এরাতে লেখা হ’তে পারতো কোন একটা মহৎ প্রেমের কবিতা।
অথবা কোন গল্পমালা,
নিদেনপক্ষে দু-চার পঙতি লেখা যেতে পারতো অনায়াসে
ছন্দে-শব্দে, তাল-লয় মাত্রা মিলিয়ে
কোন এক বালিকার মোহনীয় রুপের বর্ণনায়
সিক্ত হ’তে পারতো সেইসব পঙতিমালা
রুপ ক্যানো, শুধু চোখের বর্ণনায়
লেখা যেতে পারতো কয়েক পৃষ্ঠা।
রুপক হ’তে পারতো আকাশের নীলচে তারা,
জোস্না বা জোনাকি, ফুলের পাপড়ি অথবা ঘাসফুল,
শ্বেতপাথরের তাজমহল কিম্বা জলের শব্দ;
এই মাঝরাতেও গোধুলিলগ্নের চমৎকার দৃশ্যকল্প
আঁকা যেতে পারতো সহজেই।
সিগারেটের ধোঁয়ার দিকে চেয়ে
দীর্ঘশ্বাস ফেলা যেতো মৃদু বাঁশরীর অভাব কল্পনায়।
হয়তো, অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকা যেতো স্বপ্নাতুর।
তবু হায়!
এইসব সব-হ’তে-পারা থেকে মুক্ত হ’য়ে,
প’ড়ে থাকে শুধু দিশাহীন, স্বপ্নহীন রাত্রিবাস।
দিবাগত রাত আর দিনআগত রাত।