somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফারাক্কা টিপাইমুখ বাঁধ এবং বাংলাদেশ ।

১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কমন নদ নদী নিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমস্যা আজকের নয় । যেদিন থেকে পৃর্বপাকিস্তান নাম ঘুচিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ নাম হল সে দিন থেকেই এ সমস্যার শুরু হয়েছে । অবশ্য আসল ঘটনার সূত্রপাত আরো অনেক আগে থেকেই ।

১৯৫০ সালের দিকে ভারতের পানি বিশেষজ্ঞরা অনুধাবন করতে পারেন যে কোলকাতা বন্দর দিন দিন তার নাব্যতা হারিয়ে ফেলছে । পূর্বভারতের অন্যতম নদীবন্দর হল কোলকাতা । কোলকাতা নদীবন্দরের সমস্যা হওয়া মানে পূর্ব এবং উত্তর পৃর্ব ভারতের পানি পথের সমস্ত ব্যবসা বানিজ্য হুমকির সম্মুখীন হওয়া । তাই ভারতের বাঘা বাঘা পানি বিশেষজ্ঞরা অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষার পর এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, হুগলি নদীর নাব্যতা ঠিক রাখতে
পশ্চিম বংগে গঙ্গাবক্ষে একটি বাঁধ নির্মান অত্যান্ত জরুরী । আর তার ফলশ্রুতিতে ভারত মালদহের নিকট গঙ্গাবক্ষে ফারাক্কা বাঁধ নির্মান করে ।

কোলকাতা হুগলি নদী বন্দরের নাব্যতা সমস্যার সমাধান করতে যেয়ে ভারত দেখতে পায় যে সুতার একটি অংশ যেমন ভারতের হাতে তেমনি আরেকটি অংশ বাংলাদেশের হাতে । গঙ্গার যেমন একটি শাখা নদী হুগলি তেমনি অন্য একটি গুরুত্বপূর্ন শাখা নদী বাংলাদেশের পদ্মা । সুতরাং হুগলি নদীর নাব্যতার নামে ভারতের একক সিদ্ধান্ত শেষ কথা এমন কখনও হতে পারে না । ভারতের এই গঙ্গা সমস্যা সংক্রান্ত যে কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশেরও মতামতের প্রয়োজন ছিল বলে ভারত, বাংলাদেশ তথা আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন । তাছাড়া আন্তর্জতিক পানি আইন অনুযায়ী ` যে নদীর স্রোত পাশাপাশি দুইটি দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সে নদীর স্রোতের গতিপথ আংশিক অথবা সম্পর্ন ভাবে বন্ধ করার ক্ষমতা একক ভাবে কোন দেশের নেই` । সেই দিক দিয়া বিচার করলে দেখা যায় ভারত গাঁয়ের জোরে অথবা আইনকে বৃদ্ধা আংগুল দেখিয়ে ফারাক্কা বাঁধ নির্মান করেছে যা সম্পূর্ন বেআইনি, অনৈতিক এবং অমানবিক ।

ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে বাংলাদেশ শুক্না মৌসুমে মরুভূমিতে পরিনিত হয় আর বষা মৌসুমে তলিয়ে যায় অতল পানিতে । ফারাক্কার প্রভাবে বাংলাদেশের এই বেহাল অবস্হার সমাধান কল্পে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে অনেক আলাপ আলোচনার পর ঠিক হয় যে , প্রয়োজন অনুযায়ী দুই দেশ কিউসেক মেপে পানি ভাগ করে নিবে । কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে চুক্তি থাকা সত্তেও ভারত কখনু বাংলাদেশকে তার পানির নাজ্য হিস্যা প্রদান করে নাই ।

ভারত এবং বাংলাদেশ দুই মূলত কৃষি প্রধান এবং নদী মাতৃক দেশ । গঙ্গার জল উভয় দেশের সেচের কাজে ব্যাবহ্রত হয় । শুক্না মৌসুমে নিজের দেমের কৃষিক্ষেত্রে পানি প্রবাহ অব্যাহত রাখতে গিয়ে ভারত চুক্তি ভঙ্গ করে অধিক পরিমান পানি ব্যাবহার করে বলে বাংরাদেশের অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে । এবং এ কারনেই ভারতের প্রবল আপত্তি সত্তেও ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে পানি বন্ঠনের সুষ্ঠ সমাধান চেয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করে ।
অবশেষে ১৯৭৭ সালে কোন মৌসুমে ফারাক্কা থেকে কে কত কিউসেক পানি পাবে তা নিয়ে পৃর্নরায় বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । এই চুক্তির বলে পানি সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব ন্যাস্ত হয় জয়েন্ট রিভার কমিশনের হাতে । বলা বাহুল্য সেই কমিশনও আর যাই করুক এই স্পর্শকাতর বিষটির সমাধানে কোনও দীর্ঘস্হায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেনি ।

ফারাক্কার পানি সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান আদেও কোন দিন হবে কিনা সে ব্যাপারে আমরা সন্দিহান।তার উপর আবার মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মতো ভারত পায়তারা করছে টিপাইমুখ বাঁধ তৈয়ারীর ।

টিপাইমুখ বাঁধ এটি আমাদের জাতীয় সমস্যার আর একটি ইস্যু । তাই সরকারের কাছে আমদের বিনিত
আবেদন সর্ব দলীয় একটি কমিঠি করে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন । জনগনকে অন্ধকারে রেখে দেশের স্বার্থবিরোধী কোন চুক্তি করলে জাতি আপনাদেরকে ক্ষমা করবে না ।



)

৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×