somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার পঞ্চাশতম(ভুয়া) পোষ্ট ( লগে ভুয়া দুইটা কৌতুকও আছে ;) )

০৯ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই বলি ভুয়া বিশেষন দিয়ে পঞ্চাশতম কে বিশেষায়িত করা হয়েছে। অবশ্য কেউ যদি মনে করেন ভুয়া বিশেষন দিয়ে পোষ্টকেও বিশেষায়িত করা হয়েছে- আমার আপত্তি নাই।

আমার ব্লগের সঠিক সংখ্যা ঠিক কত সেটা বলতে পারি না। তবে কোন একটা নির্দিষ্ট নিকে এই প্রথম পঞ্চাশ এ দাড়ালাম। ব্লগের বয়স এক বছরের বেশি। মাগার বর্ষপূর্তি পূষ্টও পুষ্টাতে পারি নাই- কেননা তখন ব্লগ বিরতি চলছিল। তাই চামে পঞ্চাশ নাম্বার পোষ্টে এক ঢিলে দুই বা তিন পাখি মারার চেষ্টা করতাছি।


পঞ্চাশতম পোষ্টের নিয়ম আছে। অনেক ব্লগারকে ধন্যবাদ দিতে হবে। আনন্দ বেদনার কয়েকটা ছোট ঘটনার উল্লেখ করতে হবে এবং সবার শেষে সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে সামু কেন সেরা ব্লগ সেটা ব্যাখ্যা করতে হবে।


পার্ট- ১ ( ধন্যবাদ জ্ঞাপন)
ব্লগে ব্যান খাওয়া আর আনব্যান খাওয়া- নিয়মিত পাঠক আর অনিয়মিত অতিথি সবাইকে আমার ব্লগ পড়া এবং আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


পার্ট -২ ( পছন্দের ব্লগারদের গুনকীর্তন যেনারা আমার পোষ্টে নিয়মিত পেলাস মারে...;) )

অনেকের ব্লগ নিয়মিত পড়ি কিন্তু কমেন্ট করি না। ইনারা “সম্প্রতি কারা ব্লগ দেখেছেন” সেখানে আমার নাম লক্ষ্য করেন কিনা জানি না। এদের ভিতর আছেন-জান জাবিদ,জেরী,নাস্তিকের ধর্মকথা,কাগু, ইউনুস খান ,মিলটন ,চাঙ্কু, 'লেনিন' , আউলা, ভেংচুক, ড্রাকুলা, কৃষক , হাসান মাহবুব ,গোয়েবলস ,জ্বিনের বাদশা , চানাচুর, নাজিম উদদীন ,ইমন জুবায়ের, শূন্য আরণ্যক ,বিষাক্ত মানুষ ,আমড়া কাঠের ঢেকি,বুলবুল আহমেদ পান্না,তাজুল ইসলাম মুন্না,তামিম ইরফান,প্রলয় হাসান(টিয়া সংক্রান্ত জটিলতায় এখন আর ব্লগে দেখি না) ,মুক্তবয়ান।

অনেকেই আছে আমার রিয়াল আর ভার্চুয়াল দুই জগতের বন্ধু মানুষ। যেমন- অগ্নিকন্যা, ‌ফারহান দাউদ ,দূরের পাখি ,সীমান্ত আহমেদ, খেজুর কাটা। দুরের পাখি আর খেজুর কাটা কলেজের ফ্রেন্ড। ফারহান দাউদের সাথে ক্লাসে এক রকম পরিচয় ছিল। ব্লগে এসে তার আরেকটা চেহারা দেখলাম। আমি কিন্তু প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে অসাধারন সব ব্লগ লেখা এই ব্লগার আমার ক্লাস মেট। পাচ বছর একসাথে পড়ছি- কুনোদিন লেখা-লেখি নিয়া তার সাথে কথা হয় নাই। আফচুস!!!

আবার অনেকেই ছিলেন যাদের ব্লগেই প্রথম পাইছি।
জটিল
পতিতা নিয়ে লেখা ব্লগ পড়ে আমি উনার ভক্ত হইয়া পড়ছি। এরপর পাদ, ব্লাউজ নিয়া জটিল সব ব্লগ লিখছেন উনি।

শুভ
এই পোলাডারে ভালা পাই। এই পোলাডা আর পোলাডার ভইনের সাথে সারাদিনই চ্যাটাই।


কাকন
খুব পছন্দের ব্লগার। উনার জনপ্রিয়তা ঈর্ষনীয়। তার সব ব্লগ পড়ি, কিন্তু খুব কমই কমেন্ট করি।

লীনা দিলরুবা
দূরের পাখির মাধ্যমে পরিচয় এবং আমি দূরে দূরে থাকি। রহস্যময় কোন এক কারনে ইনার ব্লগে প্রায়ই হাসিমুখের ইমো দিতে গিয়া চোখ টিপের ইমো দিয়া বসি এবং লজ্জা পাই।

কৌশিক
উনার সম্পর্কে বলার কিছু নাই।


সন্দীপন বসু মুন্না
চমৎকার কৌতুক লিখত। এখন আর লিখে না।


ইন্ডিয়ানা জোন্স
আমার একটা দিনের রঙ এই ব্লগার চেঞ্জ করে দিয়েছিল। :D


কোপা সামছু
এই গুরুর কথা আলাদা কইরা কইতে হইব। যখন ব্লগ এ রেজি করছি মাত্র- গুরু তখন লিখত। আহা কি সব ব্লগই না গুরুর কাছ থেইক্যা পাইছি। তখন থেইখ্যা একটা রোখ ছিল- লিখতে হইলে গুরুর মত কইরাই লিখমু- গুরুরে ছাড়াইয়া যাইতে হইবো হিটের সংখ্যায়।


অক্ষর
আমার ব্লগে প্রচুর কমেন্ট করেন। কিন্তু কেন জানি উনার ব্লগে গিয়ে আমি কমেন্ট করি না।



সুদীপ্ত /অরন্যচারী
ফাইটার ধরনের ছেলে। জামাতের মূর্তিমান আতঙ্ক। ছাগুদের সাথে চিল্লা চিল্লি কইরা ব্যান খাইত আর জেনারেল হইত প্রায়ই। এখন খুব একটা লিখে না। আরেকটা কথা এই পোলাডা আমারে কৌতুক উৎসর্গ করেছিল। জীবনে সেই প্রথম কিছু পাইলাম।


ভাঙ্গা পেন্সিল
এর ব্লগের চেয়ে বিভিন্ন ব্লগে তার করা কমেন্ট অনেক বেশি আকর্ষনীয়। সম্ভবত ব্লগের সেরা মন্তব্যকারী। ব্লগও ভালো লিখে ;)


আহমাদ মোস্তফা কামাল
বুড়ি একদিন আমার ব্লগ পড়ে ফুন দিয়া কয়, খাইছে তুমি ত সেলেব্রেটি ব্লগার হয়ে গেছ। আহমাদ মোস্তফা কামাল তোমার ব্লগে কমেন্ট করেছেন। অর্থাৎ কিনা তিনি আমার ব্লগে কমেন্ট করে আমাকে জাতে তুলেছেন। বুড়ির কথাটা আমার ভালো লাগে নাই। তাই উনার ব্লগে গেলাম। কয়েকটা ব্লগ পড়লাম। এরপর বুঝলাম, উনি কমেন্ট করাই আসলেই আমি জাতে উঠেছি।

কার কার নাম বাদ পইড়া গেছে সেইটা কইতে পারতাছি না। তয় মাইনাসের সংখ্যা দেইখা বুঝব কয়জনরে মিস করছি। ব্রেন পইচা গু হইয়া গেছে রে ভাই। কার না যে বাদ পড়ছে......


পার্ট-৩ ( এইখানে কিছু আনন্দ-বেদনার কথা হইব)

ব্লগে একবার গালি খাইছি। সারাটা রাইত মন খারাপ ছিল। সকালে মন খারাপ লইয়াই একটা প্যান প্যানে ব্লগ লিখলাম। সেইখানে ব্লগাররা এসে চমৎকার সব কথা বললেন। প্রতিটা কমেন্ট পেয়ে আমার চোখের পানি চলে আসছিল। (যারা আমাকে বাস্তবে চিনেন তারা জানেন আমি ছিচকাদুনে টাইপ মানুষ। ভালা খারাপ কিছু হইলেই চইক্ষে পানি আইসা পড়ে। ) যে ভালোবাসা আমার জন্য সবাই দেখাইছে--- সেইটা পাওয়া একটা ভাগ্যের ব্যাপার। ( সবার কপালে এত ভালোবাসা জুটে না। :P )


ব্লগ জীবনের শুরুর দিকের কথা। সেলেব্রেটি ব্লগার কৌশিকের প্রিয়পোষ্টে দেখি আমার দুইটা পোষ্ট। সেইবার প্রথম নজরে পড়ল, আমার পোষ্টে অন্য ব্লগারদের বিশেষ কইরা এতবড় ব্লগারেরও নজরে পড়ছে। সেইদিন কি যে লাফানটা লাফাইছিলাম।



কবে কেন খারাপ লাগছিল সেই কথা না কই। সব গল্পই হোক আনন্দের গল্প।


সামু আমাকে আনন্দের অনেক মুহুর্ত উপহার দিয়েছে। কিছু অসাধারন মানুষের সাথে যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে। আজকে, ব্লগের সবাইকে আমার তরফ থেকে ভালোবাসা। যে ভালোবাসা আমি পাচ্ছি, তার কিছুটা হলেও ফেরত দেবার চেষ্টা আমি করব। আজকের দিনে এইটাই আমার শপথ।

=========================================================

এত কষ্ট কইরা ব্লগটা পড়ছেন। বিনময়ে দুইটা কৌতুক শুইন্যা যান। ;)


০১।
বব বাসায় ফিরে এসে দেখে তার বউ ন্যাংটা হয়ে শুয়ে আছে।
-কি হইছে বউ তোমার?
বউ কি কইব কি কইব বুঝতে না পাইরা বেমক্কা কইয়া বসে, আমার হার্ট এটাক হইতাছে...
বব দৌড়া দৌড়ি শুরু করতাছে। ফুনের কাছে গিয়া হাসপাতালে ফুন করল। মাথায় পানি দিব নাকি শরবত বানাইয়া খাওয়াইবো কিছুই বুইঝ্যা উঠতে পারতাছে না। এমুন সময় তার ছেলে রবি এসে কয়, আব্বা, জন চাচা ন্যাংটা হইয়া আলমারির ভিতর লুকাইয়া ছিল। আমি ত আলমারি খুইল্লা ভাবছি নাঙ্গু ভূত। হেভি ভয় পাইছি।


বব সাথে সাথে গিয়ে আলমারি খুলল। ইয়াপ। জন নাঙ্গু হয়ে সেখানে দাড়াইয়া আছে।

বব রাগ কইরা কইতে লাগল, তুই ছোট ভাই নামের কলঙ্ক। এর লাইঘ্যা তোরে আমার লগে রাখতাছি? কোন ভালা কামে ত আসলি না, তুই কামডা কি করতাছোস??? দাড়া আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন। তোর ভাবি এইখানে হার্ট এটাকে মইরা যাইতাছে আর তোর বুদ্ধি-শুদ্ধি নাই? তুই নাংগু ভূত হইয়া পুলাপাইনরে ভূতের ভয় দেখাইতাছোস?


০২.
বব গেছে শেভ করতে। নাপিত থুতনির কাছে এসে বলল, স্যার সমস্যা হচ্ছে এই জায়গাটায়। আপনি যদি কষ্ট কইরা এই লোহার বলটা কামরাইয়া ধরতেন, ভালা হইত।
বব পিংপং বলের সমান লোহার বলটা কামড়াইয়া ধরল। থুতুনির জায়গাটা সুন্দর শেভ করা গেল।
শেভ শেষে বব হঠাৎ জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা, যদি বলটা আমার পেটে চলে যেত?
নাপিত কয়, সমস্যা নাই স্যার। অন্য সবার মত পরদিন এসে ফেরত দিয়া দিতেন।
৪৭টি মন্তব্য ৪৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×