স্বাধীনতা তুমি
মানব হৃদয়ে চিরয়ত স্বপ্নীল প্রস্ফুটিত ফুল,
তুমি ইতিহাসের স্বর্ণালী বাঁকে বাঁকে অনবদ্য অপূর্ব এক বুল।
তোমার মিলন সেতু জুড়ে শানীত ভেজা ঘাসের ছড়াছড়ি,
তুমি অবুঝ শিশুর অশ্রু কণা, বিধবা জননীর সাদা শড়ী।
স্বাধীনতা তুমি
আলোর গম্বুজ, শহীদের বর্ণীল সমাধী,
তুমি নিরন্তর বয়ে চলা অপ্রতিরোধ্য স্পুর্তি পাহড়ী নদী।
তোমার সান্নিধ্য সৌরভে অবগাহন করতে মোরা সয়েছি কাঁটার আঘাত-
তমিস্র, রজনীর আঁধারে খুলে খুলে মোরা পেয়েছি তোমার প্রাত।
স্বাধীনতা তুমি
বিরহী সায়রের বিস্তীর্ণ জলরাশি
তুমি শহীদ মিনারের টকটকে লাল সুর্য হাসি। তুমি কবিদের কলম ও কবিতার খাতা,
তুমি নারঙগী বন কাঁপানো সবুজ-শ্যামল পাতা।
স্বাধীনতা তুমি
সুশোভিত হাস্না হেনার, শুভ্র ললাট চুমি,
তুমি যেমন হচ্ছে চলার আমার সোনার বাংলা ভূমি।
তুমি কচি খুকীর উচ্ছ্বল জ্বলতরঙ্গ বুলি,
তুমি রক্তের তুলিতে আঁকা শিল্পীর শিল্প তুলি।
স্বাধীনতা তুমি
গ্রাম্য দুপুরে বাঁশের নূপুরে পাখিদের কলতান,
তুমি পুষ্প কাননে পাপড়ির উঠোনে প্রজাপতির গান।
তুমি ফররুখের চেতনায় রেনেসাঁর অনন্ত আপস,
তুমি নজরুলের অসংকোচ প্রকাশের দূরন্ত সাহস।