somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুরে আসুন...........................

১৪ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সোনাদিয়া দ্বীপ
সোনাদিয়া দ্বীপ কক্সবাজর হতে ৯ কিলোমিটার দূরে, দ্বীপটি নয় স্কয়ার কিলোমিটার। এ দ্বীপের পশ্চিম দিকের সমুদ্রতীরে বালুরাশি ও বিভিন্ন প্রাণীর খোলস দেখতে পাওয়া যায়। দীপের দক্ষিণ দিকে ঝিনুক দেখা যায়। শীতকালে জেলেরা দ্বীপ হতে সামুদ্রিক মাছ শিকার করে অস্থায়ী ক্যাম্পে শুকানোর ব্যবস্থা করে। প্রত্যেক শীতে হাজার হাজার জেলে সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে। এ দ্বীপটি অতিথী পাখির স্বর্গ বলা হয়ে থাকে যেমন- গাংচিল, বালি হাস, অন্য অনেক প্রকারের পাখি এবং রাজহংসী ইত্যাদি পাখি দেখা যায়। শীতকালে সংঘবদ্ধভাবে অতীতি পাখিরা বীচের উপর অবাদে বিচরন করে ও দ্বীপের জলাভুমিতে সাতার কাটে।

মহেশখালী দ্বীপ
মহেশখালী কক্সবাজার উপকুলবর্তীয় একটি দ্বীপ। ইহার আয়তন ২৬৮ বর্গ কিলোমিটার। দ্বীপের মধ্যস্থানে এবং পূর্ব উপকুলে নিচু পাহাড়গুলো ৩০০ ফুটের মত উচুঁ। কিন্তু পশ্চিম ও দক্ষিণ উপকুল নিচু ও গরান গাছের বন। উপকুলের পাহাড়ে আদিনাথের মন্দির আছে যা শিবা নামে পরিচিত। ইহার এক প্রান্তে বৌদ্ধের প্যাগোডা আছে। পর্যটকরা এখানে এক হতে আধ ঘন্টার মধ্যে ট্রলার অথবা সিপ্রডবোডে চড়ে আসতে পারে। এখানে গরান গাছের বন, পাহাড়ী এলাকা, লবণ উৎপাদন দেখতে পারবেন। বৌদ্ধ মন্দির,প্যাগোডা এবং এই দ্বীপের পাশে সোনাদিয়া দ্বীপ যা দেখতে দেখতে একজন পর্যটক সারদিন কাটিয়ে দিতে পারে।

হিমছড়ি ঝরনা
হিমছড়ি ১৮ কিলোমিটার দূরে কক্সবাজার সমুদ্র তীরের দক্ষিণ প্রান্তে। পিকনিক ও শুটিং এর জন্য একটা সুন্দর স্থান। এখানকার পাহাড়ী টিলা ও ঝরণা বিরল ও বিখ্যাত। পাহাড়ের চূড়ায় রিসোর্ট থেকে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। হিমছড়ির বামে সবুজ পাহাড় ও ডানে সমুদ্র তরঙ্গ যা উপভোগ করার মত।

নিঝুম দ্বীপ
সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরের পর্যটন স্থানটি হচ্ছে নিঝুম দ্বীপ। এখানে গরাণ বনভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ ও বানর দেখা যায়। প্রচুর পরিমাণে অতিতী পাখি শীতের সময় এখানে আগমন করে যা দ্বীপটির আকর্ষন অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না হওয়া সত্ত্বেও পর্যটকদের এখানে আগমনের কমতি নেই। চট্রগ্রাম হতে প্রথমে হাতিয়া দ্বীপ ও পরে যন্ত্র নৌকা অথবা জাহাজে চড়ে নিঝুম দ্বীপে আসা যায়। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হতে তমিজউদ্দিন লঞ্চে করে নিঝুম দ্বীপে আসা যায়।

টেকনাফ
টেকনাফ কক্সবাজার হতে ৮৪ কিলোমিটার দূরে নাফ নদীর পার্শ্বে বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। কক্সবাজার হতে জীপ, বাস অথবা মাইক্রেবাসে সমুদ্র পাশ দিয়ে টেকনাফে আসা যায়। নাফ নদীর অপর প্রান্তে মায়ানমার অবস্থিত। এ এলাকায় বন্য প্রাণী ও পাখি আছে এবং নদী ভ্রমন খুবই আনন্দদায়ক। পাহাড়ের উপর থেকে সমুদ্র তীর সবুজ বনভুমি সত্যিই অপূর্ব যা পর্যটকদের স্বরনীয় করে রাখে। নাফ নদীর তীরে অনেক লবণ তৈরী জমি আছে। টেকনাফে প্রাকৃতিক ঝর্ণা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করে। এখানে বার্মিজ মার্কেট আছে যেখানে উপজাতীদের হাতের তৈরী জিনিস পাওয়া যায়। টেকনাফে মাথিনের কুপ অবস্থিত যাকে বলা হয় ভালবাসার গল্প। আর একটি আকর্ষণ হচ্ছে টেকনাফের নৌকা ও সাম্পান। এখানে আরাকান ও রাখাইন সম্প্রদায়দের দেখতে পাওয়া যায়। টেকনাফ বীচ আর একটি সৌন্দর্য্যের স্থান। অন্য আকর্ষনীয় স্থান হচ্ছে সাফারি দ্বীপ যা উপজেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত।

ইনানী সমূদ্র সৈকত
ইনানী বীচ কক্সবাজার হতে ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। পশ্চিমে সমুদ্র ও পূর্বে পাহাড়ী সত্যিই স্বপ্নের মত দেখতে। কক্সবাজার হতে আধাঘন্টার সময় এখানে পৌছতে, যা পিকনিক ও সুমদ্রে গোছলের জন্য উপযুক্ত স্থান।

আগামৈডা কেয়াং
আগামৈডা কেয়াং বিশাল গাছের শক্ত আবৃত্রে একটি পাহাড়-এর পাদদেশে। কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি আগমৈদা কিয়াং সমানভাবে সুনির্মিত করা হয়েছে। চারিদিকে কাঠের কলামে উপর নির্মিত পবিত্র স্থান কাম আশ্রম যা বৌদ্ধের সর্বোচ্চ অস্তিত্ব সমৃদ্ধ বার্মিজ অধিবাসীদের প্রার্থনার সম্মেলন হল এবং সেখানে কিছু পুরাতন পান্ডুলিপি আছে । দক্ষিণপ্রান্তে প্রধান কিয়াং-এর ধারে কাঠ ও ভাজকরা লৌহ ইটের মন্দিরটি তৈরী। মান্দিরের প্রবেশদ্বারে রক্ষিত পাথরে বিশাল অংলঙ্করনের খোদিত চিহ্ন বিভিন্ন ধরনের প্রলেপ বৌদ্ধের সাথে বার্মিজদের অস্তিত্ব বহন করে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×