somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রেড ইউনিয়ন দেন, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি দিয়েন না

১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পত্রিকায় দেখলাম, গার্মেন্টস শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সরকার অবস্থান নিয়েছে। ভালো লাগল। গার্মেন্টস মালিকরা তাদের স্বার্থে ইচ্ছামতো ব্যবসায়িক সংগঠন গড়তে পারলে শ্রমিকরা তাদের স্বার্থে সংগঠন গড়ার অধিকার রাখে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও কনভেনশন ৮৭ এবং ৯৪ অনুযায়ী শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দরকষাকষির অধিকার নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। সেখানে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। একটি সূত্র জানায়, দেশের প্রায় ৫ হাজার গার্মেন্টস কারখানার ভেতর প্রায় শতাধিক কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন আছে। তাও নিবুনিবু অবস্থায়। ২০০৬ সালের শ্রম আইন অনুসারে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা বা ইপিজেডে ‘শ্রমিক কল্যাণ আইন’-এর কথা বলা আছে।
সুতরাং শ্রমিকদের কল্যাণে ট্রেড ইউনিয়ন গড়া কোন অবৈধ কাজ নয়। কিন্তু শ্রমিক সংগঠন গড়ার নামে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি ও ধান্দাবাজি করা অবশ্যই অবৈধ এবং কঠিন অপরাধ।
আমরা অতীতে দেখেছি, শ্রমিক সংগঠনের নেতারা রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। যারা শ্রমিকের অধিকারের কথা বলবেন, তারা মালিক ও রাজনৈতিক নেতাদের লেজুরবৃত্তি করেছেন। ট্রেড ইউনিয়ন থাকলেও শ্রমিকদের কোন স্বার্থ রক্ষিত হয় নি। বরং তথাকথিত ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে শ্রমিকরা।
বাংলাদেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলে শ্রমিক লীগ ও শ্রমিক দল নামে অঙ্গ সংগঠন আছে। এই দুটি অঙ্গ সংগঠনের সদস্যরা কোন শ্রমিক না, তারা ধান্দাবাজ। যারা শ্রমিক না, তারা যখন শ্রমিক সংগঠন করে তখন বোঝা যায়, প্রকৃত শ্রমিকের পাওনাটা লুটেপুটে খাওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। এই ধরনের ধান্দাবাজ ও বাটপারি অঙ্গ সংগঠন আগে বন্ধ করেন।
ট্রেড ইউনিয়নের নামে গার্মেন্টস সেক্টরে অরাজকতা ও রাজনৈতিক লেজুরড়বৃত্তি মেনে নেয়া যায় না। অন্য দিকে ট্রেড ইউনিয়ন না করতে দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার হরণও মেনে নেয়া যায়। তাই ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেন, কিন্তু নিশ্চিত করেন সেই ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য শ্রমিকরাই, কোন ধান্দাবাজ অশ্রমিক নয়। ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সকল রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করেন আগে।
খবর এখানে
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০১
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×