাচে জেতার পর আমাদের আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশি হবেই। আজ এখন থেকে সে আশাই ক্ষণ গণণা শুরু করলাম…
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×